ভ্রমণবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে সঠিকভাবে ব্যাগ গোছানোর পদ্ধতি বর্ণনা করা হয় যেন পরে সহজেই প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো খুঁজে পাওয়া যায় এবং সুবিধা বুঝেই গুছিয়ে রাখা যায়।
কাপড় ভাঁজ না করে ‘রোল’ করে রাখুন: অগোছালো মানুষদের জন্য এই পদ্ধতি সব থেকে বেশি কার্যকর। কারণ ভাঁজ করা কাপড় বের করতে গেলে বাকি কাপড়ও এলোমেলো হয়ে যায়। সে তুলনায় ‘রোল’ করে রাখলে অগোছালো হওয়ার সম্ভাবনা কম। প্রথমে কাপড় মাঝ বরাবর ভাঁজ করে এক প্রান্ত থেকে রোল করে নিন। এভাবে রাখলে জায়গাও কম লাগে।
গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ বাছাই: ঘুরতে যাওয়ার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস মাথায় রাখা জরুরি। যেমন- জুতা। যা ছাড়া দিন পার করা দুষ্কর। এছাড়াও ফোনের চার্জার, হেডফোন ইত্যাদি বেশ গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। যদি দীর্ঘদিনের জন্য বেড়াতে যান তাহলে এই ধরনের জিনিসগুলো সম্ভব হলে অতিরিক্ত সঙ্গে নিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
উল্টা করে ভাঁজ করুন: হালকা রংয়ের পোশাক ময়লা হওয়া ও দাগ পড়ার সম্ভাবনা এড়াতে উল্টা করে ভাঁজ বা রোল করে নিন। এছাড়া সুতার বা ভারী নকশা করা পোশাকও উল্টা করে তারপর ব্যাগে রাখুন। এতে নকশা নষ্ট হওয়ার ঝুঁকিও থাকবে না।
তরল প্রসাধনীর ক্ষেত্রে: শ্যাম্পু, লোশন, তেল বা ক্রিম ইত্যাদি প্রসাধনী ব্যাগে নেওয়ার পর ঝাঁকির কারণে চুইয়ে পড়তে পারে। এই সমস্যা এড়াতে বোতলের মুখে প্রথমে পাতলা প্লাস্টিক দিয়ে তারপর ঢাকনা আঁটকে নিন। এতে ঢাকনা অসাবধানতায় ঢিল হয়ে গেলেও তা চুইয়ে অন্তত কাপড়ে লাগবে না।
শার্টের কলার ঠিক রাখতে: ব্যাগ বা লাগেজে ফরমাল শার্ট সুন্দরভাবে ভাঁজ করে রাখার পরও কলারের ভাজ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে শার্ট ভাঁজ করার পর কলারের মাঝে বেল্ট ভাঁজ করে রেখে নিন। এতে কলারের আকৃতি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কমে আসবে।
ব্রা’র আকার ঠিক রাখতে: ব্যাগে অন্যান্য পোশাকের চাপে বক্ষবন্ধনীর আকার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে ব্রা মাঝ বরাবর ভাঁজ করে একটি কাপের মধ্যে অপর কাপ চাপ দিয়ে ঢুকিয়ে দিন। এবার কাপের মধ্যে অন্য কোনো ছোট কাপড় বা ‘আন্ডারওয়্যার’ চেপে রাখুন যাতে আকার নষ্ট না হয়।
ভঙ্গুর জিনিস সাবধানে রাখুন: সুগন্ধি বা অন্যান্য কাচের বোতল এবং ভঙ্গুর অনুষঙ্গ ব্যাগে নিতে হলে মোজা বা অন্য নরম কোনো কাপড়ের মধ্যে পেঁচিয়ে নিন। ভেঙে যেতে পারে এমন জিনিসগুলো ব্যাগের মাঝাশাঝি স্থানে রাখুন এতে সরাসরি চাপ পড়বে না।
দামী জিনিস লুকিয়ে রাখুন: ঘুরতে গেলে মূল্যবান অনুষঙ্গ হারিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি সবসময়ই থাকে। এক্ষেত্রে দামী জিনিসগুলো লুকিয়ে রাখুন যেন তা সহজে চোখে না পরে। গয়না রাখতে পারেন খালি ওষুধের কৌটায়, টাকা লুকিয়ে রাখার জন্য জন্য ব্যবহার করতে পারেন পুরানো চ্যাপস্টিকের টিউব।