Site icon Trickbd.com

Edward mordrake – দুমুখো মাথার মানুষের গল্প

Unnamed

ট্রিকবিডি ভিউয়ার্সদের স্বাগতম


আপনারা সবাই কেমন আছেন?? আশা করি ভাল। ট্রিকবিডির লাইফস্টাইল বিভাগকে তথ্যমূলক কনটেন্ট দ্বারা সমৃদ্ধ করার উদ্দেশ্যে এটি আমার 4 নম্বর পোস্ট ??☺

Edward Mordrake – The Two-Faced Man


……
360 ডিগ্রী কোণে মাথা ঘুরে যাওয়ার ব্যাপারটা হয়তো অনেকেই আপনারা হরর মুভিগুলোতে দেখে থাকবেন। প্যারানরমাল এক্সপার্টদের মতে,একটা মানুষের উপর যখন এভিল স্পিরিট বা জ্বীন ভর করে তখনই এই ব্যাপারটা ঘটে থাকে। আই মিন, ডেমনিক পোজেশন!
কিন্তু,কি হতো,যদি আমরা সামনে-পিছনে উভয়দিকেই দুটো মুখ নিয়ে জন্মাতাম? আর দুটো মুখই যদি কথা বলতে পারতো?
হয়তো দেখা গেল আপনি এক মুখে মিথ্যা বললেন,কিন্তু আপনার আরেকটা মুখ আবার সত্যিটা বলে দিলো! নিশ্চয়ই সুখকর না ব্যাপারটা মোটেও!
হয়তো আপনার কাছে এই ব্যাপারটা বিদঘুটে মনে হতে পারে,কিন্তু এমন অদ্ভুদ ধরনের মানুষ হিসেবেই অনেককে জন্ম নিতে দেখা গেছে পৃথিবীর ইতিহাসে। তবে,সামনে-পিছনে উভয়দিকেই মাথা নিয়ে জন্মানোর ব্যাপারটা খুবই রেয়ার বলা যেতে পারে। তো,এই রেয়ার জেনেটিক ডিসঅর্ডারটার মেডিকেল টার্মে যাওয়ার আগে এই ডিসঅর্ডার নিয়েই জন্মানো এডওয়ার্ড মডরেককে নিয়ে কিছু বলা যাক…..
.
এডওয়ার্ড মর্ড্রেকের জন্ম হয় মূলত উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি কোনো একটা সময়ে,অভিজাত এক ব্রিটিশ পরিবারের উত্তরাধিকারী হিসবে। আঠারো শতকের দিকে ইংল্যান্ডে বেশ কিছু অভিজাত পদবি ছিলো এই যেমন ডিউক,আর্ল,ব্যারন ইত্যাদি। এখানে কথা হচ্ছে,শুধুমাত্র কিছু নির্দিষ্ট অভিজাত ব্রিটিশ পরিবারই এসব পদবির উত্তরাধিকারী হতো। তো,সেসময় শুধু ব্রিটিশ রয়্যাল ফ্যামিলিই তাদের উত্তরাধিকারী নির্বাচন করতে পারতো এবং এই উত্তরাধিকারীর হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়াটা “হাউস অব লর্ডস”-এ খুব জাঁকজমকপূর্ণ ভাবেই পালন করা হতো। তো,এডওয়ার্ডও সেরকমই এক পরিবারে জন্ম নেয় এবং সবরকম সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে থাকে। এই ব্যাপারটা অনেকটা এমন যে,জন্মের সময়ই আপনি লটারি জিতে নিলেন! কিন্তু,এডওয়ার্ডের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ঠিক সেরকম ছিল না……
.
এডওয়ার্ডের কন্ডিশনের ব্যাপারে সবচাইতে ভালোভাবে উল্লেখ এসেছে ডক্টর জর্জ গোল্ডের লেখা “এনোমেলিস এন্ড কিউরিয়োসিটিস অফ মেডিসিন(১৯০০)” বইটাতে….এই বইটাতে এডওয়ার্ডের এই জেনেটিক ডিসঅর্ডারের ভয়ংকর সব ব্যাপার তুলে ধরেন ডক্টর গোল্ড।
