মনে করুন আপনি যখন দশম শ্রেণিতে পড়েন বা আপনি যখন ইন্টারমিডিয়েটে পড়েন, তখন আপনার জীবনে লাল টুকটুকে একটা পরীর মতো মেয়ের সাথে রিলেশন ছিলো।
মেয়েটির সাথে আপনি নানা জায়গায় ঘোরাঘুরি করেছেন, নানান জিনিস উপহার দিয়েছেন।
তার সাথে অনেক রকম সৃতি জড়িয়ে রয়েছে, যা কোনদিন ও আপনি ভুলতে পারবেননা।
হঠাৎ একদিন প্রিয় মানুষটি আপনাকে নানা অপবাদ দিয়ে আপনার থেকে অনেক দূরে চলে গেছেন।
এখন আপনি তার সৃতি মনে করে সময়মতো গোসল করেননা, খাননা, ঘুমাননা, ঘুমালে ও সারা রাত কানে হেডফোন লাগিয়ে দুঃখের গান শুনেন আর কেদে কেদে চোখের পানি দিয়ে বালিশ ভিজিয়ে ফেলেন।
আবার অনেকে ধুমপান করেন, নেশা জাতীয় পানীয় পান করেন, এই জীবন আর রাখবেন না ভেবে।
নিজেকে কি কখনো প্রশ্ন করে দেখেছেন যে, আপনি কেন একটা মেয়ের জন্য এতো পাগলামি করেন??
যে মা বাবা আপনাকে শিশুকাল থেকে এতো বড় করেছেন, তাদের এই কষ্টের ফলস্বরূপ আপনি কি দিতে পেরেছেন???
আপনি চাইলেই কি জীবন নেশা করে মৃত্যুবরণ করতে পারবেন??
পারবেন কিন্তু এর ফল হিসেবে একটা খারাপ উপহার পাবেন নিশ্চিত।
ধুর মিয়া বকবক বাদ দিয়ে কষ্ট ভুলে যাওয়ার মন্ত্রটা বলেন।
আচ্ছা ভাই বলছি ধরুন আপনি একটা মেয়ের সাথে সম্পর্ক করছিলেন, সেই সময়ে মেয়েটির আচার আচরণ খুবই নম্র ছিলো। এবং পাচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করতো, কুরআন পড়তো প্রতিদিন, মাথায় সবসময় উড়না দিয়ে চুল ঢেকে রাখতো।
কিন্তু আপনার সেই প্রিয় মানুষটি এখন আর সেই আগের মতো নেই, তার সবকিছু এখন পাল্টে গেছে।
আপনি ফেসবুকে নক করলে কোন রিপ্লাই দেয়না।
ফোন করলে নিজে রিসিভ না করে অন্য কাউকে দিয়ে রিসিভ করায়, এবং মেসেজ করলে ও কোন ফিডব্যাক আসেনা।
আবার একদিন আপনি কল করে বা মেসেজ দিয়ে বললেন যে, তুমি যদি আমার সাথে পাচ – দশ মিনিট কথা না বলো আমি দুনিয়া ত্যাগ করবো ………………
এই বলে আপনি সারাদিন ফোন কলের বা মেসেজের অপেক্ষায় ছিলেন, কিন্তু দিন চলে গেলো রাত শেষ হয়ে গেলো, কোন উত্তর আসলোনা।
এবার দেখুন যে মেয়ের জন্য আপনি সারাদিন ভাবেন, রাতে ঘুমাতে গিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বালিশ ভিজিয়ে ফেলেন ; সেই মেয়ের মনে আপনার জন্য কোন জায়গা নেই।
আপনি মরলেন না বাঁচলেন তাতে ঔ মেয়ের কোন যায় আসেনা।
তবুও মেয়েটিকে আপনি ভুলতে পারছেন না, এবার কি আবার মেয়েটির পেছন পেছন ঘ্যানঘ্যান শুরু করবেন???
না ভাই আর প্রয়োজন নেই।
এবার মন্ত্রটি প্রয়োগ করার পালা ……………………..
আপনার মন যেমন আপনাকে নাচায় তেমনি আপনার মনকেও আপনি সেরকম নাচাতে পারেন।
আরেকটু সহজ ভাষায় বলি, আপনার মন খারাপ থাকা, কিছু ভালো লাগেনা ;এসব কিছু মনই নিয়ন্ত্রণ করে থাকে আবার এই মনকে আপনি আপনি ব্রেইন দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
মনে করুন আপনার প্রিয় মানুষটি আপনার সাথে এইরকম খারাপ ব্যবহার করতে পারেনা বা আপনার প্রিয় মানুষটির কাছ থেকে এরকম নিষ্ঠুর আচরণ কখনোই আশা করেননি, আপনি নিশ্চয়ই ভাবছিলেন আপনার মৃতবরন করতে চাইলে নিশ্চয়ই সে সাড়া দিবে, এবং কোনো দূর্ঘটনা ঘটার ভয়ে ব্যাকুল হয়ে উঠবে, কিন্তু সে কিছুই করলোনা।
আপনি এবার আপনার নিজের মনকে সুন্দর করে বুঝান যে, আপনার প্রিয় মানুষটি আপনার সাথে এরকমই নিষ্ঠুরতম কাজ জীবনেও করতে পারেনা, আপনি আপনার প্রিয় মানুষটির মতো দেখতে একটা (কোলন) মানুষকে নক করেছেন।
আপনার প্রিয় মানুষটি আর পৃথিবীতে বেঁচে নেই, এই ভেবে মনকে বুঝ দেন।
এবং প্রিয় মানুষটি যে, পরকালের জীবনে গিয়েছে তার জন্য আপনি পাঁচওয়াক্ত সালাত আদায় করে আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করুন সে যেন ওখানে সুখে শান্তিতে থাকে।
আর আপনি নিজেকে কখনো একা ভাববেননা, মনে করবেন আপনার সাথে আপনার প্রিয় মানুষটির আত্মা সবসময় আছে।
ধুর মিয়া কি সব আত্মা মাত্যা বলেন, এসব শুনে তো আর আর্টিকেল টা পড়তেই ইচ্ছে করতেছে না ; আচ্ছা সত্যি সত্যিই যদি আপনার প্রিয় মানুষটি চিরদিনের মতো এ পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতো, তাহলে কি করতেন???
কিছুই করার থাকতো না, হয়তো নতুন ভাবে জীবনটা সাজানোর চেষ্টা করতেন।
নয়তো তার সৃতি নিয়েই নিজে হাসতেন, এবং সুখের প্রতিটা সেকেন্ড, প্রতিটা মিনিট , প্রতিটা দিনের সৃতি ভেবে ;চেষ্টা করতেন তাইতো।
এসব কথা যদি আপনি চিন্তা করেন, তাহলে আমি পুরোপুরি নিশ্চিত আপনি আর কখনো নেশায় বা খারাপ কাজে লিপ্ত হতে পারবেননা।
ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
আর্টিকেল টি খারাপ লাগলে একটা রিপোর্ট মেরে যান, তবুও বাজে মন্তাব্য করবেন না, ভাই।
[b]আরো পড়ুনঃ ১। ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে থাকে | ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে নড়ে?
২। জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলা সাহাবীদের নামগুলো অর্থসহ | জান্নাতি মহিলা সাহাবীদের নামগুলো