-
- একটা ঘরে যদি সাপ থাকে আর তা সামনে থাকে, তবে কেউ মরেনা, কাছে না গেলে কামড়াতে পারেনা, দেখার ফলে দুরে থাকা যায়।
- আর যদি সাপ লুকিয়ে থাকে , কেউ দেখেনা, তাহলে কেউ ভয়ে ঘরে ঢোকেনা, গেলেও না বাঁচার মত থাকে যতক্ষণ থাকে, তা যে কোন সময় আক্রমণ করে কামড়ে দিতে পারে কোন গ্যারান্টি নাই। সতর্কতার সুযোগও নাই।
- আর যদি কেউ না চেনে যে কি সাপ আর কি দড়ি, সাপের ক্ষতি কি, কিভাবে কি করতে পারে, মুখ গায়ে লাগাতে আসছে সালাম দিতে কিনা? 🙁 তাহলে তার সাপ লুকানোইবা কি আর সামনে থাকাই বা কি? অবস্থা বুঝতেই পারছেন।
আমাদের কন্ডিশন কম খারাপ না (!)। অনেকটা এরকম মানুষ এ মিশে আছেও আমাদের সমাজে, হয়তো আপনি বা আমিও এর ভেতর পড়ে যাচ্ছি নিজের অজান্তে। কোনটা শিরক, কোনটা বিদআত এ নিয়ে কথা কাটাকাটি করে ফল পাওয়া যাবেনা, শুনাঊল্লাহ্র অভাব নাই, পড়াউল্লাহ কম ই আছে, যারা পড়ে তার দেখবেন কারো সাথে তর্কেও যায়না, ভুলও কম করে, যারা পড়েনা, শুনে মাতব্বর, তারাই এসব নিয়ে বিশাল গুরুত্বের সাথে ঝগড়া করে, তারপরেও ভুল পথে চলে।
- আমার পোস্টা মুল বিষয় ” শিরক, বিদাত ও প্রবৃত্তি পূজারীদের পাল্লায় কারা পড়ে” এর ১ টি করে উদাহরণ বলি।
১। শিরকঃ অনেকেই ভাবে শুধু মন্দিরে গিয়ে মুর্তি পূজা করা শিরক। কিন্দু শিরক ও প্রথমে দেয়া ১, ২, ৩ এর মত ভাগ আছে। মুর্তিপূজা হইলো ১ এর মত প্রকাশ, তার কাছে না যাওয়া ও ক্ষতি না হওয়া স্বাভাবিক। ২ এর মত লুকানো শিরক আছে, যেমন কেউ বললঃ আমি পাপি, আমার কথা আল্লাহ্বেলঃশুনবেন না, অমুক আলেমে বা পীরের মাধ্যমে ক্ষমা চাই। হা এটা ২ ও ৩ এর সাপের মত শিরক। আপনি কোথায়? তাওবা ও ক্ষমা আপনি নিজেই চান, আল্লাহ বলেন “তুমি আমাকে ডাকো, আমি সাড়া দেবো”
২। বিদআতঃ মূলত সকল বিদআতই জায়েজ। পাপ বা সুন্নাত বিরোধী তখন হয় যখন চিন্তার ভেতর বিদআত আসে। যেমন আপনি হেটে হেটে তাসবিহ পড়েন কুরআন পড়েন , মিলাদ এ যান কোন সমস্যা নেই। কিন্তু যদি ভাবেন এই সব কাজে সাওয়াব বেশী, ফায়দা বেশি,কাজ তো খারাপ না, বিদআতে হাসানা, তাহলে ২ ও ৩ এ পড়ে গেলেন। হা, সাপ লুকালেও যদি জানেন সাপ ঐ কলসির ভেতরেই আছে শিওর, তাহলে সাপ চোখের আড়ালে আছে কিন্তু সমস্যা নেই, আপনি নিরাপদ।। কিন্তু কলসির ভেতর হাত ডুকালে……।!!
৩। প্রবৃত্তি পূজারীঃ মন যা চায় তাই করা, বিবেকে বাঁধা দিলেও সেই কাজ করা, এটা কিন্তু পাপ হলেও শাস্তিযোগ্য না যদি তাওবা না করেন বা ভুলে না করে ফেলেন। ইচ্ছা করে বার বার করছেন, ভাবছেন হাঁটুর বল কমে গেল তাওবা করবো, তাহলে যেমন শাস্তির কথা আছে, তেমন কোন ভুল, অন্যায়, রাগের বশে, অজান্তে করে ফেললে তা জানার পর সঠিক পথে ফিরে না আসলেও কঠিন শাস্তি (সমান শাস্তি যা বলা আছে) তা পাওয়া যাবে। আর তাওবা করলে গুনাহ যতই হোক মাফ ইনশাল্লাহ, তবে ১ এ যা বলেছি, অর্থাৎ শিরক এ গেলে সমস্যা।
গতকাল পোস্টে খুব দুঃখ করে বলেছি, আমাদের দেশে অনেকে মনে করে ইসলাম একটা ধর্ম তা শুধুই ধর্ম, মানুষের কোন উন্নয়ন, সামাজিক কোন কাজ ইসলাম করেনা, মুসলিম রা গোঁড়া এই ধারনা ওই ধারণা থেকেই আসে, আসলে শিরক , বিদআত, মনের আকুতি সব আমাদের সামনে আসে, ইমান তা বাঁধা দেয়, যায় ইমান যত কম সে তত এগুলাতে আসক্ত হয়। পরে বিবেক এর কথা বুঝলে তাঁবা করে ফিরে আসে সঠিক পথে।যারা দাড়িবিহীন লোকের ছবি দেখে তাকে উপদেশ না দিয়ে, তার ব্যপারে অসন্তুষ্ট না হয়ে উলটা তার প্রশংসা করে, এমন লোকেরাই শিরক, বিদাত ও প্রবৃত্তি পূজারীদের পাল্লায় পড়বে. ITS SIMPLE as 1, 2, 3….. আপনি কোথায় আছেন?