চাঁদে অবতরণ করা প্রথম মনুষ্যবাহী
আকাশজান হলো অ্যাপোলো ১১। ১৯৬৯
সালের ১৬ জুলাই নীল আর্মস্ট্রং,
মাইকেল কলিন্স, এডুইন অল্ড্রিন জুনিওর
কে নিয়ে অ্যাপোলো ১১ ফ্লোরিডা
থেকে উৎক্ষেপিত হয়। ২০ জুলাই নীল
আর্মস্ট্রং ও এডুইন অল্ড্রিন প্রথম মানুষ
হিসেবে চাঁদের মাটিতে পা
রাখেন। ২৪ জুলাই তারা পৃথিবীতে
অবতরণ করেন। মহাকাশে বিচরণের দিক
দিয়ে আরেকধাপ এগিয়ে যায়
মানবজাতি।
.
তবে এখানে বেশ সন্দেহের অবকাশ
রয়েছে। অনেকেই দাবি করেন সেদিন
যা হয়েছিলো তা পৃথিবীর বড়
মিথ্যাচার। এর চেয়েও আশ্চর্য্যজনক
বিষয় হলো আমেরিকার ২০% মানুষ মনে
করে আমরা কখনো চাঁদে যাই নি। এই
সন্দেহ কে আরো এক ধাপ এগিয়ে
দিয়েছেন বিল কেইসিং।
.
বিল
কেইসিং ছিলেন অ্যাপোলো রকেট
ডিজাইন করা কম্পানী রকেটডাইন এর
একজন প্রকৌশলী ও পর্যবেক্ষক।
চন্দ্রাভিজানের উপর তার লেখা
আলোচিত একটি বই হলো “উই নেভার
ওয়েন্ট টু দি মুন” ষাট এর দশকে নাসাতে
কর্মরত থাকা মহাকাশচারী ও
অ্যাপোলো মিশন এর বৈজ্ঞানিক
পরামর্শদাতা ব্রাইয়ান ওলেরিও এই
মিশনকে শতভাগ সত্য হিসেবে
অভিহিত করেন নি।
.
তার মতে
অ্যাপোলো ১১ মহাকাশযানটি আট দিন
পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরে তা আবার
পৃথিবীতে ফিরে আসে।
.
বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের মতে এটিকে
একটি সাজানো নাটক হিসেবে
অভিহিত করা হয়। আর এই নাটকটি
মঞ্চায়ন এর উদ্দেশ্য হিসেবে চার দশক
আগে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন ও
আমেরিকার মধ্যে চলমান স্নায়ু যুদ্ধে
মহাকাশ দৌড়ে এগিয়ে থাকাকেই
প্রাধান্য দেয়া হয়।
.
কেননা
সোভিয়েত ইউনিয়ন সর্বপ্রথম কৃত্রিম
উপগ্রহ “স্পুটনিক” মহাকাশে প্রেরণ
মহাকাশ দৌড়ে এগিয়ে থেকে
আমেরিকার মনে এক ধরণের আতঙ্কের
সৃষ্টি করেছিলো।
বিল কেইসিং তার “উই নেভার ওয়েন্ট
টু দি মুন” বইতে বেশ কিছু তথ্য উপাত্ত ও
যুক্তির সাহায্যে অ্যাপোলো ১১ এর
চাঁদের মাটিতে পা না রাখার
বিষয়টি স্পষ্ট করে তোলেন।
.
যেমন
নাসার অফিসিয়াল ভিডিওতে লুনার
মিডিউল এর ইঞ্জিন নয়েজ না থাকা,
লুনার মডিউলে ব্লাস্ট ক্রিয়েটর না
থাকা, লুনার মডিউলের ফুটপ্যাডে
কোনো ধুলাবালি না থাকা (যদি
চাঁদে অবতরন করতো তাহলে অবশ্যই ফুট
প্যাডে ধুলাবালি থাকার কথা)
ইত্যাদি সহ আরও অনেক তথ্যা প্রদর্শন
করেন। যা এই মিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
.
পুরো চন্দ্রাভিযান টি পৃথিবীতে
ধারণ করার একটি বড় প্রমাণ হলো উড়ন্ত
আমেরিকান পতাকা। আমরা সকলেই
জানি চাঁদে কোনো বাতাস নেই।
কিন্তু নাসার অফিসিয়াল ভিডিওতে
দেখা যায় চাঁদের মাটিতে
আমেরিকার পতাকাটি উড়ছে। যা
চাঁদে কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
.
ধারণা করা হয় অ্যাপোলো ১১ এর সমস্ত
নাটকটি ধারন করা হয় “এরিয়া ৫১” এ।
এরিয়া ৫১ হলো আমেরিকার এক গোপন
মিলিটারি বেজ। এখানে সাধারণ
মানুষের প্রবেশ নিষেধ। যদিও ভুলক্রমে
কেউ এখানে ঢুকে পরে তবে সেখান
থেকে সে বের হতে পারবে না।
রাশিয়ার স্পাই স্যাটেলাইটের একটি
ফটোতে দেখা যায় এরিয়া ৫১ এর কিছু
স্থানের সাথে চাঁদের পৃষ্ঠ হিসেবে
যে স্থানকে দেখানো হয়েছে তা হুবুহু
মিলে যায়।
অনেকে রসিকতা করে বলে থাকে
অ্যাপোলো ১১ হলো নাসার বিগ
বাজেটের একটি মুভি।
.
১৯৭৮ সালে
মুক্তি পাওয়া মুভি “কেপ্রিকন ১” এর
দৃশ্যের সাথে অ্যাপোলো ১১ এর অনেক
দৃশ্য মিলে যায়। মুভিটির প্রযোজক পল
ল্যাযারুস বলেন নাসা ৪০ বিলিয়ন
বাজেটে যা দেখিয়েছে আমরা ৪
বিলিয়ন বাজেটেই তা দেখাতে
পেরেছি। তার মতে ষাট এর দশকে
সেরকম দৃশ্য দেখানোর মত প্রযুক্তি
আমেরিকার ছিলো।
তবে যে যাই বলুক না কেনো, এখনো
প্রতিষ্ঠিত সত্য এটিই যে ১৯৬৯ সালের
২০ জুলাই নীল আর্মস্ট্রং ও এডুইন অল্ড্রিন
প্রথম মানুষ হিসেবে চাঁদের মাটিতে
পা রাখেন।
ধন্যবাদ
তথ্য প্রযুক্তি সেবায়, আপনাদের পাশে।
…♦ ♦…(ফেসবুকে আমি)..♦…♦.