Site icon Trickbd.com

রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে কার্যকরী যে ৬ টি খাবার…

রক্তস্বল্পতা থেকে কি ভাবে রক্ষা পাওয়া যাবে বা যে সব খাবারের রক্তস্বল্পতা দূর করার ক্ষমতা রয়েছে সে বিষয়ে প্রতিদিনের ন্যায় আজ আমরা সময়ের কণ্ঠস্বর পাঠকদের জন্য সে খাদ্যতালিকা নিয়ে আলোচনা করা হল!

যে সব খাবারের রক্তস্বল্পতা দূর করার ক্ষমতা রয়েছে সেসব খাবার খেতে হবে নিয়মিত। আসুন জেনে নেয়া যাক কোন কোন খাবার খাদ্যতালিকায় যোগ করলে প্রতিরোধ করা যাবে রক্তস্বল্পতা।

যে ৬ টি খাবার রক্তস্বল্পতায় আক্রান্ত রোগীর হৃদপিণ্ডের সমস্যা, নার্ভ সিস্টেম নষ্ট হয়ে যাওয়া এবং স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। তাছাড়াও যে সব মহিলারা রক্তস্বল্পতায় ভোগেন তাদের জন্য গর্ভধারণ বেশ বিপদজনক।আসুন জেনে নেয়া যাক কোন কোন খাবার খাদ্যতালিকায় যোগ করলে প্রতিরোধ করা যাবে রক্তস্বল্পতা।

দেহের রক্তের হিমোগ্লোবিন (লাল রক্ত কনিকা) সাধারনের চাইতে কমে গেলে আমরা তাকে রক্তস্বল্পতায় আক্রান্ত রোগী হিসেবে ধরি। একজন পূর্ণবয়স্ক মহিলার জন্য রক্তে হিমোগ্লোবিন ১২.১ থেকে ১৫.১ গ্রাম/ডেসিলিটার, পুরুষের রক্তে ১৩.৮ থেকে ১৭.২ গ্রাম/ডেসিলিটার, শিশুদের রক্তে ১১ থেকে ১৬ গ্রাম/ডেসিলিটার থাকা স্বাভাবিক।

সাধারণত পুষ্টিহীনতা, দেহে ফোলেইট, আয়রন এবং ফলিক অ্যাসিডের ঘাটতির কারণে রক্তস্বল্পতা রোগ হয়ে থাকে। রক্তস্বল্পতাকে অবহেলা না করে গুরুত্বের সাথে নিতে হবে। আমাদের রক্তস্বল্পতা রোগের চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধের জন্য দেহকে তৈরি করতে হবে। তাই সবার প্রথমে আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আনতে হবে পরিবর্তন।

১. গরু/খাসির কলিজা:
রক্তস্বল্পতা রোগের প্রধান কারণ দেহে আয়রনের ঘাটতি। তাই আমাদের এমন খাবার খাওয়া উচিৎ যা দেহের আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে। খাসি বা গরুর কলিজায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। নিয়মিত গরু বা খাসির কলিজা খেলে দেহের আয়রনের ঘাটতি পূরণ হয়। তবে যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তাদের অবশ্যই গরুর কলিজা থেকে দূরে থাকতে হবে।

২. ডিম:
প্রোটিনে ভরপুর এই অসাধারণ খাদ্যটি দেহে পুষ্টি যোগায়। এতে করে পুষ্টিহীনতার কারণে সৃষ্টি রক্তস্বল্পতা দূর হয়। অন্যান্য পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি ১ টি ডিম প্রতিদিন খেলে রক্তস্বল্পতা দূর হবে দ্রুত।

৩.সবুজ শাক-সবজি:

দেহে পুষ্টি, ফলিক অ্যাসিড এবং আয়রনের কারণে রক্তস্বল্পতা রোগের উৎপত্তি হয়। দেহে এই সকল প্রয়োজনীয় মিনারেলের ঘাটতি পূরণ করতে খাবার তালিকায় রাখতে হবে প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাক-সবজি। কচুশাক, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকলি ইত্যাদি খাবার অভ্যাস করুন। রক্তস্বল্পতার হাত থেকে রেহাই পাবেন।

৪.বেদানা:
সর্বগুণ সম্পন্ন ফল বেদানা রক্তস্বল্পতা দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী। বেদানায় রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম, জিংক ও আয়রন সহ অনেক মিনারেল যা দেহের সুস্থতায় কাজ করে। দিনে ৩ বার ১ গ্লাস বেদানার রস খাবার আগে খেলে রক্তস্বল্পতা রোগ দূর হবে ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে। সুতরাং বেদানা রাখুন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়।

৫. মাছ:
মাছ সব চাইতে ভালো আয়রনের উৎস বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ। শিং মাছ, ইলিশ মাছ, ভেটকি মাছ, টেংরা মাছ ইত্যাদি সব মাছেই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সর্বনিম্ন ৬০ গ্রাম মাছ রাখুন রক্তস্বল্পতা রোগ থেকে দেহকে মুক্ত রাখতে পারবেন।

৬. ডাল:
ফোলেইট রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ফোলেইট সমৃদ্ধ খাবার রাখা অত্যন্ত জরুরী। যে কোন ধরণের ডাল উচ্চমাত্রার ফোলেইট সমৃদ্ধ। তাই প্রতিদিন মসুর, মুগ কিংবা মাসের ডাল খাবেন। ডাল আপনি সাধারণ স্যুপের মত করেও খেতে পারেন।