Site icon Trickbd.com

[Hot] মাত্র ৫মিনিটে ঘরে বসেই তৈরী করে নিন e TIN সার্টিফিকেট। এটা কি এবং কিভাবে তৈরি করবেন। New!!

Unnamed

আসসালামু আলাইকুম,
আশা করছি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভালো আছেন।

আজকে আপনাদের কাছে বহু আকাংখিত ও প্রতিক্ষিত একটি টিউন উপস্থাপন করছি।

আজকে আপনাদের শিখাবো,কিভাবে ঘরে বসেই মাত্র ৫মিনিটে e TIN সার্টিফিকেট তৈরী করবেন। প্রথমে জেনে নেই, e TIN কি?

→ e TIN হলো Electronic Taxpayers Identification Number. যার মাধ্যমে দেশের একজন সুনাগরিক বা দায়িত্ববান ব্যক্তি অনলাইনের মাধ্যমেই তার আয়কর পরিশোধ করে থাকেন।

#এখন জানবো, যেভাবে আপনি e TIN Certificate অনলাইনে তৈরী করবেন।

আপনাকে অবশ্যই মন দিয়ে টিউনটি পড়তে হবে।
অথবা ভুল এড়াতে নিম্মোক্ত ভিডিও দেখে নিতে পারেন।

ধাপসমুহঃ

১. প্রথমে মোবাইল বা কম্পিউটার এর যেকোন ব্রাউজার দিয়ে secure.incometax.gov.bd অথবা এই লিংকে ক্লিক করুন।

২. এখান থেকে Register অপশনে ক্লিক করুন।

৩. User ID এর স্থলে আপনি আপনার পছন্দমতো User ID দিন। অবশ্যই কমপক্ষে ৮সংখ্যার হতে হবে।

৪. তারপর Password এর স্থলে আপনার পছন্দমতো পাসওয়ার্ড দিন। অবশ্যই পাসওয়ার্ড ৪সংখ্যার হতে হবে।

৫. Retype Password এর স্থলে একই পাসওয়ার্ড পুনরায় দিন।

৬. Mobile Number, Email ইত্যাদি বাকিতথ্যগুলো খুব সহজে পুরন করুন।

৭. তারপর Captcha পুরন করে Register এ ক্লিক করুন।

৮. এখন আপনার মোবাইলে একটি Verification Code চলে গেছে। সেই কোডটি এই খালি বক্সে দিয়ে Activate ক্লিক করুন।

৯. এখন আপনার Registration সফল হয়েছে। এখন Login এ ক্লিক করুন।

১০. এখানে User ID & Password দিয়ে Login করুন।

১১. ব্যস, এখন Main Dashboard চলে এসেছে। এখানে নিচের দিকে Click here এ ক্লিক করুন।

এখন যে ধাপে এসেছেন তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Taxpayer Type/ করদাতার ধরণঃ

1.অপশন ‘A’ হতে করদাতার ধরণ নির্বাচন করতে হবে। এই অপশনটিতে ৫টি অপশন দেওয়া রয়েছে।

→যে সকল করদাতা বাংলাদেশী, যাদের ভোটার আইডি কার্ড রয়েছে। এছাড়া যাদের আয়ের প্রধান উৎস ব্যক্তিগত ব্যবস্থা, বেতন, পেশাগত, বাড়িভাড়া ইত্যাদি তাদেরকে Individual -> Bangladeshi অপশন নির্বাচন করতে হবে।

2. তারপর ‘B’ অপশনটি হতে Having NID অথবা MINOR দুটি অপশন রয়েছে।

→ যেসকল করদাতার আইডি কার্ড আছে অর্থাৎ ১৮বছরের উর্ধ্বে তারা Having NID সিলেক্ট করবেন আর যে সব করদাতার বয়স ১৮ বছরের কম তারা Minor অপশনে ক্লিক করবেন।

Registration Type/ নিবন্ধনের ধরনঃ


এই অপশন হতে একজন করদাতা কি ধরনের রেজিষ্টেশন করবে তা নির্বাচন করতে হবে। এখানে অবশ্য দুইটি অপশন রয়েছে এক নতুন রেজিষ্টেশন ও দুই পুরনায় রেজিষ্টেশন।

