হ্যাপি ডেথ ডে টু ইউ মুভির রিভিউ
আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি অন্যরকম হলিউড মুভি সেয়ার করতে যাচ্ছি এবং এরকম রহস্যময় ছবির রিভিউ কে না পড়তে পছন্দ করেন সত্যি বলতে আমরা ছেলেবেলা নিয়ে নস্টালজিক হই প্রায়ই, ফিরে যেতে চাই বারবার শৈশবে। আবার যখন বার্ধক্য আসে, ছেলেবেলার সাথে সাথে তারুণ্যের জন্যও আফসোস হয় আমাদের, আফসোস হয় অতীতে ফেলে আসা প্রতিটি মুহূর্তের জন্য। অতীতে ফিরতে চাওয়া বোধহয় মানব চরিত্রেরই ধর্ম। তবে চাওয়া যতই তীব্র হোক, ফেরা হয় না কখনো, সে তো অসম্ভবই। সত্যিই কি অসম্ভব?
কিন্তু আমি জানি বিজ্ঞান বলছে গাণিতিকভাবে সম্ভব। বিজ্ঞানের বিরক্তিকর সমীকরণ বোঝাতে যাচ্ছি না, তাই আতঙ্কিত হওয়ারও কোন কারণ নেই। তবে এই সমীকরণের উপর ভিত্তি করে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীমূলক সিনেমা হয়েছে অনেকগুলো। আর এসব সিনেমার মধ্যে কোন কোনটি হয়তো সেই বইয়ে পড়া সমীকরণের মতোই একঘেয়ে, বিরক্তিকর। তবে কোন কোনটি আবার এতো বেশি মজার এবং আনন্দদায়ক যে কিভাবে আপনার সময় কেটে যাবে আপনি বুঝতেই পারবেন না। আর সাথে আপনার মস্তিষ্কে এমন এক আলোড়নও সৃষ্টি করবে হয়তো কোন কোনটা, যে ঘোর থেকে বেরুতেও বেশ সময় লেগে যেতে পারে আপনার।
মুভি সিরিজটি এমনই একটি নির্মাণ। ২০১৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারী মুক্তি পেয়েছে মুভির দ্বিতীয় সিক্যুয়েল হ্যাপি ডেথ ডে 2ইউ।
প্রথমে তিনটি মুভি নিয়ে ট্রিলোজি নির্মাণের পরিকল্পনা থাকলেও পরিচালক তৃতীয় সিনেমার কাজ শুরু করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন, যদি নেটফ্লিক্স এগিয়ে আসে, শুধুমাত্র সেক্ষেত্রেই তিনি তৃতীয় সিক্যুয়েলটি নির্মাণে হাত দিতে পারেন।
যেহেতু এটা নিতান্তই পরিচালক এবং নেটফ্লিক্সের ব্যাপার, আমরা সেদিকে মাথা না ঘামিয়ে সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘হ্যাপি ডেথ ডে 2ইউ’ মুভির রিভিউ দেখে আসতে পারি।
কাহিনী সংক্ষেপ:
কলেজের জিনিয়াস ছাত্র রায়ান একদিন সকালে নিজের গাড়িতে ঘুম থেকে উঠে হাঁটতে হাঁটতে রুমে ফিরে যায়৷ সেখানে রায়ানের রুমমেট কার্টার তার বান্ধবী ট্রি’র সাথে থাকায় সে তাদের ডর্ম ল্যাবে ফিরে যায়। ল্যাবে তার জন্যই অপেক্ষায় ছিল অন্য দুই গ্রুপমেট সমর এবং ড্রি যারা রায়ানের সাথে একই প্রজেক্ট তৈরীতে কাজ করছে। আর এসময়ই আসে কলেজ ডিন, রায়ানদের সায়েন্স প্রজেক্টকে ভৎসনা করে জানায়, প্রজেক্টের কারণে কলেজের বৈদ্যুতিক লাইনে চাপ পড়ে বেশ কয়েকবার পুরো কলেজের পাওয়ার সাপ্লাই অকেজো হয়ে গেছে। সন্ধা ছয়টার মধ্যে প্রজেক্টের সবকিছু বন্ধ করার নির্দেশ দিলে হতাশায় ভেঙ্গে পড়ে সমর, ড্রি এবং রায়ান।