মার্ভেল ইউনিভার্স ভেনমের মুভি রিভিউ ২০১৮
IMDB-6.7
টিউনটি শুরু করবার আগে কিছু কথা বলি::: কিছুদিন ধরেই আমি কিছু নতুন পুরাতন মুভি নিয়ে ট্রিকবিডিতে পোস্ট করতেছি। অনেকেই অনেক মন্তব্য করেন রিভিউ তে তেমন কিছু নাকি লিখা হয়না। আসলে ভাই আমরা টাকার জন্য টিউন লিখি না, শুধু আপনাদের উপকারের জন্য এবং সামান্য বিনোদন এর জন্য লিখা হয়। আসা করি মন্তব্য করবার আগে একটু চিন্তা করে করবেন;;;;;
Venom একঘন্টা বায়ান্ন মিনিটের হলিউড
মুভি। দৈর্ঘ একটু কম। আমার মুভি দেখার পর মনে হয়েছে মুভি যদি আরো একটু বড় হত তবে কাহিনী এবং চরিত্র আরো ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলা যেত। ঘটনার পরিক্রমা তামিল মুভির মত খুব দ্রুত ঘটে যাওয়ায় কেমন যেন একটু অসমাপ্ত ভাব রয়ে গেছে
কাহিনীতে খুব বেশি নতুনত্ব নাই। আমার মনে হয় মার্বেল ইউনিভার্স ভেনমের পেছনে খুব বেশি মনযোগ দিচ্ছে না, যেমনটা স্পাইডারম্যানের ফ্রাঞ্চাইজ কে দিয়েছে।
অনেক মারদাঙ্গা একটা মুভি, কিন্তু প্রচুর ভুলে ভরা এবং অসমাপ্ত কাহিনী বর্ননা। সায়েন্টিফিকালি এই মুভিকে আমি সাই-ফাই বলতে নারাজ। এইটা মার্বেলের একটা ফ্যান্টাসি বাদে আর কিছুই না।
তবে একশন এবং গ্রাফিক্স মারাত্বক।
স্পাইডারম্যানের ভক্তরা ভেনমে কে ভুলে যাবার কথা নয়। মার্বেলের এই ফিকশনাল ক্যারেক্টার প্রথম বড়পর্দায় আসে ২০০৭ সালে স্পাইডারম্যান -৩ মুভিতে। সিমবায়োটিক এই এলিয়েন বায়োলজিকাল এনটিটির দরকার হয় মানুষের মত একটা হোস্ট যার সাথে বন্ডিং করে সে বেঁচে থাকতে পারে।
ভেনমের এই মুভিতে আরো একটু ব্যাখ্যা করা হয়েছে সে কিভাবে এসেছে পৃথিবীতে এবং তাদের স্পেসিস এর আরো কিছু বৃত্তান্ত। মুভি দেখে মজা পেয়েছি এটা অবশ্যই বলব। অভিনয় এবং অর্ধসমাপ্ত গল্প হলেও উতরে যাচ্ছে হলিউডি মারদাঙ্গা গ্রাফিক্স আর টম হার্ডির অভিনয় দেখে। আমি যদিও টম হার্ডির বড় ভক্ত নই, কিন্তু ভেনমের সাথে তার কম্বিনেশন খারাপ লাগেনি।
Venom (2018) কাহিনী সংক্ষেপঃ
বিলিওনিয়ার কার্লটন ড্রেকের সাথে মুভির শুরুতেই ঝগড়া লেগে যায় এডি ব্রুকের। যার কারনে সে তার চাকুরি হারায়, গার্লফ্রেন্ড হারায়। এডি যখন হতাশ হয়ে ঘুরছিল তখন তার কাছে কার্লটন এর ল্যাবে কাজ করা এক সায়েন্টিস্ট এসে ফাঁস করে দেয় সব গোপন এক্সপেরিমেন্টের কথা। কিভাবে এলিয়েন সিমবায়োন নিয়ে মানুষের উপর বেআইনী কাজ কারবার করে চলেছে কার্লটন।
প্রমান সংগ্রহ করতে এসে নিজেই ঘটনাক্রমে আক্রান্ত হয় এই এলিয়েন সিমবায়োটিক লাইফ দিয়ে। এরপর থেকেই তার পেছনে পড়ে পুলিশ এবং লাইফ ফাউন্ডেশনের লোকজন। এই সিমবায়োটিক এলিয়েনের নামই ভেনম।
প্রথম দিকে এডি ভেনমের কাছ থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত তাদের মাঝে একটা শক্তিশালী বন্ডিং গড়ে ওঠে। ভেনমের অতিমানবীয় শক্তি আর ভয়ঙ্কর রাগকে এডি কাজে লাগানোর চেষ্টা করে ভালো কাজে।
ভেনম মূলত একটা ভিলেন এবং মুভিতে তাকে বেশ স্থুলভাবে নায়কের চরিত্রে বসানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এতে না হয়েছে এডির চরিত্রে পূর্নতা না ভেনমের।
এই মুভিতে অসংখ্য ভুল আছে। চাইলেই ধরে ফেলতে পারবেন। কিন্তু মার্বেল ইউনিভার্স এর ভক্ত হবার কারনে মুভি খারাপ লাগবে না। খারাপ লাগবে না ভেনমের মারদাঙ্গা এবং আসুরিক ক্ষুধা।
ভুলের কথা কয়েকটা বলি – মুভির একদম শেষের দিকে দেখা যায় এডি তার পরিচিত সুপার শপে ঢোকে তখন দিনের বেলা অথবা বিকেল। কিন্তু বের হবার সময় দেখা যায় রাত। সুপারশপে ভেনম একটা বদ লোককে খেয়ে ফেলে, কিন্তু কোথাও তার দেহের বাকি অংশের দেখা পাওয়া যায় না।
পুরোমুভি জুড়ে অসংখ্য খুন খারাবি হয় কিন্তু পুলিশের দেখা খুব একটা মিলবে না।
তারপর, কার্লটন যখন স্কুলের বাচ্চাদের একটা ট্যুর গাইড করছিল, সে তার কোট থেকে খুলে ল্যাপেল পিন একটা বাচ্চাকে দেয়, কিন্তু পরের দৃশ্যেই ইন্টারভিউ দেবার সময় সেটা তার কোটে আবার দেখা যায়।
কার্ল্টন এর ল্যাব এ যে সকল স্ক্যানার ডিসপ্লে এবং এক্সরে মেশিন ব্যবহার করতে দেখা গেছে তাও আসলে যুক্তিযুক্ত নয়।
থাক ভুলের কথা নাইবা বলি। আসেন একটা মারদাঙ্গা হলিউডি তামিল মুভি দেখি। ভেনমের ভুবনে আপনাকে স্বাগতম।