স্বাস্থ্য সচেতনদের মাঝে নারিকেলের জনপ্রিয়তা বেশ কম। উচ্চ মাত্রায় ‘স্যাচুরেইটেড ফ্যাট’ থাকার কারণে অনেকেই এড়িয়ে চলে এই ফল। তবে নারিকেলও ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে।
ওজন কমাতে নারিকেলের কার্যকর প্রভাব সম্পর্কে জানিয়েছে খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক এক ওয়েবসাইট।
বাড়ায় কর্মক্ষমতা: নারিকেলে থাকা ‘স্যাচুরেইটেড ফ্যাট’ অন্যান্য ‘স্যাচুরেইটেড ফ্যাট’ থেকে আলাদা। যাকে বলা হয় ‘মিডিয়াম-চেইন ট্রাইগ্লাইসেরাইড (এমসিটি)’। এটি শরীরে চর্বি হিসেবে জমা হয় না বললেই চলে, বরং কার্বোহাইড্রেটের মতো কর্মক্ষমতা বাড়ায় এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায় না। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ওবেসিটি অ্যান্ড মেটাবলিক ডিসওর্ডার’য়ে প্রকাশিত এক গবেষণা অনুযায়ি, ‘এমসিটি’ পুরুষের শরীর থেকে চর্বি ও ক্যালরি ঝরাতে সাহায্য করে।
কার্বোহাইড্রেট কম: নারিকেলে এই ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট-জাতীয় উপাদানটি বেশ কম। প্রতি ১০০ গ্রাম নারিকেলে প্রায় মাত্র ১৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট মেলে। তাই ওজন কমানোর স্বার্থে যারা কার্বোহাইড্রেট গ্রহণের পরিমাণ কমাতে চান তাদের জন্য নারিকেল আদর্শ খাবার।
পরিমাণে সতর্কতা: কার্বোহাইড্রেট কম থাকা এবং উপকারি ‘এমসিটি’ থাকার পরও নারিকেলে ক্যালরির পরিমাণ কিন্তু কম নয়। প্রতি ১০০ গ্রাম নারিকেলে প্রায় ৩৫৪ ক্যালরি থাকে। তাই নারিকেল খাওয়ার পরিমাণের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
পুষ্টিবিদদের মতে, একজন ব্যক্তির প্রতিদিনের দুগ্ধজাত খাবার ভিত্তিক ক্যালরি চাহিদার ১০ ভাগের ১ ভাগ পূরণ করা উচিৎ নারিকেল থেকে। অর্থাৎ যদি দিনে মোট দেড় হাজার ক্যালরি গ্রহণ করা হয় তবে এর মধ্যে দেড়শ ক্যালরির উৎস হওয়া উচিত নারিকেল।