জানতেই হবে : ৩ উপায়ে প্রশ্ন করা উচিত
—————————–
১. কখনওই অন্যের ভুল ধরার জন্য প্রশ্ন করা উচিৎ নয়। যেমন – কাউকে নামাজে হাত উঠাতে দেখলেন আর প্রশ্ন করলেন “রফাইয়াদাইন যায়েজ কিনা?”।
নিজে বাঁচার জন্য প্রশ্ন করা সঠিক, উচিত।
যেমন – “নামাজে মন না বসার কারণ কি? কিভাবে মন আসবে?”
২. দুনিয়াবি বিষয়ে জায়েজ নাকি নাজায়েজ তা প্রশ্ন করা যেতে পারে। যেমন- “টাইলস দেয়া জায়েজ কিনা, ডাভ সাবান দিয়ে গোসল জায়েজ কিনা?”
৩. ইবাদতের ক্ষেত্রে জায়েজ নাকি নাজায়েজ – কখনই এরকম প্রশ্ন শুদ্ধ নয়, সঠিক প্রশ্ন তা *সুন্নাত সম্মত কিনা? বা নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাললাম করেছেন কিনা?
যেমন- “দলবদ্ধ মুনাজাত সুন্নাত সম্মত কিনা? মিলাদ সুন্নাহ সম্মত কিনা? হইলে সেই উপায়গুলি কি?, শবে বরাতের ফজিলত ও সুন্নাত আমল কি?”।
ইত্যাদি। এতে করে যা চাচ্ছেন সঠিক বেঠিক তা আসলেই পাওয়া যাবে, ইবাদত এর ক্ষেত্রে জায়েজ নাজায়েজ খুঁজলে উত্তর আসা কঠিন হয়ে যায়। আর তর্ক অভিযোগ ও আসেনা।
মনে রাখতে হবে কোন ইবাদত সুন্নাতের বাইরে করলে তাতে সাওয়াব তো হবেইনা; বরং বিদআহ ও শিরক ইত্যাদির দিকে ধাবিত হতে পারেন,
তাই সুন্নাহ হইলে তা করা যায় নিশ্চিন্তে আর না হইলে তা করতে গিয়ে ঝুকি নিয়ে কি লাভ?
সারমর্ম-
অন্যের ভূল ধরতে নয়, নিজের লাভে প্রশ্ন করতে হবে, তবে ফাউ নয়। ডান হাতে খেতে বলা হয়েছে, বাস। বাম হাতে কি ক্ষতি? যদি বাম হাতে খায়, এত প্রশ্ন নিষেধ, যা বণি ইসরাইল রা করেছিলো। গরু যবেহ কর বললে তা করাই ঠিক ছিলো । রঙ কি? খায় কি? কাজ কি? এত শয়তানের ওয়াসওয়াসা!
আপনাকে বিদ্যুৎ এর সুইচ দিতে বললে ডান না বা হাত দিয়ে দিবেন এমন প্রশ্ন অবান্তর!
আসুন সুন্নাহর আলোকে জীবন গড়ে তুলি, আর
সঠিক প্রশ্ন জ্ঞানের অর্ধেক।
♣♣ Watch Videos ♣♣