Site icon Trickbd.com

সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমে আমাদের মস্তিষ্ক থেকে যেভাবে ডোপামিন রিলিজ করে আমাদের নিয়ন্ত্রণ করছেন Controlling the way dopamine is released from our brain through social media

Unnamed

আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমে আমাদের মস্তিষ্ক থেকে যেভাবে ডোপামিন রিলিজ করে আমাদের নিয়ন্ত্রণ করছেন

আপনি কি জানেন ফেসবুকের Founding president Developer…. Sean Parker বলেছেন যখন আমি ফেসবুকে আমি Davolpe করে ছিলাম তখন আসল উদ্দেশ্য ছিল কিভাবে মানুষকে সোশাল মিডিয়ার মানুষকে বেধে রাখতে পারি। সেই জন্য আমরা ফেসবুকে এমনভাবে ডিজাইন করেছি যেন ফেসবুক হিউম্যান সাইকোলজি থাকা দূর্বলতা অপব্যবহার করতে পারে। এটির একমাত্র কারণ প্রতিদিন মানুষ বারবার তাদের সোশাল মিডিয়ার একাউন্ট চেক করতে থাকে। কিন্তু অবাক করার বিষয় কি জানেন যখন Sean Parker জানতে পারে ফেসবুকে উপর Developer করা ডোপামিন মানুষের উপর ড্রাস্কের মতো কাজ করছে। যায় ফলে মানুষ ফেসবুকের প্রতি আসক্ত হয়ে যাচ্ছে।

এটা জেনে ২০০৫ সালে ফেসবুক থেকে রিজাইন করে দেয় । কারণ ফেসবুক মানুষের সোসাল মিডিয়ার এডিকশনকে বিজনেসের জন্য ব্যবহার করছিল। বর্তমানে সব সোশাল মিডিয়ার গুলো এসব Brain হ্যাকিং মেথড ব্যবহার করে তাদের App মানুষদের ব্যবহার করতে বাধ্য করছে। যাতে করে মানুষ জন তাদের বেশিরভাগ সময় তাদের মোবাইলে এসব Apps এ কাটাতে পারে। এখনে আরেকটা বিষয় হয়তো আপনি ভাবছেন কিভাবে এসব সোসাল মিডিয়ার App আমাদের এডিকটেড করছে এর উত্তর হচ্ছে ডোপামিন দ্বারা।

এখন এই ডোপামিন কি জিনিস। আসলে ডোপামিন হচ্ছে একটা হরমোন। যেটা আপনার Brain থেকে নিউরনের মাধ্যমে রিলিজ হয়। আপনাকে এটা বুঝতে হবে যখনি আপনার নিউরন থেকে ডোপামিন রিলিজ হয় তখনি এই ডোপামিন আপনাকে একটি Satisfaction বা আনন্দ দিয়ে থাকে। এই ডোপামিন কখন রিলিজ হয়। আসলে কোন মানুষ যখন মদ বা ড্রাস্ক নেয় তখন এই ডোপামিন রিলিজ হয়। যখন মদ পান করে তখন তার মধ্যে যে আনন্দ বা ফিলিং দেখা যায় সেটা প্রচুর পরিমানে ডোপামিন রিলিজ হওয়ার কারণে হয়। প্রথম বার যখন এই ডোপামিন রিলিজ হয় তখন দ্বিতীয় বার তার Brain এ এই ডোপামিন হরমোন রিলিজ করার জন্য পেসার দেয়।

এই ব্যক্তি আরও আনন্দ ও মজা পাবার লোভে আর আবার ড্রাস্ক নিতে শুরু করে তৃতীয় বার চতুর্থ বার অন্তত বার এবং প্রতি নিয়ত তার ডোপামিনের চাহিদা বাড়তেই থাকে। এভাবে চাহিদা বাড়তে বাড়তে আস্তে আস্তে উক্ত ব্যক্তি ড্রাস্ক এডিকটেট হয়ে পারে এটা থেকে বুঝতেই পারছেন কোন কিছু নেশা লাগার পিছনে ডোপামিনের হাত কত বড়। এটা প্রশ্ন আসছে এটার সাথে সোশাল মিডিয়ার কি সম্পর্ক। সম্পর্ক অবশ্যই আছে আমি বলছি কারণ ফেসবুকের Founding president নাম Chamath Palihapitya

