হাসান মাসুদ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন সাবেক ক্যাপ্টেন পদবির কর্মকর্তা। বর্তমানে তিনি একজন অভিনেতা, পরিচালক ও গায়ক। এর আগে সাংবাদিকতাও করেছেন। দেশের আরও দুই নামকরা অভিনেতা, কাজী খুরশীদুজ্জামান উৎপল এবং কে এস ফিরোজও সাবেক সেনা কর্মকর্তা।
ফেরদৌস হাসান ওরফে আখতার ফেরদৌস রানা একজন তুমুল জনপ্রিয় নাট্যকার, নাট্যপরিচালক ও লেখক। তিনিও একসময় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ছিলেন।
অনেক অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা রাজনীতিতে জড়িত হয়েছেন, যাঁদের নাম বলার অপেক্ষা রাখে না। আবার অনেকেই কর্পোরেট জগতে বিভিন্ন পদে চাকুরি করছেন। অনেকে নানারকম ব্যবসা-বাণিজ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট। প্রয়াত মেজর জেনারেল (অবঃ) আমজাদ খান চৌধুরী তো ‘প্রান-আরএফএল গ্রুপ’ নামে বিশাল এক কর্পোরেট সাম্রাজ্যই গড়ে গেছেন। মেজর (অব:) আবদুল মান্নানও একজন বিজনেস ম্যাগনেট ও রাজনীতিবিদ।
আবার কেউ কেউ সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেয়ার পর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ করেন। যেমন, এই অধমও মেজর হিসেবে স্বেচ্ছা-অবসর নিয়ে বর্তমানে জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)-এ কাজ করছি। কিছু একটা করে খেতে হবে তো, নাকি?
সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণের পর বিদেশে স্থায়ীভাবে ইমিগ্র্যান্ট হওয়ার নজিরও কম নেই। তাদের মধ্যে অনেকেই আবার উচ্চশিক্ষা নিয়ে একাডেমিক পেশায় নিয়োজিত হয়েছেন। কয়েকজনের কথা জানি, যারা এখন উন্নত দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। যেমন, মেজর (অবঃ) খালিদ মইনুদ্দিন।
সেনাবাহিনীতে অবসরের বয়সসীমা নির্ভর করে পদবি বা র্যাংকের ওপর। নিম্নপদে অবসরের বয়সসীমা কম এবং পদ যত বাড়ে, অবসরের বয়সসীমাও তত বাড়ে। তাই বিশেষ করে যারা ক্যাপ্টেন, মেজর, লেঃ কর্নেল হিসেবে তুলনামূলকভাবে কম বয়সে অবসর নেন, জীবিকা নির্বাহের জন্য তাদের কোন না কোন দ্বিতীয় পেশা বেছে নিতে হয়। আর যারা সাধারণত উচ্চপদ থেকে পূর্ণকালিন চাকুরি শেষে অবসর নেন, তাদের অনেকেই সেই অবসর উপভোগ করেন।
ধন্যবাদ ৷
যদি পোস্টটি ভালো লাগে তাহলে আমার সাইটটি ঘুরে দেখুন একবার ☞ hmvai.com
সুত্রঃ গুগল, ইউকিপিডিয়া ৷