কিভাবে শুরু করলে সম্পুর্ন কাজ সফল ভাবে শেষ হয়??
প্রস্তুতিতেই ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়
যেকোন সমস্যা সমাধানে কিংবা কোনো কাজ শুরু করতে গেলে আমরা বিভিন্ন সমস্যায় পরি।
প্রথমত আমরা চিন্তা করতে গিয়েই হাপিয়ে যায় যে এই কাজটা করলে অন্যেরা কি বলবে, তারপরে চিন্তা করি এখন না একটু পরে শুরু করব।
এরকম হাজারটা অজুহাত দেখিয়ে শেষ অবধি কাজটাই আর হয় না। তবে, এর একটা সমাধান আছে, যেটা ফলো করলে কাজটার অর্ধেক এগিয়ে যায়।
বাকিটুকু করার জন্য শুধু প্রয়োজন হয় সামান্য পরিশ্রম। আর আজকে সেই অসাধারন মেথড নিয়েই কথা হবে যেটা Eat That Frog বই এর ৮ম চ্যাপ্টারে সুন্দর ভাবে বলা আছে।
এই অসামান্য মেথড টা জানতে এবং নিজের জীবনে প্রয়োগ করতে এখনই পড়ে ফেলুন এই লেখাটি।
স্টেপ-১ । অবশ্যই কাজের পুর্বে সঠিক পরিবেশ বেছে নিন।
চিন্তা করুন আপনি কি কখনো খেলার মাঠে বসে বই পড়ার চিন্তা করতে পারেন?? পারেন না, কারন সেটা খেলার মাঠ শুধু খেলার পরিবেশ।
তেমনি, খাবার ঘরে বসে কখনো ঘুমানোর কথা আপনি ভাবেন না এর কারন খাবার ঘর শুধু খাবার জন্যই। তেমনি, সব কাজের একটা নির্দিষ্ট পরিবেশ থাকে। উদাহরণ হিসেবে ধরুন বই পড়ার জন্য পরিবেশ হবে এমন
- একটা টেবিল এবং আরামদায়ক চেয়ার থাকবে।
- মনোযোগ বিনষ্ট করে এরকম কিছু ঘরে থাকবে না। যেমনঃ- টেলিভিশন, মোবাইল, কম্পিউটার ইত্যাদি ইত্যাদি।
- পড়ার টেবিলে শুধু থাকবে, বই, পেন্সিল, কলম ঘড়ি এরকম সহায়ক জিনিস।
এভাবে আমরা শুধু পড়ার জন্য নয় যেকোন কাজের জন্যই পরিবেশ বেছে নেব।
স্টেপ-২ । কোনো ইচ্ছা অসুম্পুর্ন রেখে কোনো কাজ শুরু করবেন না।
আমরা প্রায়ই কোনো একটা কাজ অসুম্পুর্ন রেখেই অন্যটা শুরু করি। সেক্ষেত্রে না হয় আগের কাজটা না হয় এই কাজটা।
শেষ অবধি এটাও অসুম্পুর্ন থাকে। যদি একান্তই আগেরটা শেষ না হয় তবে আগের কাজটার কথা ভুলে যান একবারো মনে করবেন না তাহলে নতুন কাজটা দ্রুত শেষ হবে।
অর্থাৎ, চাপ মুক্ত থেকে কাজ শুরু করুন।
স্টেপ-৩ । কাজ শুরুর আগেই সব দরকারী জিনিস গুছিয়ে নিন।
আমরা কি করি, পড়তে বসলে একবার উঠি কলম নিতে আরেকবার উঠি পানি আনতে আরেকবার উঠি স্ট্যাপলার নিতে এভাবে বারবার মনোযোগ নষ্ট হয়।
তাই, কাজ শুরুর আগেই সেই কাজের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর একটা লিস্ট বানাতে হয়। সেখানে একটা করে জিনিস হাতের কাছে রাখতে হয় এবং সেটাতে টিক দিতে হয়। এভাবে সবকিছু গুছিয়ে নিলে কাজ করতে গেলে মনোযোগ বিনষ্ট হবে না।
স্টেপ-৪ । নিজের কাজের জায়গা নিজের পছন্দ অনুযায়ী করুন।
প্রথম স্টেপেই বলেছি যেটা যেখানে করার সেটা সেখানেই করুন। তবে, আপনার যদি একান্তই মনে হয় আপনি বারান্দায় বসে লিখলে টেবিলের থেকে বেশি ইফেক্টিভ হবে তাহলে বারান্দাতেই লিখুন।
নিজের কমফোর্ট জোনে বসে কাজ সম্পন্ন করলে মস্তিষ্কে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং কাজ দ্রুত শেষ হয়।
স্টেপ-৫ । খুব বড় সময়ের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবেন না।
সর্বোচ্চ ১ ঘণ্টার ডেড লাইন নিয়ে কাজ শুরু করুন। ভালো হয় যদি ২০ মিনিটের টার্গেট নিয়ে শুরু করেন। যেমন এই ১০ পৃষ্ঠা আমি আগামী ২০ মিনিটে পড়ব।
এভাবে করে ৩ বার টার্গেট সেট করলেই ১ ঘণ্টা হয়ে যাবে। অল্প করে টার্গেট সেট করলে সেটা অর্জন সহজ হয়ে যায়।
ওকে, এই ৫ টা স্টেপ হচ্ছে কাজ শুরুর আগে করবার জন্য। কাজটা সঠিক ভাবে শুরু করলে বাকিটা করা এমনিতেই সহজ হয়ে যায়।
নিজেকে একটা প্রশ্ন করুন, “আপনার বাসা + টেবিল + রুম সবকিছুর যে রকম পরিবেশ এরকম পরিবেশে কারা কাজ করে??”
যে উত্তর পাবেন সেটা যদি আপনিই হয়ে থাকেন তাহলে তো ভালো নাহলে নিজের লেভেলে সবকিছু সেট করুন।।
ওকে, আজকে এই অবধি শেষ। আগামী পর্বে ইনশাল্লাহ দেখা হবে নতুন কোনো বিষয় নিয়ে, সেই অবধি ভালো থাকুন + সুস্থ থাকুন।
যেকোন সমস্যায় কমেন্টে জানিয়ে দিন।
আপনার বন্ধুদের জানানোর উদ্দেশ্যে এখনই শেয়ার করে ফেলুন এই লেখাটি!!
আরো ভালো আর্টিকেল পেতে চলে যান এই লিংক এ মাঞ্জারো নাকি উবুন্টু ?