ক্লাসে ঢুকার সময় হঠাৎ করে ধাক্কা
খাইলাম চেয়ে দেখি জম আমার
সামনে মানে ক্লাসের সব থেকে
ফাজিল মেয়েটা আর সয়তানের জম
যারে বলে আরকি। দেখতে
মাসাআল্লাহ আর পড়ালেখায় ও নাম
টা খুব সুন্দর নীলিমা। নীলিমা-কি
দেখে চলতে পারেন না। আমি-না
মানে। -কি মানে মানে করছেন। -না
মানে আসলে আমি সরি আমি
দেখতে
পাইনি। -বুঝেছি মেয়ে দেখলে
ধাক্কা খেতে ইচ্ছা করে বুঝি। -না
মানে বললাম তো সরি কি আজব
মেয়েরে বাবা ধাক্কা খাইছেন
লাজ্জা পেয়ে চলে যাবেন উল্টা
আমাকে এমন ভাবে জিজ্ঞাস করছেন
যেন আমি মার্ডার করেছি। -হ্যাঁ
মার্ডারি করেছেন। -মাফ চাই
মেডাম
মাফ করেন। -অকে বাই। . বলেই
মেয়েটা
একটা রহস্যময় হাসি দিয়ে চলে গেল।
আসলেই মেয়েটা খুবই ডাইনি মার্কা।
ফ্রেন্ডদের সাথে গল্প করছিলাম এমন
সময় দেখি নীলিমা আমার সামনে
এসে দাঁড়িয়েছে আমি কিছু না বলে
আড্ডায় মনযোগী হলাম। -এই যে
ফাহিম
একটু এদিকে আসুন তো। -অনিচ্ছা
সর্তেও
যেতেহচ্ছে কারণ ওর একটা বদ অভ্যেস
হল কেউ কথা না শুনলে চড় মেরে
দিবে
আর এখন যদি আমাকে সবার সামনে
একটা চড় মারে তাহলে মান সম্মান
প্লাষ্টিক। কাছে গিয়ে বললাম কি
নিরব
থাক কেন? -এমনি। -এটা কোন কথা হল
কেন নিরব থাকেন সব সময় বলেন কোন
মেয়ে ছেকা দিছে। -মাইরালা
জীবনে প্রেম করলাম না আর ছেকা
খাব। -চুপ তোমাকে কেন ডেকেছি
বলতে পার। -না কি জন্যে। -না আজ
বলব
না। -অকে আমি গেলাম। বলেই হাটা
দিলাম আড্ডার দিকে। . কিছুদিন পর
মামার দোকানে সিগারেট
খাচ্ছিলাম হঠাৎ নীলিমা হাজির
এসেই সিগারেট ফেলে আমার হাত
থেকে ফেলে দিল এবং বলল আর যদি
এসব খেতে দেখি মেরে হাড্ডি
ভেঙ্গে দিব। আমি সুধু চেয়ে আছি
কিছু
বলতে পারলাম না আর মনে মনে
ভাবছি কি আজব মেয়েরে বাবা।
তারও কিছুদিন পর রাস্তায় হাটছি
হঠাৎ
দেখি রিকসায় নীলিমা আমাকে
দেখে ডাকছে।এই মেয়েটা
পেয়েছে
কি? -এখন হাটছেন কেন? -এমনি? –
কয়টা
বাজে। -৪টায় হয় নাই ৫মিনিট বাকি।
–
ফজরের নামাজ পড়ছেন। -না। -এই নেন
বই
আমি পড়ব বলে এনেছিলাম এখন
দেখছি
এটা আমার চেয়ে তোমার বেশি
দরকার। কিছু না বলে নিয়ে নিলাম
বাসায় এসে খুলে দেখি ইসলামিক
একটা বই বইটা পড়লাম পড়ে এতদিন
নামাজ না পড়ার আফসুস করলাম এর
নামাজ পড়া বাদ দিব না বলে ঠিক
করলাম। . ৩-৪দিন পর নীলিমার সাথে
দেখা এবার আমি তাকে ডাকলাম
আকর্ষণ ফিল করছিলাম। -কেমন আছ। –
ভালো তুমি? -এই তো ভালো। –
তোমাকে একটা কথা বললতে
চেয়েছিলাম। -কি বলবে -না মানে।
–
কি মানে মানে করছ। – আসলে আমি
তোমাকে ভালবেসেফেলেছি।
মেয়েটার চোখ পানিতে ছল ছল
করছিল
হঠাৎ করে আমাকে জড়িয়ে ধরল তুমি
এত দিন লাগে এই কথা বলতে আজ
এতটা
দিন থেকে বুঝাবার চেষ্টা করছি
না
তিনি শিশু কিছুই বুঝেন না যেন। –
এবার
তো বলাম। -হুম আচ্ছা নামাজ পড়
নিয়মিত। -হুম চেষ্টা করি। -সিগারেট
খাও। -মাঝে মাঝে। -কি চড় মেরে
দাঁত ফেলে দিব যদি আর কোনদিন
খাও। -আচ্ছা আর খাব না ঠিক আছে। –
হুম
ঠিক আছে বলে আমার বুকে মাথা
রেখে চুপ করে রয়েছে। . এই
ফিলিংটা
আসলেই অনেক অনেক ভালো
লাগছে।।।।
ভাল ভাল টিপস পেতে আমার সাইটে ঘুরে আসবেন 3GTune.Com