.
দুর্ভাগ্যক্রমে এডওয়ার্ডকে পরীক্ষা করার সুযোগ হয়েছিলো ডক্টর গোল্ডের। এবং,এডওয়ার্ড তার কন্ডিশনের ব্যাপারগুলো একেবারে খোলাসা করেই বলে ডক্টর গোল্ডের কাছে এবং ভয়ংকর কিছু অভিজ্ঞতা তুলে ধরে। তো,ডক্টর গোল্ড তার বইটিতে লিখেছিলেন যে,এডওয়ার্ড তার মাথার পিছনের দিকে সম্পূর্ণভাবেই দ্বিতীয় আরেকটা মুখ নিয়ে জন্মেছিলো। মূলত এই ব্যাপারটা মারাত্মক রকম অস্বস্তিতে ভোগাতো এডওয়ার্ডকে। অবস্থা এতটাই মারাত্মক আকার ধারণ করেছিলো যে, এডওয়ার্ড পুরোপুরিই তার পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বসবাস করা শুরু করে,এমনকি সে নিজের পরিবারের সদস্যদের সাথেও কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলো। বুঝতেই পারছেন যে,সেসময় ব্রিটিশ অভিজাত পরিবারগুলোকে যথেষ্ট রেস্ট্রিকশনের মধ্যে থাকতে হতো। আর এর কারণেই এডওয়ার্ডের ডিসঅর্ডারটা মেনে নিতে পারেনি তার পরিবার। এ ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছিলো এডওয়ার্ড আর সেকারণেই আশপাশের সবার থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সে।
.
এডওয়ার্ডের ব্যাপারে ডক্টর গোল্ড তার বইতে লিখেছিলেন যে,”Edward was a young man of fine attainments,a profound scholar and a musician of rare ability….”
.
এডওয়ার্ডের প্রথম মুখটা অর্থাৎ আসল চেহারাটা ছিলো স্বাভাবিক,সুদর্শন কিন্তু দ্বিতীয় মুখটা অর্থাৎ মাথার পেছন দিকের চেহারাটা ছিলো অনেকটাই বৃদ্ধ মহিলার মতো। এ দ্বিতীয় মুখটার ব্যাপারে ডক্টর গোল্ড লিখেছিলেন, “The second face is lovely as a dream,hideous as a devil!”
এডওয়ার্ড বলতো যে,সে যখন এসব ব্যাপারে চিন্তা করে কান্না করতো,তখন মাথার পিছন থেকে সে তাচ্ছিল্যের হাসি শুনতে পেত…. ব্যাপারটা একটু ভাবুন,আপনি যখন একমুখে কাঁদছেন আর আপনার অন্য মুখটাই তখন টিটকারি মেরে হাসছে! It’s horrible!
.
এখানে একটা কথা হলো যে,এডওয়ার্ডের সেকেন্ড ফেস মানে পেছনের মুখটা অনেকটাই তার কন্ট্রোলের বাইরে ছিলো,শুধুমাত্র চোখ দুটো ছাড়া!
.
এডওয়ার্ড বলতো যে,মাথার পেছনের চোখ দুটো দিয়ে সে পেছনের প্রায় সবকিছুই দেখতে পেতো; এই যেমন ধরুন,আপনার পেছনে হয়তো কেউ দাঁড়িয়ে আছে,আমি আপনি হয়তো তাকে দেখতে পাবো না,কিন্তু এডওয়ার্ড তার পেছনের চোখদুটো দিয়ে প্রায় সবকিছুই দেখতে পারতো এবং তার পেছনের চোখ দুটোর অপটিক স্নায়ুগুলো ছিলো পুরোপুরি সচল!
.
