আসসালামু আলাইকুম আশা করছি ভাল আছেন,
জানিনা আর কতদিন আছি ট্রিকবিডিতে হয়তো হঠাৎ করেই একদিন শুনবেন আমি আর কখনো পোস্ট করব না ট্রিকবিডি তে এমন কথা বলছি কারণ।
রিসেন্টলি কিছু অসাধু মানুষ কমেন্ট বক্সে আজেবাজে ভাষা ব্যবহার করছেন যা আমার লাইফে অনেক বাজে একটা অভিজ্ঞতা।
এমনকি এক ভাই এমনই কুৎসিত ভাষা কমেন্ট বক্সে ব্যবহার করেছে যে যেটা দেখার পর আমি বিশ্বাস করবেন কি জানেনা ৩০ মিনিট ধরে শুধু কেঁদেছি,
শুধু এটা ভেবে যে আমি তো তার ছোট বোনের মতোই কি করে পারল সে এধরনের শব্দ ব্যবহার করতে।
যেটা হয়ত আপনারা comment moderation. এর জন্য দেখতে পান নি।
তবে এটা আমি এখনও বিশ্বাস করি এবং এটা প্রমাণিত যে এই সমাজে এখনও অনেক ভালো মানুষ আছে, আর আমি এটাও মনে করি সেই মানুষগুলোর সংখ্যা ঐসব অসাধু খারাপ মানুষের চাইতে অনেক গুণ বেশি।
ঠিক তাদের মধ্যে থেকেই একদল ভালো-মানুষ ভালো মস্তিষ্কের মানুষ বলবো অবশ্যই তারা আমাকে এত কম সময়ের মধ্যে এতটা সাপোর্ট এবং ভালোবাসা দিয়েছেন যা সহজেই ভুলে যাওয়ার মতো না।♥️♥️♥️
আর হয়তো এই ভালো মানুষ গুলোর জন্যই এখন এই পোস্টটি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন বা ভবিষ্যতে পাবেন।
যাইহোক অনেক কথা বলে ফেলেছি চলুন আজকের পোস্ট এর মূল ট্রপিক এর ওপর আলোচনা করি।
বাঙালির ফেভারিট ঘরনা থ্রিলার বা রোমাঞ্চকর বলিউড আর সাউথ ইন্ডিয়ান থ্রিলার সিনেমা দেখে বাঙালির থ্রিলার এর উপর টান যেন আরও বেড়েছে।
তবে অনেক বাঙালি আছে যারা নিজেদের ভাষায় রোমাঞ্চকর সিনেমা সম্পর্কে প্রায় কিছুই জানেন না। তাই যারা জানেন না তাদের কে জানিয়ে রাখি বাংলায় এমন কিছু থ্রিলার আছে যেগুলো দেখলে আপনি চমকে উঠতে বাধ্য।
তো আজকে এমনই পাঁচটি বাংলা থ্রিলার আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো যেগুলো দেখতে বসলে আফসোস করবেন না এটা নিশ্চিত।
তাই থাকুন পোস্টের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত।
৫। দ্বিতীয় পুরুষ।
এ বছরের most anticipated বাংলা সিনেমা cult classic বাইশে শ্রাবণ এ spinup হাওয়াই এই সিনেমার দর্শকের আগ্রহ ছিল আকাশচুম্বী।
তবে সেই দর্শক প্রত্যাশা পূরণ হোক বা না হোক পরিশেষে শ্রী দিশমুখার্জী কিন্তু দারুন একটি থ্রিলার উপহার দিয়েছে। সিনেমাটাকে অনেক ডার্ক এবং বোল্ট হিসাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
শ্রীজিৎ মুখার্জীর এই সিনেমার আরেকটি স্ট্রং পয়েন্ট ছিল এই সিনেমার ডায়লগ যা আপনাকে এবারো হতাশ করবে না।
আর সিনেমার টুইস্ট গুলো আপনার জন্য বোমার মত অপেক্ষা করছে সিনেমা টুইস্ট গুলোর মুখোমুখি হলে আপনি বড়সড় ধাক্কা খাবেন এটা নিশ্চিত। অনুপম রায়ের মিউজিক রুপম এর একটি গান আর বাড়তি পাওনা হিসেবে অরিজিতের গান সব মিলিয়ে ছিল এক দারুণ কম্বিনেশন।
এবারের গল্প খোকাকে নিয়ে জেল থেকে ফিরে তার পুরনো স্টাইলে খুন করছে প্রশ্ন হচ্ছে কেন? জানতে হলে এখনই দেখে ফেলুন দ্বিতীয় পুরুষ।
৪। ঢাকা অ্যাটাক।
একজন সাইকো খুনি কোন অজানা কারণে একের পর খুন করে যাচ্ছে প্রতিটি খুন করে পুলিশের এক প্রকার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছে। আসলে এইসব খুনের উদ্দেশ্য কি আর খুনিকে আর কি বা চাই???
