আজকের পোস্টটা একটু অন্যরকম। বিশেষ করে প্রবাসীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। যারা প্রবাসে থাকেন। তারা দেশে আসার সময় নিজের ব্যবহৃত জিনিষ বা পরিবারের জন্য অনেক কিছুই সাথে নিয়ে আসেন। তো বাংলাদেশ বিমান কর্তৃপক্ষের নিয়ম অনুযায়ী আপনি কী কী আনতে পারবেন, কী কী আনতে পারবেন না এবং কতটুক পরিমাণ আনতে পারবেন। আর এর বেশী হলেই বা কি হবে, তা নিয়েই আজেকের আমার এই পোস্ট। নিম্নে এই বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।
প্রয়োজনীয় :
• মোবাইলঃ ২টি শুল্কমুক্ত। আরও ৩টি শুল্কযুক্ত(প্রায় ৩৫%)। মোট ৫টির বেশি হলে BTRC’র ছাড়পত্র লাগবে।
• ল্যাপটপঃ ১টি শুল্কমুক্ত। আরও ১টি শুল্কযুক্ত (প্রায় ২০%)। মোট ২টির বেশি হলে CCI&E’র ছাড়পত্র লাগবে।
• কম্পিউটার মনিটরঃ ১টি ১৯” পর্যন্ত শুল্কমুক্ত। ২০”-২২” হলে প্রায় ৫০%, ২৩” বা তার বেশি হলে প্রায় ৭০% শুল্ক।
• টেলিভিশনঃ ২১” পর্যন্ত শুল্কমুক্ত। ২২”-২৯” হলে ১০,০০০ টাকা, ৩০”-৩৬” হলে ১৫,০০০ টাকা, ৩৭”-৪২” হলে ২০,০০০ টাকা, ৪৩”-৪৬” হলে ৩০,০০০ টাকা, ৪৭”-৫২” হলে ৫০,০০০ টাকা, ৫৩” এর বেশি হলে ৭০,০০০ টাকা শুল্ক।
.
অতিপ্রয়োজনীয় :
• ওষুধঃ প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে পরিমিত পরিমাণ। বাণিজ্যিক পরিমাণ বিবেচিত হলে DGDA’র ছাড়পত্র লাগবে।
.
অপ্রয়োজনীয় :
• স্বর্ণালংকার : ১০০ গ্রাম পর্যন্ত শুল্কমুক্ত। অতিরিক্ত প্রতি গ্রামে প্রায় ১,৫০০ টাকা শুল্ক। বাণিজ্যিক পরিমাণ বিবেচিত হলে CCI&E’র ছাড়পত্র লাগবে। চোরাচালান মনে হলে জেলে যাবেন।
• স্বর্ণবার/বিস্কুট : শুল্কযুক্ত। প্রতি ১১.৬৭ গ্রামে (১ ভরি) ৩,০০০ টাকা। ২০০ গ্রাম পর্যন্ত আনতে পারবেন। বাণিজ্যিক পরিমান বা চোরাচালান মনে হলে ঐ বা ঐ।
.
টাকা-পয়সা :
পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন, টাকা পয়সা হাতের ময়লা, তাই ময়লা আনা বর্জন করুন। ইয়ে মানে, দেখলাম আসলেই পড়তেছেন কিনা।
বাংলাদেশী মুদ্রা ৫০০০, বৈদেশিক মুদ্রা যত খুশি তত। ৫,০০০ ডলার/সমমানের বেশি হলে কাস্টমসের নিকট FMJ ফরমে ঘোষণা দিতে হবে।
.
বদ অভ্যাস :
• সিগারেটঃ মাত্র ১ কার্টন তথা ২০০ শলাকা।
• হার্ড ড্রিংকসঃ কেবল বিদেশী পাসপোর্টধারী হলে ১ লিটার।
তথ্য সূত্র : Magistrates All Airports of Bangladesh.
.
আমার ফেসবুক আইডি – www.facebook.com/Md.Mahbub.Pathan.