Site icon Trickbd.com

কিছু বিলুপ্ত প্রাণী যাদের শীঘ্রই পুনজ্জীবিত করা হবে (পর্ব-২)

               আসসালামু আলাইকুম

বন্ধুরা হাজার হাজার বছর আগে এই পৃথিবীতে অনেক ধরনের প্রাণীর সৃষ্টি হয়েছে। তারমধ্যে কিছু প্রাণী প্রতিকূলতা অতিক্রম করে আজও বেঁচে আছে, কিন্তু দূর্ভাগ্যবসত কিছু প্রাণী এই পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞান খুব দ্রুত এই বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রাণীদেরকে আবার এই পৃথিবীতে নিয়ে আসবে। ঐ প্রাণীদের ফিরিয়ে আনার জন্য বিজ্ঞানীরা গভীরভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চলেছেন। ঐ প্রাণীদের ডিএনএ ও চামড়ার সাহায্য নিয়ে জেনেটিক ইন্জীনিয়ারিং এর মাধ্যমে ঐ প্রাণীদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে চলেছেন। আমি এই ধরনের ৪ টি প্রাণী নিয়ে আগে একটি পোস্ট করেছি, যারা ঐ পোস্টটি দেখেননি তারা এইখানে ক্লিক করে দেখে নিন অথবা এই পোস্ট এর নিচে লিংক দেওয়া আছে ওখানে ক্লিক করে দেখে নিতে পারেন। তাহলে আসুন আরও ৪টি প্রাণীর সাথে পরিচিত হই যাদের আবার পুনজ্জীবিত করা হবে।

১. আইরিস এল্ক

হবিড মুভিতে আমরা এল্ক বা বিশালাকার হরিণ দেখেছি, যার মাথায় বৃহদাকার শিং ছিল। এগুলোর শিং ৪ মিটার পর্যন্ত হতে পারে।

এই বৃহদাকার হরিণটির দেহাবশেষ ও জীবাশ্ব খুঁজে পাওয়া গেছে। এই বৃহদাকার শিংয়ের কারণেই এই প্রজাতিটি বিলুপ্ত হয়ে যায়। বিজ্ঞানীরা খুব তারাতারি এই প্রজাতিকে এই পৃথিবীতে নিয়ে আসবে।

২. ডোডো

ডোডো নামের এই পাখিটিকে একমাত্র মরিসাস দীপে পাওয়া যেত। ১৫৯২ সালে এটিকে আবিষ্কার করা হয় এবং ১৬৬২ সালের মধ্যে এটি বিলুপ্ত হয়ে যায়। এই পাখির কোনো ডানা ছিল না। ক্রমাগত শিকারের ফলে এই পাখিটির অস্তিত্ব পৃথিবী থেকে মুছে যায়।

ডিউরেল নামক একটি প্রজেক্ট এর মাধ্যমে এটিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।

৩. স্টেলারস সিই কাউ

এই বিশালাকার সামুদ্রিক প্রাণীটি ৮ মিটার লম্বা এবং এটির ডায়ামিটার ছিল ৬ মিটার। ১৭৪১ সালে কমান্ডা আইল্যান্ড এ এটিকে আবিষ্কার করা হয়েছিল। যদিও ১৭৬৮ সালের মধ্যে অতিরিক্ত শিকারের ফলে এটি বিলুপ্ত হয়ে যায়।

জীবাশ্ম এবং অস্থি থেকে পাওয়া ডিএনএর সাহায্যে ক্লোনিংয়ের মাধ্যমে এটিকে পুনঃরূদ্বার করা সম্ভব।

৪. উলি রাইনোসেরোছ

ম্যমথ এর মতো এই পশমআবৃত প্রাণিটিরও অস্তিত্ব ছিল এই পৃথিবীতে। প্রায় ১০ হাজার বছর আগে বরফের দেশগুলোতে এদের অস্তিত্ব ছিল। প্লাসটসিন যুগের আপ্টিকের বরফে এগুলো বিচরণ করত।

প্রাকৃতিক কারন এবং আদিমানব দ্বারা শিকারের কারণে এগুলো ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যায়। এদের ডিএনএ পুরোপুরিভাবে সংরক্ষিত আছে। ছুমাত্রার রাইনোসেরোছদের সাহায্যে এই প্রজাতিটির পুনজ্জীবিত করা সম্ভব।

 

এইরকম আরো সুন্দর সুন্দর পোস্ট পেতে আমার ওয়েভসাইটটিতে ঘুরে আসুন

 

কিছু বিলুপ্ত প্রাণী যাদের শীঘ্রই পুনজ্জীবিত করা হবে (পর্ব-১)

 

তাহলে বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। যদি পোস্টটি ভালো লাগে একটি লাইক দিবেন। আর যদি কোনো ভুল-ত্রুটি হয় তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন,সুস্হ্য থাকবেন। আল্লাহ্ হাফেজ…