এভাবেই এগিয়ে চলে সিনেমার গল্প কথা বলছিলাম বাংলাদেশি কব ভিত্তিক অ্যাকশন থ্রিলার সিনেমা ঢাকা অ্যাটাক এর কথা।
বলা যায় বাংলাদেশের অ্যাকশন থ্রিলার সিনেমার মধ্যে অনেকটাই অবদান এই সিনেমার, কম বাজেটে যে এরকম দারুন মিশন নির্ভর সিনেমা বানানো যায়।
তা একজন বাংলাদেশী পরিচালক দেখিয়ে দিয়েছেন। দুর্দান্ত একশন সিকুয়েন্স ভালো গল্প আর সবার পারফেক্ট অভিনয় সিনেমাটাকে ফুল ইন্টারটেনমেন্ট প্যাকেজ করে তুলেছে।
তবে যার কথা না বললেই নয় সেটা হল এই সিনেমার ভিলেন তার সাইকোপ্যাথের রোলের অভিনয় সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে এটা বলতে আমার কোন দ্বিধা নাই।
৩। চতুষ্কোণ ।
৪ জন পরিচালকের চাটি গল্প নিয়ে তৈরি হবে একটি সিনেমা তবে পরিচালকদের কাছে সিনেমার প্রযোজক জুড়ে দেন একটি অদ্ভুত শর্ত সেটি হল চারটি গল্পে একটি বিষয় কমন থাকবে তা হল মৃত্যু।
এর বেশি বললে স্পয়লার হয়ে যাবে তাই আর বললাম না এই সিনেমার দারুন একটি প্লাস পয়েন্ট হল এর কাস্টিং।
চিরঞ্জিত চক্রবর্তী , অপর্ণা সেন, গৌতম ঘোষ, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় এদের মত সব বাঘা বাঘা অভিনেতাদের নিয়ে শ্রীজিৎ মুখার্জী দারুন কাজ করিয়ে নিয়েছেন তা আর বলার বাকি রাখে না।
সবাই তাদের ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা কাজ করেছেন এই সিনেমায় যদিও চতুষ্কোণ নামে এই সিনেমা বাংলা থ্রিলার প্রেমীদের কাছে অনেকদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে সেটা আমি গ্যারান্টি দিলাম।
২। বাইশে শ্রাবণ।
বাংলা সিনেমা জগতের অনেকগুলো ইগলুসনের কারণ হল বাইশে শ্রাবণ তার মধ্যে অন্যতম হলো বাংলায় সফলভাবে থ্রিলার এক্সপ্লোর করা।
আর আরেকটি বিষয় হলো বাংলা সিনেমায় ভাষাগত বৈচিত্রতা বাইশে শ্রাবণ কে বলা হয় বাংলা সিনেমার ক্ষেত্রে একটি ল্যান্ডমার্ক। এখন এমন কথা বলছি কারণ সিনেমাটি দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন।
শহরে এক অজানা সিরিয়াল কিলার উদ্ভট নিশংস ভাবে একের পর এখন করে যাচ্ছে কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কিছুই করতে পারছে না বাধ্য হয়ে তারা সাহায্য নেন, এক জেদি একরোখা প্রকৃতির সাসপেন্ডেড পুলিশ অফিসারের কাছে।
এবং তারপর শুরু হয় ইনভেস্টিগেশন বাইশে শ্রাবণ এর সব থেকে আইকনিক পাট হল শেষের ২০ মিনিট আর সিনেমার ক্লাইমেক্স সিন যা দেখে আপনি বাকরুদ্ধ হতে বাধ্য।