সবচাইতে মারাত্মক আর ভয়ংকর যে ব্যাপারটা এডওয়ার্ডের সাথে ঘটতো সেটা হলো,এডওয়ার্ড যখন রাতে ঘুমাতো তখন প্রায় সময়ই তার ঘুম ভেঙে যেত, সে শুনতে পেত যে তার রুমে কেউ ফিসফিস করে কথা বলছে। পরে এডওয়ার্ড বুঝতে পারতো যে,তার ওই দ্বিতীয় মুখটাই আসলে ফিসফিস করছে। যদিও এই দ্বিতীয় মুখটার ভয়েস অডিবল ছিলো না। প্রথমদিকে এই ব্যাপারটাতে মারাত্মক রকমের ভয় পেয়ে যেত সে,পরে অবশ্য এই ব্যাপারটাতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। ভয়ংকর এসব অভিজ্ঞতার কারণে এডওয়ার্ড তার সেকেন্ড ফেসটাকে “Devil Twin” বলে অভিশাপ দিত। এডওয়ার্ড ডক্টর গোল্ডকে কাঁদতে কাঁদতে বলতো যে,এসবই তার পূর্বপুরুষদের পাপাচারের ফল, যার পরিণাম তাকে ভোগ করতে হচ্ছে।
.
এসব কারণে এডওয়ার্ডের শারীরিক অবস্থা দিন দিন খারাপের দিকে মোড় নিচ্ছিলো আর একারণেই ম্যানভার্স আর ট্রেডমিল নামে দুজন ফিজিশিয়ান নিয়োগ করে তার পরিবার। এডওয়ার্ড মাঝে মাঝে ওই দুজন ফিজিশিয়ানকে বলতো,”আপনারা আমার শরীর থেকে ওই শয়তানের মাথাটাকে সরিয়ে দিন,এতে আমি যদি মারাও যাই তবুও আমি শান্তি পাবো। কিন্তু এভাবে আমি আর ওই “ডেমন ফেস”টা নিয়ে বাঁচতে চাই না…”
.
এত সিকিউরড থাকার পরও কোনো একদিন বিষ পান করে সুইসাইড করে এডওয়ার্ড। যেসময় তার বয়স ছিলো মাত্র তেইশ বছর! এটা খুবই অনুমেয় যে,এই সেকেন্ড ফেসটাই এডওয়ার্ডের মৃত্যুর জন্য দায়ী,যেকারণে তার মেন্টাল হেলথের উপর মারাত্মক চাপ পড়েছিল। আর মূলত এর ফলেই সুইসাইড করতে বাধ্য হয় এডওয়ার্ড। মৃত্যুর আগে এডওয়ার্ড একটা সুইসাইড নোট লিখে যায়,যেটাতে লিখা ছিলো,
“Please,destroy the ‘demon face’ before my burial,lest it continues it’s dreadful whispering in my grave”
.
এবার এই সেকেন্ড ফেসটার মেডিক্যাল টার্মে আসি। মেডিকেলের ভাষায় এই জেনেটিক ডিসঅর্ডারটাকে বলা হয় “Diprosopus”…. এই ডিপ্রোসোপাস শব্দটা একটা গ্রীক শব্দ যেটা কিনা ল্যাটিন ভাষা থেকে উদ্ভুত। এর অর্থ হলো “দুই মুখওয়ালা মানুষ” বা “Two-faced man”। অনেকসময় এই জেনেটিক ডিসঅর্ডারটাকে “Craniofacial duplication” ও বলা হয়ে থাকে। এই ক্রেনিওফেসিয়াল ডুপ্লিকেশন খুবই রেয়ার একটা কনজেনিটাল ডিসঅর্ডার যা দ্বারা আপনার পুরো মুখ কিংবা মুখমণ্ডলের অংশবিশেষের প্রতিলিপি তৈরি হয়। অনেকেই আবার এই ক্রেনিওফেসিয়াল ডুপ্লিকেশনকে “পলিসেফালি”র সাথে গুলিয়ে ফেলে। যদিও দুটো ডিসঅর্ডার একে-অন্যের থেকে পুরোপুরিই আলাদা। “পলিসেফালি” মানে হলো দুটো ভিন্ন ভিন্ন মাথা নিয়ে জন্মানো। আর ক্রেনিওফেসিয়াল ডুপ্লিকেশনের কথা তো বললামই!

