আবেগী সাই-ফাই মুভি
ছবিতে দুই কিশোর বিজ্ঞানীকে দেখানো হয়েছে সি.জে এবং সেবাশ্চিয়ান ( C.J. and Sebastian )। স্কুল শেষে যারা তাদের অবসরের সব সময় ব্যায় করছে একটা টাইম মেশিন আবিষ্কারের জন্য।
শেষ পর্যন্ত ব্যকপ্যাক ভার্সনের একটা এক্সপেরিমেন্টাল টাইম ট্রাভেলিং ডিভাইস তারা আবিষ্কার করতে পারে।
কিন্তু যখন সি.জে এর বড় ভাই কেভিন পুলিশের গুলিতে খুন হয়ে যায়, সি.জে ঠিক করে এই ডিভাইস ব্যবহার করে ভাইয়ের মৃত্যু রুখে দেবে।
ছবিতে মূল গল্পের থেকে বেশি চোখে পড়ে মানব মনের অতীত পরিবর্তন করার আর ভুল শোধরানোর ইচ্ছা। কিন্ত আদতেও কি অতীত পরিবর্তন করে আমরা বর্তমানে সুখে থাকতে পারব?
ডিরেক্টর: Stefon Bristol
কাহিনী: Fredrica Bailey (co-writer), Stefon Bristol (co-writer)
ছবির গল্প নিয়ে আমার খুব বেশি কিছু বলার নেই। টাইম-মেশিন, টাইম ট্রাভেলিং ইকুয়েশন, টাইম ট্রাভেলিং প্যরাডক্স, ওয়ার্ম হোল সব এলিমেন্ট-ই আছে ছবিতে। কিন্ত নেই টেকনোলজির ভুং-ভাং পাওয়ার ডিসপ্লে।
অন্যান্য মুভিতে যেখানে টাইম ট্রাভেল দেখানোর জন্য ফ্যান্সি সব গ্যাজেট দেখানো হয় এখানে কিছুই করা হয়নি সেরকম ভাবে। এরা টাইম ট্রাভেল ডিভাইস বানায় সেবাশ্চিয়ান এর দাদীর গ্যারাজে বসে, কোন বিশাল ল্যাব, চক বোর্ড, টিম কিছুইন নেই। নেই হলিউডি স্টাইলের আলোর ঝলকানি আর টাইম ট্রাভেল প্যারাডক্স নিয়ে বিশাল লেকচার।
মুভিটার একটাই গতি ছিল আর সেটা হচ্ছে সিজে কিভাবে তার ভাইয়ের মৃত্যু ঠেকানোর চেষ্টা করে। এই দুই কিশোর কিশোরী অসাধারন প্রানবন্ত অভিনয় করেছে। আসলে কিশোর বয়সে তাদের হাবভাব চাল চলন কথা বার্তা যেরকম হবার কথা ঠিক সেভাবেই দেখানো হয়েছে।
ছবির ভুলভাল বাদ দিলে, মূল গল্প ছাপিয়েও আরেকটা জিনিস আপনার নজরে আসবে তা হল অতীত পরিবর্তন করার মানব মনের ইচ্ছা। আমরা সবাই এই নেশায় আসক্ত।
আমাদের সবার অতীত জীবনেই এমন অনেক ঘটনা আছে যা আমরা পরিবর্তন করতে চাই। কিন্তু আমরা বুঝতে চাই না অতীতের পরিবর্তন কতটা ভয়াবহ হতে পারে আমাদের বর্তমান জীবনের জন্য।
সিজে তার ভাইয়ের মৃত্যু থামাতে গিয়ে তার থেকে খারাপ কিছু ঘটনার সুত্রপাত করে। শেষ পর্যন্ত সে নিয়তি মেনে নেয়।
নিজের জীবনের সাথে কোন মিল খুঁজে পান কি? কোন কিছু পরিবর্তন করতে চান অতীতের?