এ বিষয় নিয়ে পোস্ট করার কোন চিন্তাভাবনা ছিল না, কিন্তু অনেকের অসচেতনতা দেখে পোস্টটি করলাম, পোস্ট দেখে অন্তত ১০ জন বিষয়টি উপলব্ধি করুক এ আশাতেই আমাদের প্রিয় সাইট ট্রিকবিডিতে আর্টিকেলটি লিখছি.
বেশ কয়েকদিন ধরে দেখতেছি অনেকে নিজের ফেসবুক টাইম লাইনে বা বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট করছে,
“যাদের NID Card অনলাইন কপি লাগবে ইনবক্স করুন ,”
অনেকে আবার সাথে সাথে তাদের কে ভোটার স্লিপের নাম্বার দিয়ে দিচ্ছে পরে তারা ভোটার স্লিপের নাম্বার দেখে তাদের NID Card এর PDF File ডাউনলোড করে দিচ্ছে, এতে লোকজন অনেক খুশি হচ্ছে NID Card পেয়ে গেলো।
কিন্তু তারা এই খেয়াল টাই নেয় না যে NID Card টা যে বের করে দিলো তার কাছে কপিটা রয়ে গেলো সে এখন ঐ টা প্রিন্ট করে যা ইচ্ছা করে পারবে, যার ফলে NID Card owner এর বিপদও হতে পারে। ?
আমরা সাধারণত এটা মনে করি যে, Nid কার্ড নিয়ে কেউ কি এমন করতে পারবে, যদি সে সিম তুলতে চায় তাহলে তো আমার ফিঙ্গার প্রিন্ট লাগবে, যেটা সে কিছুতেই পাচ্ছেনা, তাহলে সমস্যাটা কোথায়?
সমস্যাতো আছে এজন্যই পোস্টটি করেছি,
প্রথমত আইডি কার্ডটিতে আপনার অনেক প্রয়োজনীয় তথ্য রয়েছে, বলতে পারেন আপনার সম্পর্কে ডিটেইলস দেয়া রয়েছে,
যেমন-নাম,পিতার,মাতার নাম,এবং স্পষ্টভাবে আপনার ঠিকানা দেয়া রয়েছে.
এখন প্রশ্ন করতে পারেন কিভাবে আপনি বিপদে পরতে পারেন, লোকটি তো আপনাকে সাহায্যই করলো.
বর্তমানে NID কার্ড সরকারি কাজ ছাড়াও অনেক বেসরকারি কাজেও ব্যবহার হয়, সেই কাজগুলো সে সহজেই করতে পারে আপনার NID দিয়ে.
আমার জানা কয়েকটি ঘটনা আছে এই সামান্য NID নিয়ে ব্লাকমেইল করা নিয়ে, তা থেকে শেষ পর্যন্ত জেল হাজত পর্যন্ত হয়েছিল. একজনের কাছে তো একবস্তা NIDএর কপি ছিল.
- ধরুন ব্যক্তিটি খারাপ উদ্দেশ্যে আইডিটি সংরক্ষনে রাখল | সে ইচ্ছে করলেই ঐ NID দিয়ে একটা ভেরিফাইড ফেসবুক আইডি খুলতে পারে এবং সেটি খারাপ উদ্দেশ্যেও ব্যবহার করতে পারে.
- বর্তমানে অনেক অনলাইন সাইটে একাউন্ট করতে NID সাবমিট করতে হয়, ধরুন আপনার NID টি ব্যবহার করে ব্রিলিয়ান্ট একাউন্ট খোলা হলো এবং সেটি খারাপ কাজে ব্যবহার হলো, এখন থানাপুলিশ হলে আপনি বিপদে পরতে পারেন.
- এছাড়া আরো অনেকগুলো কাজ করা সম্ভব, সব নিয়ে লেখা সম্ভব নয়,
– ব্যক্তিগত জিনিসের মধ্যে NID অন্যতম যা কখনও কাউকে দেয়া উচিত নয়, কিন্তু কিছু মানুষে না বুঝে এই ভুল টা করে প্রতারণার স্বীকার হচ্ছে.
নির্বাচন কমিশন সুত্র বলছে, ইচ্ছাকৃতভাবে স্মাট জাতীয় পরিচয়পত্র নষ্ট করলে অথবা এর অপব্যবহার করলে কিন্তু জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে। স্মাট জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে এ ধরনের যে কোন’ভুলবশত’ করা কোন ঘটনাও একটি বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে আপনার। এক্ষেত্রে একজনের অপরাধ প্রমাণ হলে তার অনুর্ধ দুইবছরের জেল বা ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
নির্বাচন কমিশনের অপরাধ ও শাস্তি বিষয়ক বিধানগুলোতে এ বিষয়ে পরিস্কার নির্দেশনা রয়েছে।
তাই সকলকে বলবো অনলাইনে সচেতন থাকুন, নিজেকে নিরাপদ রাখুন
কিভাবে নিজে ডাউনলোড করবেন বিস্তারিত জানতে ট্রিকবিডির এক ভাইয়ের পোস্ট দেখুন-
এ বিষয়ে আপনাদের মতামত জানান কেমেন্টে….
দু একদিনের মধ্যেই আসছে আমার মেগা পোস্ট, ট্রিকবিডির সাথেই থাকুন.