আসসালামুয়ালাইকুম
টেলিগ্রাম (Telegram) রাশিয়ান উদ্যোক্তা পাভেল ডুরোভের প্রতিষ্ঠিত টেলিগ্রাম ম্যাসেঞ্জার এলএলপি কর্তৃক ডেভেলপকৃত একটি ক্লাউড-ভিত্তিক ম্যাসেজ আদান-প্রদান সেবা। টেলিগ্রাম খুবই জনপ্রিয় মূলত এর নিরাপত্তা ও বিভিন্ন টেলিগ্রাম বট এর জন্য।
Trickbd তে আমারা প্রতিদিন অনেক অনেক পোস্ট পাই টেলিগ্রামে ইনকাম সম্পর্কে কিন্তু আমরা কি জানি এটার ইতিহাস???উওর:-না।
আমিও জানতাম না । গুগল করে করে অনেক কিছু বের করেছি। অনেক কষ্ট হয় Trickbd তে পোস্ট করতে । কিন্তু আপনাদের ভালোবাসা পাবো এ আশায় পোস্ট করি।
আফসোস হয় কারণ আপনারা কষ্ট বোঝেন না ও বাজে মন্তব্য করেন।
টেলিগ্রাম (Telegram) রাশিয়ান উদ্যোক্তা পাভেল ডুরোভের প্রতিষ্ঠিত টেলিগ্রাম ম্যাসেঞ্জার এলএলপি কর্তৃক ডেভেলপকৃত একটি ক্লাউড-ভিত্তিক ম্যাসেজ আদান-প্রদান সেবা। টেলিগ্রাম খুবই জনপ্রিয় মূলত এর নিরাপত্তা ও বিভিন্ন টেলিগ্রাম বট এর জন্য।
আগস্ট ২০১৩; ৫ বছর আগে এটি যাত্রা শুরু করেছিল।
ব্যবহারকারীরা এর মাধ্যমে বার্তা প্রদান, এবং ছবি, ভিডিও, স্টিকার, অডিও ও যে কোন প্রকারের ফাইল সমূহ লেনদেন করতে পারে।
মেসেজিং অ্যাপের (হোয়াটসএপ, ভাইবার, ইমো, ইত্যাদি) মতো হলেও, টেলিগ্রামের সাথে ওগুলোর বেশ ফারাক আছে।
কারণ টেলিগ্রাম মেসেঞ্জারে এনক্রিপশন টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে, যার ফলে ব্যবহারকারীদের মেসেজ এবং ডাটা হাইলি সিকিউরড থাকে। এছাড়া টেলিগ্রামের প্রোগ্রামিং এ ব্যবহৃত হয়েছে ক্লাউড বেস সিস্টেম। যার ফলে একই অ্যাকাউন্ট যেকোনো ডিভাইস দিয়ে একই সময়ে ব্যবহার করা যায়। এছাড়া একই সময়ে ব্যবহারকারীর প্রতিটা মেসেজ ও ডাটা প্রত্যেকটা ডিভাইসে পাওয়া যায়। অন্যান্য মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশনের তুলনায় টেলিগ্রাম সবচেয়ে দ্রুত কাজ করে। এছাড়া এনক্রিপশন টেকনোলোজির কারণে টেলিগ্রাম ব্যবহারকারীরা সবসময় হ্যাকারদের হাত থেকে নিরাপদ। কারণ কোনো হ্যাকার যদি কোনো ভাবে টেলিগ্রাম সার্ভারে প্রবেশ করতে সক্ষমও হয়, তবুও সাংকেতিক লিপির কারণে সে কখনো ব্যবহারকারীদের ম্যাসেজ কিংবা ডাটা উদ্ধার করতে সক্ষম হবে না।
২০০৯ সাথে সাতোশি নাকামতো ছদ্মনামের এক বা একাধিক ব্যক্তি ব্লকচেইন টেকনোলজির মাধ্যমে বিটকয়েন (ক্রিপ্টোকারেন্সি) আবিষ্কার করার পর, ক্রিপ্টোকারেন্সি দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। এই নিয়ে প্রায় কয়েশ নতুন ক্রিপ্টো কয়েনের জন্ম হয়েছে। এসব কয়েনের লাঞ্চ হওয়ার অধিকাংশ কাজেই টেলিগ্রামের সহায়তা লাগে। কয়েনগুলোর বাজারে আসার আগে যে আইসিও হয়, (যা মূলত ফ্রিল্যান্সারদের কাছে এয়ারড্রপ নামে পরিচিত) সেটা প্রায় পুরোটাই টেলিগ্রামের সাহায্যে ঘটে। কয়েন আসার আগে কয়েন কোম্পানিগুলো কয়েনের মূল ভলিউমের একটি নির্দিষ্ট ফ্রি অংশ ব্যবহারকারীদের অফার দিয়ে টেলিগ্রামে কমিউনিটি গড়ে তোলেন এবং কয়েনের মার্কেটিং করেন। এরমধ্যে অনেক কোম্পানি আবার টেলিগ্রাম বুটের মাধ্যমে কয়েন অফারিং করেন। সেগুলোকে সংক্ষেপে বলা হয় টেলিড্রপ।
