প্রেমে সত্যতা যেমন রয়েছে, তেমনই
টুকরো টুকরো মিথ্যে, ছোট ছোট ছলনাও
কি নেই? আছে তো। তবে সেগুলো
নিতান্ত নির্বিষ মিথ্যে, প্রেমের
‘সত্যি’গুলোর মতোই মিষ্টি সেগুলোও।
এখানে রইল তেমনই ১০টি মিথ্যের হদিশ
যা প্রেমিক-প্রেমিকারা দু’জন
দু’জনকে বলে থাকে। সঙ্গে রইল সেই
মিথ্যেগুলোর ভিতরে লুকোনো
সত্যিকারের মনোভাবটাও।
১. ‘‘আমি ঠিক আছি’’:
একথার প্রকৃত অর্থ কিন্তু ‘‘আমি
একেবারেই ঠিক নেই’’।
২. ‘‘আরে, তুমি বন্ধুদের সঙ্গে মজা করো
না, আমার একটুও খারাপ লাগবে না।’’:
আলবাৎ খারাপ লাগবে। আমার সামনে
পরীক্ষা তাই নাহয় যেতে পারছি না।
তাবলে তুমি কেন তোমার বন্ধুদের
সঙ্গে সিনেমা দেখতে যাবে!!
৩. ‘‘আরে, আমি রাগ করছি না।’’:
কে বলেছে, রাগ করছি না! আমার
জন্মদিন তুমি ভুলে গেলে রাগ হওয়াই
তো স্বাভাবিক। ‘‘রাগ করছি না’’ তো
মিথ্যে করে বলছি।
৪. ‘‘তুমি আমাকে যেভাবে
ভালবাসো, আমিও তোমাকে ঠিক
তাই কখনও হয়! প্রত্যেকটা মানুষের
ভালবাসার একটা নিজস্ব ধরন রয়েছে।
‘আমার’ ভালবাসা আর ‘তোমার’
ভালবাসা কখনও একরকমের হতেই পারে
না।
৫. ‘‘আমার পৌঁছতে একটুও দেরি হবে
না।’’:
দেরি তো হতেই পারে। আগে থেকে
জানব কী করে যে দেরি হবে না?
৬. ‘‘তুমি যদি তোমার বন্ধুদেরও সঙ্গে
নিয়ে আসতে চাও আমার আপত্তি
নেই।’’
কেন আপত্তি নেই, শুনি? চাইছি তো
তোমার সঙ্গে একান্তে কিছুটা সময়
কাটাতে। তার মধ্যে তোমার
বন্ধুগুলোকে কাবাব-মে-হাড্ডি করার
দরকারটা কী?
৭. ‘‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে নিয়ে আমার
কোনও মাথাব্যথা নেই’’:
নেই আবার! সারা বছর তো ওই দিনটার
জন্যই অপেক্ষা করে থাকি। মুখে বলি
যে ‘ভি ডে’ নিয়ে কোনও মাথাব্যথা
নেই, কারণ ওটা ট্রেন্ডি শোনায়।
৮. ‘‘আমায় কেমন দেখাচ্ছে তা নিয়ে
আমি বিন্দুমাত্র চিন্তিত নই’’:
একশবার চিন্তিত, হাজারবার
চিন্তিত। নিজেকে কেমন দেখাচ্ছে
তা নিয়ে ভাবব না তো ভাবব কী
নিয়ে! ‘আমায় কেমন দেখাচ্ছে তাই
কারণ, তাহলে আর আমার চালচুলো
নিয়ে সমালোচনা করার সুযোগটা
কেউ পায় না আর কী।
৯. ‘‘তোমার যা ইচ্ছে তাই করো, আমি
কিছু বলব না’’:
আসলে চাইছি তো ঠিক উল্টোটা।
চাইছি তো, তুমি প্রতিটা কাজে
আমার পরামর্শ নিয়ে চলো, প্রতিটা
পা ফেলার আগে আমার সঙ্গে
আলোচনা করো।
১০. ‘‘না না, বিলটা মেটাতে আমার
বেশ ভালই লাগে’’:
মোটেই তা লাগে না। প্রতিবার
রেস্তোঁরায় গেলে আমাকেই বিল
মেটাতে হবে কেন, শুনি! বলি,
আধাআধি করে নিলেই তো ল্যাটা চুকে যায়