এবং Developer president নাম Sean Parker ক্লিয়ারলি এটা বলেছে যে ইচ্ছে করে সোশাল মিডিয়ার কোম্পানি টাইম টো টাইম তাদের ইউজারদের Brain এ ডোপামিন ডোস দিতে থাকে। যাতে করে ইউজারা সোশাল মিডিয়ার ব্যবহারে এডিকটেট হয়ে ওঠে। কিন্তু মূল কথা হচ্ছে কিভাবে একটা App আপনার Brain কে ডোপামিন রিলিজ করতে পেসার দিতে পারে। তাহলে আসুন আমি আপনাদের সেটার উত্তর দিচ্ছি

বছরটা ছিল ১৯৮০ এই সময় কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে হিউম্যান সাইকোলজি প্রফেসর ছিলেন Wolfram Schultz সে একটি পরিক্ষা করেছিল কিছু মানুষের উপরে সে দেখতে চেয়েছিল কোন কোন উপায়ে মানুষের Brain থেকে ডোপামিন রিলিজ করানো যায় সেই পরিক্ষা থেকে এমন একটা ফলাফল আসে যেটা বর্তমানে সোশাল মিডিয়া কাম্পানি গুলো টাকা কামানো মাধ্যম হয়ে দাড়িয়েছে। পরিক্ষা এটা জানা গিয়েছে যে যখন আমাদের কোন কাজ করার বদলে কোন পয়েন্ট দেওয়া হয় তখন আমাদের মস্তিষ্ক থেকে ডোপামিন রিলিজ হতে থাকে এটা এমনভাবে রিলিজ হয় যেটা কেউ ড্রাস্ক ইনজেক্ট করলে হয়।

মানুষের এই দূর্বলতাকে কাজ লাগিয়ে কিছু টেকনোলজিস কোম্পানি সোশাল মিডিয়া কোম্পানি আপনাকে মেন্টালি এডিকটেট করানোর জন্য করে থাকে। এসব সোশাল মিডিয়া কোম্পানি App জেনে শুনে লাইক কমেন্ট এবং views এর মাধ্যমে আপনাকে এডিকটেট করে রাখে। কেননা যখন আপনি কোন ফটো ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেন যদি কেউ লাইক এবং কমেন্ট করে। তখন এসব লাইক এবং কমেন্ট আপনার Brain রিওয়ার্ড পাওয়া অনুভুতি দে। এসব লাইক কমেন্ট পাওয়া ফিলিং আপনার Brain কে ডোপামিন রিলিজ করানোর জন্য পেসার দেয়।

এটাই একমাত্র কারণ যখন আপনি কোন ফটো সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেন তখন বার বার সোশ্যাল মিডিয়ায় App ডুকে চেক করেন কতগুলো লাইক পড়লো কে কতটা কমেন্ট করলো এটা দেখার জন্য। কারণ এসব লাইক এবং কমেন্টের ফলে আপনি আনন্দ পান। ফলে আপনার Brain থেকে ডোপামিন রিলিজ হতে থাকে। কিছুক্ষন পারে যখন আপনার পোস্ট পুরাতন হয়ে যায় ঐ পোস্টে লাইক আসা বন্ধ হয়ে যায়। তখন আপনি ডোপামিন রিলিজ করানো জন্য আবার আরেকটি নতুন পোস্ট করেন যাতে করে আপনি আরো লাইক কমেন্ট পেতে পারেন।

এভাবে আপনি রোজ পোস্ট করতেই থাকেন লাইক পেতেই থাকেন আর আপনি ডোপামিনের সাগরে ডুবতেই থাকেন। কিন্তু আফসোসের ব্যাপার হচ্ছে এই ডোপামিনের ভয়াবহতা এত বেড়ে যায় যে আপনি লাইক কমেন্ট পাবার জন্য যে কোন কিছু করার জন্য প্রস্তুত থাকেন। হোক সেটা কোন ছেলে মেয়ে সেজে অভিনয় করা বা অশ্লীল কাপড় পড়ে সবার সামনে আসা। এটা কোথাই হয় সেই App সম্পর্কে নিশ্চয় আপনাকে আর বলে দিতে হবে না আপনি আমার থেকে ভালো জেনে থাকবেন।

