ভিন্ন ভিন্ন মনিষীগণ ভিন্ন ভিন্ন পথে সুখের ঠিকানার অনুসন্ধান করেছেন। কেহ বলেছেন “জীবন থেকে সুখ আদায় করতে হলে মনটাকে ধীর ও অচঞ্চল রাখতে হবে। আত্মাকে রাখতে হবে স্থিতিশীল। কারণ খুঁতখুঁতে চঞ্চল হৃদয় এবং অস্থির আত্মায় সুখ কখনও বাসা বাঁধে না। আবার কেহ বলেছেন যে মন পরিশ্রম করে সুখ পায় না, আনন্দ পায় না- সে মন পশুত্বে পরিপূর্ণ মনের শান্তি সুন্দর স্বাভাবিক অবস্থাটাই শান্তিময় অবস্থা। যে মনটাকে কোন পরিস্থিতি স্বাভাবিক সুন্দর ও শান্তিময় অবস্থা থেকে নাড়াতে পারে না সেই মনটা সর্বদাই শান্তিতে পরিপূর্ণ থাকে। আবার কোন কোন মনীষী বলেছেন, “অল্পতে সন্তুষ্ট থাকতে পারলেই ভেতরে সন্তোষ সৃষ্টি করা যায় এবং জীবন এতে মধুময় হয়। তাই আত্মার শান্তির তৃপ্তিকর অবস্থাকে সুখ বলে। আবার কেহ বলেছেন “আমার চোখে স্বর্ণ সিংহাসনে আসীন একজন সম্রাট এবং শস্য ক্ষেত্রের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা একজন কৃষকের মাঝে কোনই পার্থক্য নেই, যদি কিনা তাহারা উভয়ে সুখ শান্তির মাঝে বসবাস করে থাকে।
আমার বিশ্বাস মনের গভীরে শান্তির তৃপ্তিকর অবস্থাটাই সুখ। যাহা নিহিত আছে ভালবাসা ও প্রেমের মাঝে। শ্রেষ্ঠ ভালবাসা সেটাই যে ভালবাসা স্রষ্টার খাতিরে হয়। স্রষ্টাকে ভালবেসে তার সৃষ্টিকে ভালবাসাই প্রকৃত ভালবাসা। সৃষ্টিকে যে ভালবাসবে স্রষ্টার অনুগ্রহ তাহার উপর বর্ষিত হবে। তাই আমাদের কর্তব্য সবর্দা মানুষকে ভালবাসা। সকলের সাথে মধুর ব্যবহার করা, স্রষ্টার আদেশ নিষেধ পালন করে অহংকারকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে খাঁটি মানুষ হতে পারলেই স্রষ্টার প্রেমে পাগল হওয়া যাবে। হয়তোবা তখনই মনের গভীরে শান্তির তৃপ্তিকর অবস্থার মাঝে খুঁজে পাওয়া যাবে সত্যিকারের সুখের ঠিকানা। সৌজন্যেঃ TechBlogBD.Net