এখন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন নদীতে ২৭টি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে দেশে বড় ধরনের বন্যা হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত দেশব্যাপী ৫৬২টি আশ্রয়কেন্দ্রে চার হাজার ৯৫০টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা এক লাখ ২৮ হাজার ৭৬৯টি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, প্রধান নদ-নদীগুলোয় পানি বৃদ্ধির পাশাপাশি উজানের ঢল অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। নদী বিশেষজ্ঞ আইনুন নিশাত বলেছেন, এবারের বন্যা ১৯৮৮ সালের বন্যার চেয়েও ভয়াবহ হতে পারে।
১৯৮৮ সালের বন্যাটি দেশের প্রলয়ংকরী বন্যাগুলোর অন্যতম। সে সময় বন্যায় দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ এলাকা ডুবে গিয়েছিল। স্থানভেদে এই বন্যাটি ১৫ থেকে ২০ দিন পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। এদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল এটি। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও ওই দুর্যোগটি ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়।
ওই বছর সারা দেশে প্রচুর বৃষ্টিপাতের ফলে প্রলয়ংকরী বন্যায় মাত্র তিন দিনে দেশের তিনটি প্রধান নদীতে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত পানি প্রবাহিত হয়। এই বন্যায় দেশের প্রায় ৮২ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফসলি জমি ডুবে যাওয়ায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। কলেরা আর ডায়রিয়াসহ নানা রোগে মানুষ আক্রান্ত হয়।
এদিকে, সোমবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর মহাখালীর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘এখন পর্যন্ত দেশের ২০ জেলার ৫৬ উপজেলা বন্যাকবলিত। সারাদেশে মারা গেছেন ২০ জন, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় ৬ লাখ মানুষ। এছাড়াও উত্তরাঞ্চলের বন্যার পানি মধ্যাঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সাগরে নেমে যাবে। ফলে ঢাকার নিম্নাঞ্চলসহ আরও ৯টি জেলায় বন্যার আশঙ্কা আছে। তবে ১৯৮৮ সালের চেয়ে বড় বন্যা হলেও মোকাবিলার প্রস্তুতি আছে সরকারের।’
সুস্থ সংস্কৃতির, সচ্ছ ব্যবহার।
প্রকাশিত ও প্রচারেঃFuturebd24.Com
Plz Visit Vai…