বনি ইসরাইলের প্রতি নির্দেশ ছিল যে, তোমরা যখন পবিত্র নগরীতে প্রবেশ করবে তখন তোমরা বিনয় ও নম্রতার সহিত ক্ষমা প্রার্থনা করবে। অনন্তর তারা ক্ষমা না চেয়ে তার কথা বিপরীত করে। যার ফলে আল্লাহ তাআলা তাদের প্রতি আজাব ও গজব নাজিল করেন।
আল্লাহ বলেন-
অতপর জালেমরা কথা পাল্টে দিয়েছে, যা কিছু তাদেরকে বলে দেয়া হয়েছিল তা থেকে। তারপর আমি আসমান থেকে যালেমদের উপর আজাব অবতীর্ণ করেছি, আমার নির্দেশ লংঘন করার কারণে। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ৫৯)
বাংলাদেশেই সরাসরি গজবের একটি ইউটিউব ভিডিও দেখুন
https://www.youtube.com/watch?v=qS84ADHZm4Y&t=18s
বনি ইসরাইল যখন মান্না-সালওয়ার পরিবর্তে খাবার চাইলো, তখন আল্লাহ তাদেরকে পবিত্র নগরীতে প্রবেশের নির্দেশ দেন এবং حطة হিত্তাহ বা ক্ষমা চাইতে। কিন্তু তারা হিত্তার পরিবর্তে حنطة হিনতাহ বললো অর্থাৎ গম চাইলো। যা ছিল আল্লাহর নির্দেশের সরাসরি বরখেলাফ। তাই আল্লাহ তাআলা অত্যাচারীদের উপর একটি আসমানি বিপদ অবতীর্ণ করলো। কেননা তারা আদেশ অমান্য করেছিল।
বিপদের ব্যাখ্যায় হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, এ বিপদ ছিল প্লেগ রোগের প্রাদুর্ভাব। এ মহামারীর কারণে মাত্র এক ঘণ্টা সময়ে বনি ইসরাইল জাতির ৭০ হাজার লোক মৃত্যু মুখে পতিত হয়। এ শাস্তির কারণ ছিল এই যে-
ক. তাদেরকে বলা হয়েছিল বিনীতভাবে নগরে প্রবেশ করতে। কিন্তু তারা গর্বভরে শির উঁচু করে প্রবেশ করে।
খ. তাদেরকে বলা হয় সিজদারত অবস্থায় প্রবেশ কর। কিন্তু তারা সেই স্থলে নিতম্বের উপর ভর করে উক্ত নগরে প্রবেশ করে।
গ. তাদেরকে বলা হয় হিত্তাহ বলতে তারা বলে হিনতাহ।
সুতরাং আল্লাহ হুকুমের অবাধ্য হলে আল্লাহ তাআলা অবাধ্য জাতির উপর আজাব ও গজব প্রেরণ করেন। আবার কোন অবাধ্য ব্যাক্তির উপরও আল্লাহর গজব বিভিন্ন ভাবে বর্ষিত হয় যা অনেক ক্ষেত্রেই মানুষ বুঝে না। আল্লাহ তাআলা উম্মাতে মুহাম্মাদিকে কুরআন-হাদিস অনুযায়ী জিন্দেগীযাপন করার তওফিক দান করে সকল প্রকার অবাধ্যতা থেকে হিফাজত থাকার তাওফিক দান করুন।
আমিন।