প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী, গৌতম ঘোষ, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, সবার চরিত্র গুলো বাঙালির কাছে আইকনিক তাই অভিনয় নিয়ে কোন প্রশ্নই হবে না, রুপম অনুপমের দুর্দান্ত মিউজিক যা এখনো বাঙালির কাছে স্মরণীয়।
১। আয়নাবাজি।
বাংলাদেশ যখন ভালো সিনেমা নির্মাণের খরা চলছে ঠিক তখনই আয়নাবাজির আগুন ছিল ঝড়ের মত,
বক্সঅফিসে তান্ডব ব্যবসাসহ সকলের মন জয় করে নেই এই সিনেমাটি।
গল্প আয়না নামের এক লোককে নিয়ে যে কিনা অন্য কারো হয়ে টাকার বিনিময় জেল খাটে।
গল্প নিয়ে এর বেশি বলব না প্রথমত সিনেমাটি দেখলে বাংলাদেশি সিনেমা হিসেবে বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে এটা গ্যারান্টি দিতে পারি, বরং এটা মনে হতেই পারে কোন দুর্ধর্ষ কোরিয়ান সিনেমা দেখছেন।
সিনেমার প্রত্যেকটি টেকনিক্যাল কাছে এত দুর্দান্ত ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যা দেখলে আপনিও হতবাক হয়ে যাবেন, সিনেমাটোগ্রাফি স্ক্রিন প্লে, ডায়লগ , লোকেশন সবকিছুতেই নিপুণতার ছাপ স্পষ্ট।
এবার যদি বলি পারফরম্যান্সের কথা তাহলে নিঃসন্দেহে বলা যায় পুরাটাই চঞ্চল চৌধুরীর নাগালে।
তিনি এতটাই ভাল কাজ করেছেন যে তার সঙ্গে যারা কাজ করেছিল তাদের সকলের অভিনয় চঞ্চল চৌধুরীর জন্য ঢাকা পড়ে গিয়েছিল।
এখানে চঞ্চল চৌধুরীর ক্যারেক্টারকে কয়েকটা মাধ্যমে দেখানো হয়েছে পতিতা ক্যারেক্টারকে তিনি তার দারুণ অভিনয় দক্ষতা দিয়ে নিপুণতার সাথে উপস্থাপন করেছেন।
আর সেইসাথে ডিরেকশন সিনেমাটাকে অনবদ্ধ করে তুলেছে।
তো এই ছিল আমার চোখে সেরা ৫টি রোমাঞ্চকর বাংলা থ্রিলার যদিও এর বাইরেও অনেক ভালো থ্রিলার আছে তবে সেগুলো উপস্থাপন করব পরবর্তী পোস্টে।
তাই পরবর্তী পর্বে সেরা বাংলা থ্রিলার এর তালিকায় কোন কোন সিনেমাকে রাখা যেতে পারে বলে আপনার মনে হয় তা কমেন্ট বক্সে নিশ্চয়ই জানিয়ে দিন।
সবশেষে জানাতে পারেন পোস্টটি কেমন লাগলো ভাল লাগলে একটি লাইক করুন এবং শেয়ার করে আপনার ফ্রেন্ড সার্কেলের মধ্যে ছড়িয়ে দিন।
আমার অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন। এবং ।জয়েন করুন আমার ফেসবুক গ্রুপে
গ্রুপে অবশ্যই জয়েন করুন সবার কাছে অনুরোধ রইলো।
অনেকে আমার ফেসবুক আইডির লিংক চাচ্ছিলেন তো তাদের কথা চিন্তা করে নতুন একটি ফেসবুক একাউন্ট খুলেছি। Facebook.Com/Anamika 016
আজকের মত এ পর্যন্তই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সেই প্রত্যাশাই আজকের মত আল্লাহ হাফেজ।