1. Re-Registration:
→ যে সকল করদাতা বর্তমানে ১০ ডিজিটের টিআইএন এ রয়েছেন সেকল করদাতা অনলাইনে ১২ ডিজিটের টিআইএন নিতে হলে তাদেরকে অবশ্যই ‘Re-Registration’ অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে।

2. New Registration:
→ যারা সম্পুর্ন নতুনভাবে রেজিষ্ট্রেশন করতে এসেছেন তারা New Registration ক্লিক করবেন।

New Registration ক্লিক করলে একটি নতুন বক্স চালু হবে। নিচের মত করে দেখুন।
↓↓↓↓

Main source of income:
এই অপশনটিতে একজন করদাতা তার আয়ের প্রধান উৎস নির্বাচন করতে পারবেন। এতে ৪টি অপশন রয়েছে।

1. Service:যে সকল করদাতার আয়ের প্রধান উৎস বেতন তারা ‘service’ অপশনটি সিলেক্ট করবেন।

2. Profession: যে সকল করদাতার আয়ের প্রধান উৎস পেশা যেমন আইনজীবি, ডাক্তার, প্রকৌশলী তারা ‘profession’ অপশনটি সিলেক্ট করবেন।

3. Business: যে সকল করদাতার আয়ের প্রধান উৎস ব্যবসা তারা ‘business’ অপশনটি সিলেক্ট করবেন।

4. Others: যে সকল করদাতার আয়ের প্রধান উৎস সেবা, পেশা কিংবা ব্যবসা কোনটাই নয় তাদের ক্ষেত্রে ‘other’ অপশনটি নির্বাচন করতে হবে।

Service Location:আপনার অফিস বা কর্মক্ষেত্র যে জেলায় অবস্থিত সেই জেলা এখান থেকে সিলেক্ট করে দিবেন।

Employer Type: আপনি যদি সরকারি, বেসরকারি, আধা-সরকারী ইত্যাদি ধরনের চাকরিরত থাকেন তবে এখান থেকে সেটা সিলেক্ট করতে হবে।সবশেষে সবার নিচে Go to Next ক্লিক করুন।

Basic Information:
এই ধাপে আবেদনকারির নাম, লিংগ, পিতার নাম, মাতার নাম, ভোটার আইডির নাম্বার, জন্ম তারিখ, বর্তমান ঠিকানা, স্থায়ী ঠিকানাসহ যাবতীয় তথ্যাদি দিতে হবে। এখানে সেসকল তথ্যসমুহ দিবেন তা অবশ্যই শতভাগ সঠিক ও ভোটার আইডি কার্ড অনুসারে দিবেন।
তথ্য সমুহ দেয়ার পর Go to Next ক্লিক করবেন।

জরুরি ধাপঃ
এখানে আপনার তথ্যগুলোর preview দেখানো হবে। কোন ভুল পরিলক্ষিত হলে ‘back previous’ বাটনটি ক্লিক করে সংশোধন করতে পারছেন।

সবগুলো তথ্য সঠিক থাকলে ‘submit application’ বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে টিআইএন নম্বর ও সাটিফিকেট তৈরি হবে।

সব শেষ হলে টিআইএন সার্টিফিকেট দেখতে ‘view certificate’ বাটনে ক্লিক করুন। তখন টিআইএন সার্টিফিকেট দেখতে পাবেন।

সর্বশেষ ধাপঃ
ব্যাস, করে ফেললাম আমাদের প্রয়োজনীয় e TIN Certificate ঘরে বসেই। এখন আপনি Print Certificate/ Save Certificate/ Email Certificate ব্যবহার করে যথাক্রমে প্রিন্ট/ PDF সংরক্ষন/ ইমেল করতে পারছেন।তবে এক্ষেত্রে Save করে নেয়াই উত্তম।

বুঝতে অসুবিধা হলে বা কোন প্রকার ভুল এড়াতে ভিডিওটি দেখে নিতে পারেন। অনেক প্রয়োজনীয় তথ্য এখানে বলা সম্ভব নয়।

HD Video:

যোগাযোগঃ

ফেসবুক পেজঃLike Us
ফেসবুক গ্রুপঃJoin With Us
ইউটিউব চ্যানেলঃSubscribe This Channel

Website: Visit to get more article First