এরপরে আমি একটি ব্যক্তি সম্পর্কে বলতে চাই যার নাম Tristan Harris যে কিনা Google এ জব করতো। কিন্তু জব করার সময় সে যে বিষয় সম্পর্কে জানতে পারে সেটা জানার পরে সে Google এ জব ছেড়ে দেয়। এক ইন্টারভিউতে Tristan Harris বলে সিলিকেন বেলিতে অবস্থিত একটি টেক কোম্পানি তাদের উদ্দেশ্য ছিল টাকা কামানো জন্য মানুষের দৈনন্দিন জীবন ও ডেইলি লাইফের উপর তাদের প্রভাব বিস্তার করা। এসব কোম্পানির উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষতে বেশি সময় ধরে ফোনে আটকে রাখা যাতে করে তাদের প্রডাক্ট যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে,টিকটোক বেশি সময় ধরে ব্যবহার করে। আপনি বিশ্বাস করতে পারবেন না যে এসব কোম্পানি আপনাকে বেশি সময় ধরে ফোনে আটকে রাখা জন্য কোন কোন টেকনোলজি কোন টেকনিকে ব্যবহার করছে।

ক্যালিফোর্নিয়াতে বসবাস করা একজন নিউরো সাইন্টিস্ট যায় নাম Ramsay Brown যে কিনা একটা ডোপামিন কোম্পানির মালিক। তার মতে এক Software
Developer এটা জানে যে একজন মানুষের ব্রেন কিভাবে কাজ করে তার জন্য এমন একটা App Developer করা কোন বড় ব্যাপার না যাতে করে কোন ব্যক্তিকে ঐ App এডিকটেট বানানো যায় এই কথাটা একেবারেই সত্যি কারণ Ramsay Brown কোম্পানি নিজে ইনস্টাগ্রামে কোম্পানির জন্য এমন কিছু কোড তৈরি করেছে যাতে করে ইনস্টাগ্রামে ইউজার বারবার ইনস্টাগ্রামে এসে তাদের ফটো লাইক কমেন্ট চেক করতে পারে।

Ramsay Brown বলে তারা জেনে শুনে ইনস্টাগ্রামেকে এমনভাবে ডিজাইন করেছে যাতে করে মানুষ যখন কোন পোস্ট করে তখন ২০ মিনিট পর পর লাইক কমেন্ট থামিয়ে রাখে। এবং একটা সময় নির্ধারণ করে কখন ঐ ব্যক্তিকে এক সাথে ২০ লাইক দিলে সে রিওয়ার্ড পাওয়া খুশি অনুভব করবে। এবং তার ব্রেন থেকে Strong ডোপামিন রিলিজ হবে এবং সাথে সাথে সে সেটা দেখে আরো একটা ছবি পোস্ট করতে উদ্বুদ্ধ হবে। এবং এভাবেই Ramsay Brown ডোপামিন লেব ইনস্টাগ্রামে মানুষকে এডিক বানাচ্ছে। শুধু যে এরাই এমনটা করছে তা নয়। আরো অনেক কোম্পানি আছে যায় অধিক লাভের আশায় এসব করছে।

যেমন Netflix সময়ের সঠিক ব্যবহার করে তাদের ইউজারদের কে এডিকটেট করছে। আপনি কি জানেন Netflix এ সিও বলেছিল Netflix এ কম্প এডিটর You Tube নয় Amazon নয়। Netflix এর কম্প এডিটর হচ্ছে মানুষের ঘুম। Netflix এ মানুষকে এট্রাক করার জন্য তাদের ঘুমকে কমাতে হবে। আশা করি বুঝতে পারছেন এই গেইম কিভাবে অপারেট করা হচ্ছে।

তো আজকে এই পর্যন্তই ভালো লাগল লাইক কমেন্ট করেবেন কারণ লাইক কমেন্ট করলে লেখাতে ইচ্ছেটা বেড়ে যায়। ঘরে থাকুন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