আসসলামু আরাইকুম।
সবাই কেমন আছেন? আশা করি বৈশাখের সাথে নিজেকে জ্বালিয়ে তুলেছেন ঠিকই। কিন্তু কখনো কি ভেবেছেন? আপনি কিভাবে সফল হবেন? এবং সফল হওয়ার মুল দিক গুলো কি কখনো বিবেচনা করে দেখেছেন? নিম্নে দিলাম।
১. হাসি : যার সঙ্গে পরিচিত হচ্ছেন তার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আপনার মুখভঙ্গি। সব মানুষই তার উপস্থিতিকে ইতিবাচকভাবে অন্যের কাছে তুলে ধরতে চায়। সদ্য পরিচিতের কাছে মুখভঙ্গির মধ্যে একটা আন্তরিক হাসি শীর্ষস্থান দখল করে। হাসি যেহেতু সবার আগে,কাজেই সেখানে মেকিভাব থাকলে চলবে না। খুব বেশি চওড়া হাসি দিলে মনে হবে আপনি স্নায়ুচাপ সামলাতে চাইছেন। হাসির ভঙ্গির এদিক-সেদিকে আপনার সম্পর্কে মানুষের ধারণা বদলে যেতে পারে। মনে রাখবেন, আপনার হাসি যেন চোখ ছুঁয়ে যায়। নয়তো কপটচারি বলে মনে করবে সবাই। আর এ কাজে বেশ দক্ষ সফল মানুষরা।
২. সঠিক করমর্দন : আন্তরিক ও সঠিক হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে দারুণ সম্পর্ক গড়ে তোলা যায়। এর মাধ্যমে আপনার আত্মবিশ্বাস ফুটে ওঠে। হয়তো একে গুরুত্বপূর্ণ মনে করবেন না। কিন্তু করমর্দন একটা শিল্প। আর এতে আপনার পটু হয়ে ওঠা জরুরি। সফল মানুষের কৌশল অনুসরণ করতে পারেন। খুব বেশি শক্তি প্রয়োগ করে নয়, আবার একেবারে দুর্বল হাতে নয়, এমন করমর্দন করুন। তবে এ কাজের সময় মুখে আন্তরিক হাসি আর উষ্ণতা প্রদর্শন করতে হবে।
-
৩. পরিচিতি পর্ব : যেকোনো মানুষের মনে কাছাকাছি পৌঁছতে মাত্র ৭ সেকেন্ডই যথেষ্ট। তবে মুখের কথার লেনদেনের মাধ্যমেই মূল পর্ব এগিয়ে যায়। ‘পরিচিত হয়ে খুব ভালো লাগলো’ সাধারণ কথাতেই উত্তেজনা পর্যন্ত প্রশমিত হয়ে আসতে পারে। আপনাকে যে কেউ বন্ধুসুলভ বলে মেনে নেবে। আবার অতিরিক্ত বন্ধুত্বপূর্ণ কথা বলতে যাবেন না, যা দৃষ্টিকটু লাগে। আপনার ব্যক্তিত্ব ও আত্মবিশ্বাসের জানান দিতে হবে। এই পরিচিতি পর্বে সফল মানুষের জুড়ি নেই।
৪. স্পষ্ট কথা বলুন : অনেক মানুষের মুখে চমত্কার কথা লুকিয়ে থাকে। কিন্তু তারা বলতেই পারে না। আলাপচারিতায় স্পষ্ট থাকাটা বাঞ্ছনীয়। এখানে উচিত কথা বলার ক্ষেত্রে স্পষ্টবাদিতার কথা বলা হচ্ছে না। আপনি নিজেকে তুলে ধরতে স্পষ্ট থাকবেন। এমনভাবে কথা বলতে হবে যেন মানুষ শুনতে আগ্রহী থাকে। আবার আপনার বক্তব্য যেন স্পষ্ট হয়, কঠিন অর্থ লুকিয়ে রয়েছে এমন কথা বলবেন না। সফল মানুষের সঙ্গে কথা বলতে গেলে আপনি বিষয়টি অনুধাবন করতে পারবেন।
৫. চোখে চোখ : এটি ইতিবাচক
যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম।
বিবেচনা করা হয়, আপনি তার কথা
মনোযোগের সঙ্গে শুনছেন।
আর আলাপচারিতার সময় এদিক-ওদিক বেশি
বেশি তাকাবেন না। এতে আপনি যে
মনোযোগী শ্রোতা নন তা
পরিষ্কার হয়ে উঠবে। ভালো
শ্রোতার প্রতি বক্তার দুর্বলতা তৈরি হয়।
এতে দুজনের বন্ধন দৃঢ় হয়। তাই
সফলকামীরা চোখে চোখ
রেখে যোগাযোগের বিষয়টি
সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।
৬. অঙ্গভঙ্গি : মুখের কথার সঙ্গে যখন মানানসই অঙ্গভঙ্গি ফুটে ওঠে,তখন দারুণ স্মার্ট আপনি। একদল মানুষের মধ্যে আপনি যখন চমত্কার অঙ্গভঙ্গিতে কথা বলছেন, তখন সবার মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু আপনি। তবে মনে রাখবেন, মুখের কথার সঙ্গে হাত বা দেহের ভঙ্গির মিল থাকতে হবে। আবার অতিরিক্ত নড়াচড়া খারাপ দেখাতে পারে। অপূর্ব সমন্বয়টা যেকোনো সফল মানুষের মধ্যেই দেখা যায়।
ধন্যবাদ আমার সাথে কিছুকক্ষন থাকার জন্য। আশা করি ট্রিকবিডির সাথে থাকবেন।
————————————————————