বাংলাদেশসহ বেশকয়েকটি দেশে বিটকয়েনসহ অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সি অবৈধ ঘোষিত থাকলেও, বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে কাজ করছেন, আয় করছেন। এক্ষেত্রে টেলিগ্রাম অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশে টেলিগ্রাম ও এয়ারড্রপ জনপ্রিয় হতে শুরু করেছিল ২০১৭ সালের শেষের দিক থেকে। বর্তমানে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ অসংখ্য দেশের অনেক ফ্রিল্যান্সার শুধুমাত্র এয়ারড্রপকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ। এমনকি ভারতে নিজস্ব ক্রিপ্টোকয়েনও চালু আছে। ইতোমধ্যে তারা গেমিং, অনলাইন শপিং এ ক্রিপ্টোকয়েন ব্যবহার শুরু করেছে। যেহেতু ক্রিপ্টোকয়েন ব্লকচেইন টেকনোলজি ফলো করে, ফলে এটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে দারুণ ভূমিকা রাখতে পারে। সুতরাং, আমরা আশা করি বাংলাদেশ সরকার শীঘ্রই ক্রিপ্টোকারেন্সির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবেন এবং বিভিন্ন সেক্টরে ব্লকচেইন টেকনোলজির প্রয়োগ ঘটাবেন।
এয়ারড্রপ ছাড়াও টেলিগ্রামে বিভিন্ন পিটিসি বুট, ইনভেস্টমেন্ট বুট ও গেমিং বুট দ্বারা ক্রিপ্টোকারেন্সি আয় করা যায়। এরমধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো ডগি ক্লিক বুট ও লাইট ক্লিক বুট। এ দুটো টেলিগ্রাম বুটে সাইট ভিউ করা, অন্য বুটে জয়েন করা এবং গ্রুপ/চ্যানেলে জয়েন করার মাধ্যমে ডগি কয়েন ও লাইট কয়েন আয় করা যায়। এক্ষেত্রে বিজ্ঞাপনদাতারাও সুবিধা পান। কারণ তারাও নিজের সাইটে সারাবিশ্বের ইউনিক ভিজিটর পান, নিজের বুট, গ্রুপ কিংবা চ্যানেলের মার্কেটিং করে ব্যবসায়িক প্রসার লাভ করেন।
বর্তমানে পৃথিবীর প্রতিটি দেশে টেলিগ্রাম মেসেঞ্জার অ্যাপ্লিকেশনটি চালু থাকলেও, শুধুমাত্র রাশিয়ায় এটি নিষিদ্ধ। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে রাশিয়ার টেলিযোগাযোগ ও গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রক সংস্থা টেলিগ্রাম মেসেঞ্জার কোম্পানির কাছে ‘মেসেজ এনক্রিপশন কি’ চাইলে প্রতিষ্ঠানটি সংস্থাটিকে একত্র করা মেসেজগুলোর ‘এনক্রিপশন কি’ হস্তান্তর করতে রাজি হয়নি। ফলে সংস্থাটির আবেদনে দেশটির আদালত ১৯ এপ্রিল রাশিয়ায় টেলিগ্রাম অ্যাপটি বন্ধ ঘোষণা করেন। এই রায়ের প্রতিবাদে কয়েক হাজার রাশিয়ান জনগণ মস্কোতে বিক্ষোভ করে, পুনরায় টেলিগ্রাম মেসেঞ্জার চালু করার দাবি জানিয়েছিল।
তবে যাই হোক, টেলিগ্রাম অ্যাপ্লিকেশন যে পৃথিবীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে এনেছে তা নিঃসন্দেহে স্বীকার করা যায় ও এর বিভিন্ন টেলিগ্রাম প্রভাব দেখতে পাওয়া যায়।
Source:- Google, Wikipedia, Online News Portal.