কচুর পরিচয় :
স্থলাভূমি ও জলাভুমিতে জন্মকৃত সবুজ পাতা বিশিষ্ট এক ধরণের বিশেষ গাছকে কচুর গাছ বলে। এর পাতাগুলো খুব মসৃণ ও মোলায়েম হয়, যার কারণে বৃষ্টির পানি পাতার উপর পড়ার সাথেই মাটিতে পড়ে যায়। আমাদের টিম গবেষণা করে যা পেয়েছে তা হচ্ছে, পাতা ছাড়া কচু গাছের মূল থেকে কাণ্ড পর্যন্ত যা থাকে তাকেই কচু বলে। তবে কিছু কিছু কচুর জাতগুলোতে গাছের মূলে মাটির নিচে আলুর মতো করে হয়।
.
কচু নিয়ে কিছু হাস্যকর বাক্য :
১। যখন কেউ কোনো কিছু না বুঝেও বলে ‘বুঝেছি’ তখন তাকে বলা হয়, “তুই মিয়া কচু বুঝেছিস।”
২। হোস্টেলে বসে চা খাচ্ছি। ইতিমধ্যে এক বন্ধুর সাথে দেখা। সে বলতেছে, “বন্ধু কি খাচ্ছোস?” আমি বললাম, “কচু খাচ্ছি। দেখতেছিসই তো কি খাচ্ছি। ঐ হোটেল ম্যানেজার এরে এক কাপ কচু দে তো।”
৩। মাঠে ফুটবল খেলতে গেলাম। কেবল দুটো শট মেরেছি তাতেই পা মচকে গেলো। কোনো রকম বাড়িতে আসলাম। এবার মা বলতেছে, “এখন থেকে বাড়িতে বসে বসে উন্নতমানের কচু খাবি। এবার তো তোর দাফাদাফিটা কমবে।”
৪। যখন প্রিয় মানুষের সাথে রাগ হয়, তখন অন্য কোনো গালি বের না হলেও “কচুপোঁড়া” শব্দটা বের হয়।
৫। ধুর হারামজাদা, তোর মাথায় কচু আছে। সব সময় দুই লাইন বেশি বুঝোস!
৬। কচু গাছের লগে ফাঁসি দিমু!!
.
বর্ণনা :
কচু একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিকর সবজি। আমাদের দেশে কচু তেমন সমাদৃত নয়। কচুকে অনেকটা অবহেলার দৃষ্টিতে দেখা হয়। অথচ কচু শাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’, ক্যালসিয়াম, লৌহ ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে। আর এদিকে আমরা সেই ক্লাস টু থেকে পড়ে আচ্ছি যে, রাতকানা রোগীকে বেশী করে কচুশাক খাওয়াতে হবে।
কচুর প্রকারভেদ :
বনে জঙ্গলে যেসব কচু জন্মায় সেগুলোকে সাধারণত বুনো কচু বলা হয়। এর সবগুলো মানুষের খাবারের উপযোগী নয়। খাবার উপযোগী জাতগুলোর অন্যতম হচ্ছে, “মুখীকচু, পানিকচু, পঞ্চমুখী কচু, ওলকচু, দুধকচু,
মানকচু, শোলাকচু ইত্যাদি।”
.
কচু ও কচুপাতার উপকারিতা :
১। কারো গায়ে এলার্জি থাকলে ধারাবাহিক এক সপ্তাহ কচুপাতা গায়ে ঘষাঘষি করলে চুলকানি বেশ কমে যেতে পারে।
২। যার বৌয়ের বাচ্চা হয় না! নিয়মিত কচুশাক তথা কচুপাতা খেতে বলুন। কাজ হতে পারে।
৩। যাদের পড়া মনে থাকে না কিংবা অঙ্ক সহজে মাথায় ঢুকতে চায় না! তারা বেশী করে ওলকচু ও পানিকচু খাবেন। কাঁচায় না খেলে ফায়দা অনিশ্চিত।
৪। যে ছেলেমেয়েদের রাগ বেশী! তারা যেন প্রতিদিন এক গ্লাস করে মুখীকচু ও বুনো কচুর পাতার রস খায়।
৫। সর্বপরি যারা নিয়মিত কচু ও কচুশাক খায়, তাদের মন ও স্বাস্থ্য সর্বদা কচুপাতার মতো ফ্রেশ থাকে।
.
কচুর অপকারিতা :
এযাবৎ আমাদের গবেষণায় কচু ও কচুপাতার অপকারিতা ধরা পড়েনি। তবে বেশী খাইলে পাতলা পায়খানা, জ্বর ও গলাচুলকানীয় রোগ হতে পারে। চিন্তা করবেন না! এর জন্য একটা “নাপা এক্সট্রা”ই যথেষ্ট।
.
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
.
সাবধানতা :
যেহেতু কচুও এক ধরণের ওষুধের মতো। সুতরাং সকল ওষুধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন। নবজাতকের ক্ষেত্রে দীর্ঘ মেয়াদী চিকিৎসা পরিহার করুন। নচেৎ অক্লুশন ছাড়াও এড্রেনাল সাপ্রেশন হতে পারে। শুধুমাত্র ডি-রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যবহার্য। শূয়োর থেকে দূরে ও যেখানে সূর্যের আলো আসতে পারে সেখানে কচুর আবাদ করুন।
.
লেখাঃ কাওছার আজাদ [কচু]