কেউ গোমরামুখো গোমরাথেরিয়াম।
কেউ আবার হ্যাংলাথেরিয়াম,
হুঁকোমুখোহ্যাংলা। কেউ কুল তো
কেউ
হট। কেউ অল্পে খুশি। এত পেলেও
কারও
আবার মন ভরে না। সবই রক্তের দোষগুণ।
ওইযে বলে না- রক্তই কথা বলে! সত্যি
বলে। আপনার ব্লাড গ্রুপই বলে দেয়,
মানুষটি আপনি কেমন। বাজে বকছি?
দেখুন মিলিয়ে।
গ্রুপ-এ:
আপনার জীবনে কিন্তু চাপ আছে।
প্রচণ্ড
নিরাশাগ্রস্ত এবং প্রচণ্ড
সংবেদনশীল।
অল্পেই এত দুঃখ পান কেন বলুন তো?
বিশেষত, আপনি যখন ভালো ভাবেই
জানেন, কোনটা সাদা আর কোনটা
কালো। আসলে আপনার সমস্যা হচ্ছে,
আপনি সামাজিক নিয়মবিধি,
সমাজে
নিজের অবস্থান সম্পর্কে অতি-
সচেতন।
তাতেই কাল হয়েছে। অথচ দেখুন,
আপনি
সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন।
যে কোনও ধরনের পরিশ্রম করতে সমর্থ।
তা ফিজিক্যাল হোক বা মেন্টাল।
ক্ষমতাও অসীম। কারও কাছে
‘একঘেয়ে’
লাগবে, এমন ধরনের কাজেও আপত্তি
নেই আপনার। কিন্তু ওই যে হুটহাট
গোমরাথেরিয়াম-মার্কা মুখখানি,
আপনার কাল হয়ে দাঁড়ায়! তখন
আপনাকে দিয়ে কোনও কাজই
করানো
যায় না। আসলে সমস্যা হল, আপনার
মতির
স্থির নেই। আজ যা ‘হবি’, কাল
তাকেই
আপনি ‘ছবি’ করে দেবেন। অতীত
থেকে শিক্ষা নেওয়ার পক্ষপাতী
নন।
অতীত দ্রুত ভুলে যাওয়ার চেষ্টা
করেন।
কী আর করবেন? আপনি তো এমনটাই।
গ্রুপ-বি:
চরিত্রের দিক দিয়ে আপনি অনেক
আকর্ষণীয়। যে কোনও ব্যাপারে চটপট
সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
নিয়মটিয়মের
ধার ধারেন না। কেউ আপনার উপর
খবরদারি করতে এলে- ব্যস, মাথা গরম।
অন্যের হুকুম তামিল করা আপনার
ধাতে
নেই।অথচ দেখুন, চারিত্রিক ভাবে
আপনি কতটা নমনীয়। বাস্তব সম্মত বা
বৈজ্ঞানিক যুক্তি দিয়ে আপনাকে
কেউ যদি কিছু বোঝাতে চান, আপনি
বোঝেন। যা নিয়ে লেগে থাকা
নিয়ে দীর্ঘ দিন লেগে থাকেন।
কিছুতেই আপনার উৎসাহ হারায় না।
কিন্তু একঘেয়ে কাজে আপনার কোনও
আকর্ষণ নেই। শরীরের দিক থেকেও
ফিট।
রোগ বালাইয়ের বালাই নেই। আর
আপনার চরিত্রের সবচেয়ে বড় মজাটা
হল, আপনি ঝট করে অতীতকে ভুলতে
পারেন। পুরনো প্রেম জেগে ওঠে।
কিন্তু একবার ভুলে গেলেন তো
গেলেন। এটাই আপনার সবচেয়ে প্লাস
পয়েন্ট।
গ্রুপ-এবি:
রোমিও-জুলিয়েট বা লায়লা-মজনুর
ব্লাড গ্রুপ বোধ হয় ‘এবি’ ছিল।
আপনাকে
দেখলেই সেটা বোঝা যায়। আপনি
তো প্রেমিক মানুষ। প্রচণ্ড
রোমান্টিক,
সেই সঙ্গে খুবই আবেগপ্রবণ।
ভাল ভাল টিপস পেতে আমার সাইটে ঘুরে আসবেন 3GTune.Com