Site icon Trickbd.com

তরুণ-তরুণীরা ইন্টারনেটে কি দেখে? আসুন জানি কিছু তথ্য

Unnamed

অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহারের কারণে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ছে এযুগের তরুণ-তরুণীরা। জার্মানির মাইনৎস মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোদৈহিক বিভাগের একটি জরিপে এতথ্য জানা গেছে।

কী দেখে তারা? ২,৪০০ তরুণ-তরুণীদের নিয়ে একটি জরিপ করা হয়েছিল। যারা দিনের ৬ ঘণ্টাই কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল বা ট্যাবলেটের সামনে বসে সময় কাটায়। তাদের সমবয়সী বা বন্ধুবান্ধবদের সাথে মেশার তেমন কোনো আগ্রহ নেই। কারণ সামনে থাকা যন্ত্রটিই তাদের বড় বন্ধু। যখন মানুষের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠার সবচেয়ে ভালো সময় ঠিক সে সময়ই যদি তারা দিনের এতটা সময় কম্পিউটার গেম বা যৌনবিষয়ক ওয়েবসাইট নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটায় তাহলে কারো সাথে বন্ধুত্ব হওয়া খুব কঠিন। এ কথা বলেন গবেষক টিমের প্রধান ডা. মানফ্রেড বয়টেল।

যাদের নিয়ে গবেষণা করা হয়, তাদের মধ্যে শতকরা ৩ দশমিক ৪ শতাংশই ইন্টারনেটে নেশাগ্রস্ত। অর্থাৎ তারা দিনে ৬ ঘণ্টার বেশি অনলাইনে থাকে, অন্য কিছুর প্রতি তাদের কোনো আগ্রহ নেই। ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ কিশোর-কিশোরীদের নেশা না হলেও তারাও ইন্টারনেটের প্রতি খুবই আগ্রহী। সময়ের দিক থেকে ছেলেমেয়ে সমানভাবেই ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে। সময়ের দিক থেকে পার্থক্য না থাকলেও ছেলে এবং মেয়েদের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে। যেমন মেয়েরা বেশি সময় কাটায় সামাজিক যোগাযোগ এবং অনলাইন শপিং-এ, আরা ছেলেরা বেশি সময় খরচ করে কম্পিউটার গেম এ, এবং যৌন আনন্দে।

যেসব টিনএজার বা তরুণ-তরুণীরা সমাজে ভালোভাবে মেলামেশা করতে পারেনা, তারা এমন অনলাইন কার্যক্রমে ব্যস্ত থাকে যেগুলোতে সামাজিক যোগাযোগ কম হয়। এ তথ্য জানান ড. বয়টেল তাদের ক্লিনিকের আউটডোর পেশেন্ট হিসেবে আসা কম্পিউটারে নেশা টিনএজারদের সম্পর্কে। এ রকম ছেলে-মেয়েদের বাবা-মা এবং শিক্ষকদের প্রতি ডা. মানফ্রেড বয়টেলের পরামর্শ, টিনএজারদের প্রযুক্তির উন্নয়ন ব্যবহারের পাশাপাশি সামাজিকভাবে মেলামেশার বিষয়টির দিকেও সমান গুরুত্ব দেওয়া এবং লক্ষ রাখা উচিত

জিপি সিম হ্যাক করে ফুল স্পিডে ফ্রি নেট চালাতে এখানে ক্লিক করুন