.
তো,কথা হলো,এই ক্রেনিওফেসিয়াল ডুপ্লিকেশন কি কারণে হয়ে থাকে?
– অনেকেই বলে থাকেন যে,এই অস্বাভাবিকতা দুটো ভ্রূণের মিলন বা অসম্পূর্ণ পৃথকীকরণের কারণে হয়। আসলে এটা পুরোপুরিই ভুল ব্যাখ্যা। এই ডিসঅর্ডারটা হয় মূলত SHH(Sonic Hedgehog) প্রোটিনের অস্বাভাবিক আচরণের কারণে। গবেষণায় দেখা গেছে যে,ভ্রূণের ক্রমবিকাশের সময় এই SHH প্রোটিন এবং তার অনুরূপ জিনগুলো ক্রেনিওফেসিয়াল প্যাটার্নিংয়ে সংকেত প্রদান করে।
.
কিভাবে হয় এই ক্রেনিওফেসিয়াল ডুপ্লিকেশন?
– মূলত এই SHH প্রোটিন আমাদের মুখের অাকৃতি সম্প্রসারণে এবং গাঠনিক প্রতিলিপি তৈরিতে কাজ করে থাকে। আর,এই SHH প্রোটিন যখনই অস্বাভাবিক আচরণ করে ঠিক তখনই শুরু হয় বিশৃংখলা। ব্যাপারটা কিভাবে ঘটে জানেন?
আপনার মুখমন্ডল যতই সম্প্রসারিত হতে থাকে ততই আরো কিছু প্রতিলিপি তৈরি হতে থাকে অনেকটা আয়নার প্রতিবিম্বের মতো। আর,এই SHH প্রোটিন অস্বাভাবিক আচরণ করলেই ব্যাপারটা কন্ট্রোলের বাইরে চলে আর ঠিক তখনই জেনেটিক ডিসঅর্ডার দেখা যায়!
.
এই সেকেন্ড ফেসের ব্যাপারটাতে এডওয়ার্ড মর্ড্রেক-কেই একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে ধরা হয়,যার দুটো মুখই প্রায় সমানভাবে নিজেদের এক্সপ্রেস করতে পারতো। আই মিন, হাসি,কান্না,রাগ অভিমান এসব এক্সপ্রেশন গুলো শুধুমাত্র এডওয়ার্ডের মধ্যেই দেখা গেছিলো। যদিও এই ক্রেনিওফেসিয়াল ডুপ্লিকেশন ডিসঅর্ডার আরো অনেকের মধ্যেই দেখা গেছে। কিন্তু তাদের কারোরই এই সেকেন্ড ফেসটা ঠিক ততটা কার্যকরী ছিলো না,যতটা না এডওয়ার্ডের ছিলো।
.
এডওয়ার্ডের সমসাময়িক আরো একজন মানুষের মধ্যে craniopagus parasiticus( কনজেনিটাল ডিসঅর্ডারের আরেক রূপ) দেখা গিয়েছিলো; মেক্সিকোর প্যাসকুয়েল পিনোন(১৮৮৯-১৯২৯)। তার ক্ষেত্রে সেকেন্ড ফেসটা ছিলো মূলত মাথার উপরের দিকে… একারণেই পিনোনকে ডাকা হতো “Two-headed Man” নামে।
.
দুর্ভাগ্যের ব্যাপার হলো,ডিপ্রোসোপাস বা সিডি(Craniofacial Duplication) নিয়ে জন্মানো বেশিরভাগ শিশুই খুব বেশিদিন বাঁচে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভ্রূণ অবস্থায় মৃত্যু হয় তাদের। এ ব্যাপারে ভালো উদাহরণ হতে পারে, ২০০৮ সালে ভারতের দিল্লীর সোহানপুরে জন্ম নেওয়া চার চোখ,দুই নাক আর দুই মুখওয়ালা শিশু লালী সিং।জন্মের মাত্র দুই মাসের মাথায় মারা লালি…. একইভাবে ২০১৪ সালের ৮ই মে জন্ম নেয় ফেইথ এন্ড হোপ হাওয়ি। এদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা হয়েছিলো ব্রেনে। আর একারণেই একই দেহে জন্মাবার পরও তারা একেবারে দুটো ভিন্ন মানুষের মতো আচরণ করতো। অবশ্য দুর্ভাগ্যজনকভাবে জন্মের মাত্র ১৯ দিনের মাথায় ফেইথ ও হোপ হাওয়ি মারা যায়….
.
তবে,এই ডিপ্রোসোপাস বা ক্রেনিওফেসিয়াল ডুপ্লিকেশন যে শুধুমাত্র মানুষের ক্ষেত্রেই হয়,তা না। অন্যান্য প্রাণীদের ক্ষেত্রেও এই ব্যাপারটা লক্ষ্য করা যায়। তবে,খুব কম ক্ষেত্রেই তারা সার্ভাইভ করতে পারে।
“জেনাস ক্যাটস” ছিলো এরকমই একটা বিড়াল,যদিও তার মধ্যে ব্যতিক্রম দেখা গেছিলো। ডিপ্রোসোপাস ডিসঅর্ডার নিয়েও প্রায় ১২ বছর বেঁচে থেকে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লিখিয়েছিলো “ফ্র‍্যাংক এন্ড লোয়ি” নামের এই জেনাস ক্যাট….
.
তো,ডিপ্রোসোপাসের এই ব্যাপারটার কারণেই অনেকে ভাবে যে,যেখানে এই ডিসঅর্ডার নিয়ে জন্মানো মানুষ বা অন্যান্য প্রাণীর সার্ভাইভাল রেট একেবারেই শূন্যের কোটায় সেখানে এডওয়ার্ড মর্ড্রেক কিভাবে এতদিন বেঁচে ছিলো! ব্যাপারটা নিয়ে আজও পর্যন্ত ডিবেট রয়ে যায়। তবে,এডওয়ার্ড যদি এই ডিপ্রোসোপাস নিয়ে ২৩ বছর বেঁচেও থাকে,তবে সেটা হবে সম্পূর্ণই মিরাকল! কেননা এডওয়ার্ডের এতগুলো বছর বেঁচে থাকার পেছনে আসলে রহস্য কি সেটা এখনো পর্যন্ত গবেষকরা সমাধান করে উঠতে পারেননি!
….
পুরো টপিকটার মোরাল কি জানেন?
– “সৃষ্টিকর্তা আসলেই আমাদের অনেক বেশি ভালো অবস্থায় রেখেছেন,এ ব্যাপারটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই!”
…..
[ Informations gathered from: Wikipedia, Mysterious Universe, Mysterious Facts, Strange Biology, Pictures In History ]

আজকে এই পর্যন্ত