Ant Man মুভি রিভিও
Directed by | Peyton Reed |
---|---|
Produced by | Kevin Feige |
Release date
|
|
---|---|
Running time
|
117 minutes[1] |
Country | United States |
Language | English |
Budget | $130–169.3 million[2][3][4] |
Box office | $519.3 million[ |
এই জগতকে জীববৃত্তি ও বুদ্ধিবৃত্তিতে ভাগ করার শুদ্ধ লাভ মানুষের পক্ষে সম্ভব। সংকীর্ণার্থে বাকি সব সেবাদাস।
মানুষ আসলে না-শোকর বান্দা। বুদ্ধির গর্ব করবে কিন্তু শরীর নিয়া তার অস্বস্তির অন্ত নাই। সুপারহিরোরা তো তা-ই বলে। আবার তাদের টেলিপ্যাথি বা অসহায়ত্ব দেখাইয়া করুণ ও অতিমানবিক রস উৎপাদনের চেষ্টা করে। এবং তার ‘সুপারহিরো’ কল্পনাকে বৈজ্ঞানিক কৃৎ-কৌশল দিয়ে ব্যাখ্যা করে।
যেমন— মাকড়সার কামড় খেয়ে ’স্পাইডার ম্যান’। ব্যাপারটা যদি এমনই থাকে তাহলে নেকড়ে কামড়ে ভ্যাম্পায়ার হওয়ার সাথে পার্থক্য নাই। তাই এতে বিজ্ঞানের আমদানি অতি জরুরি।
আবার ‘সুপারহিরো’র বিপরীত পক্ষও বৈজ্ঞানিক কৃৎ-কৌশলের আশ্রয় নেয়। মাঝে লড়াইটা মানবতা বা এ নামে চলে। খেয়াল করলে দেখা যায় যা নিয়া যুদ্ধ, ওই সব ধ্বংসাত্মক জিনিস আবিষ্কারের সাথে
‘সুপারহিরো’ বা তার মহৎ বাবা-মা বা অন্য কোনো সৎ লোকের অবদান থাকে।
যেমন- ‘অ্যান্ট ম্যান’ এর অতি আশ্চর্য পোশাক বা পিম পার্টিকল।
মানে কিছু সুপারহিরো কাজ অন্যের ডিমে তা দেওয়া বা আবিষ্কারের পাহারা দেয়া। যাতে খারাপ ব্যবহার না হয়। ‘অ্যান্ট ম্যান’ও তার আবিস্কার রক্ষার দায়িত্ব দেয় নতুন ‘অ্যান্ট ম্যান’কে। যা আসলে ভয়াবহ অস্ত্র
এমন পাহারাদার পৃথিবীতে বিরল নয়। খোদ সুপারহিরো উৎপাদনের কারখানা দেশের কারবারও এমন। পৃথিবীতে যুক্তরাষ্ট একমাত্র দেশ— যারা পারমাণু বোমা মেরে লাখ লাখ মানুষ মারছে, এখন তারাই আবার পরমাণু বোমার অপব্যবহার বন্ধে নানা কিছু করে, তাদের হাতেই আছে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বোমা। যার সুন্দর ব্যাখ্যা আছে— ‘বড় ক্ষমতা বড় দায়িত্ববোধের জন্ম দেয়’। এ নিয়া বিস্তর কথা বলা যায়।
এবার আসুন আমরা ‘অ্যান্ট ম্যান’ এ ফিরি। :
সেখানেও সোভিয়েত-আমেরিকার ঠাণ্ডা লড়াইয়ের কাহিনি আছে। আছে আমেরিকায় মিসাইল আক্রমন থেকে কেমনে বাঁচাইলো ‘অ্যান্ট ম্যান’। যাক বাবা! তারা বন্ধু রাষ্ট্র ছিল না। নইলে কার ঘাড়ে বন্দুক রাখত।
অ্যান্ট ম্যান’ এ একটা জিনিস দারুণ লেগেছে। শেষ দিকে কোয়ান্টাম জগতে চলে যাওয়া। কিন্তু ঘটনাটা হুট করেই শেষ হয় আর বিষয়টা কী ছিল ‘অ্যান্ট ম্যান’রও মনে নাই। হয়ত কোনো একসময় আনুবিক্ষীন মানুষের স্ট্যাটাস পেয়ে তাও জেনে ফেলবে। ভাবতেছি কবে যে ‘ভাইরাস ম্যান’, ‘ব্যাকটিরিয়া ম্যান’ এ সব আসবে! সিরিয়াসলি!
পুরা সিনেমায় একটা কমেডি মুডে ছিল। মজা লেগেছে। অভিনয় দারুণ। অন্যান্য সুপারহিরো মুভির মতো তেমন কোনো কাহিনী। এ্যাকশনগুলো মোটামুটি।
এ সিনেমার সঙ্গে ‘কাপ্টেন আমেরিকা : সিভিল ওয়ার’র একটা যোগ আছে। অ্যাভেঞ্জার্সের অফিস থেকে ‘অ্যান্ট ম্যান’র আনা একটা জিনিস নিয়া হাইড্রা পালিয়ে যায় শেষে। তার রেশ সেখানেও থাকবে। ক্রেডিট দেখানোর সময় বের হয়ে আসছি। পরে শুনলাম একটুখানি ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা’কে (অ্যাভেঞ্জারদের সর্দার) দেখায় ওইটা মিস করছি। টাইম পাস হিসেবে খারাপ না।
এবং
ফেইসবুক আমি