আসসালামুআলাইকুম। ও হিন্দু ভাইদের আদাব।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি অনেক ভাল আছেন। প্রতিবারের মতো আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হলাম,নতুন একটা আর্টিক্যাল নিয়ে।
আজকে কোন বিষয় এ আর্টিক্যাল লিখব,আপনারা টাইটেল দেখে হয়তো বুঝে গেছেন। খেজুর, আমরা কম বেশি সবাই চিনি,এবং খেয়ে থাকি।
খেজুর এ রয়েছে অনেক ভিটামিন ও উপকারিতা। আমরা অনেকে জানি না খেজুর এ কি পরিমান ভিটামিন রয়েছে। আজকে আপনাদের আমি জানাব,সকালে খালি পেটে খেজুর খেলে কি কি উপকার হবে৷ আশা করি আজকের পোস্ট টি পড়লে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার গুন গুলো সম্পর্কে ভালভাবে জানতে পারবেন।
খেজুরে আছে এমিনো এসিড। প্রচুর শক্তি,ভিটামিন,শর্করা,মিনারেল। বিশেষ করে রোযার সময় দীর্ঘসময় খালি পেটে থাকার পর দেহে প্রচুর গ্লুকোজ এর ঘাটতি দেখা দেয়।এই ঘাতটি পূরন করতে খেজুর সাহায্য করে।
এবার শুরু করা যাক, খালি পেটে খেজুর খাওয়ার উপকারিতাঃ
১] ভিটামিনঃ
খেজুরে আছে বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন।যা দেহের জন্য অত্যান্ত জরুরি। B1, B2,B3 এবং B5 খেজুর খেলে দৃষ্টি শক্তি বাড়ে।এবং রাতকানা রোগ এর জন্য অত্যান্ত কার্যকারী ভূমিকা রাখে খেজুর।সকালে খালি পেটে খেলে অত্যান্ত ভাল কাজ করে। তাই সকালে খালি পেটে খাবার চেস্টা করবেন।
২] কোলেস্টেরল বা ফ্যাটঃ
খেজুরে কোলেস্টেরল বা বাড়তি কোনো ফ্যাট কিছু থাকে না। তাই আপনি ফ্যাট জাতীয় খাবার না খেয়ে খেজুর খাওয়া শুরু করতে পারেন।এতে আপনার কোনো ক্ষতি হবে না।বরং উপকার হবে।
৩] প্রোটিনঃ
প্রোটিন শরীরের জন্য অত্যান্ত দরকারি একটি উপাদান৷ খেজুরে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন।পেশি গঠন করতে সাহায্য করে এই প্রোটিন। খেজুরে রয়েছে এমন উপাদান। তাই সকালে খালি পেটে খেজুর খেতে হবে।তবেই গুন পাওয়া যাবে।
৪] আয়রনঃ
আয়রন মানব দেহের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ। খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমান আইরন। হৃৎপিন্ড এর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সকালে খালি পেটে খেজুর খাইতে হবে।
৫] ক্যালসিয়ামঃ
ক্যালসিয়াম হাড় গঠনে সাহায্য করে।খেজুরে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম যা হাড় গঠনে সাহায্য করে। ছোট শিশুদের হাড় গঠনে বিশেষ ভুমিকা রাখে।
৬] ক্যানসার প্রতিরোধঃ
খেজুর অনেক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। একটি গবেষণায় দেখা যায় খেজুর পেটের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। যারা প্রচুর খেজুর খায় তাদের ব্লাড ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। অবাক করা একটি বিষয় হল খেজুর অনেক সময় ঔষধের থেকেও বেশি কাজ করে।
৭] ওজন কমায়ঃ
মাত্র কয়েকটা খেজুর খাইলেই কিন্তু। ক্ষুধার ভাবটা কমে যায়। এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। তাই খেজুর খেয়ে থাকলে সমস্যা হয় না। ওজন কমাতে খেজুর অত্যন্ত ভূমিকা পালন করে।
৮] কর্মশক্তি বাড়ায়ঃ
খেজুরে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি। যা খেলে খুব সহজেই শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। রোযার মাসে খেজুর খেলে শক্তি বেড়ে যায়। সারাদিনে যে শক্তির ঘাটতিটা দুইটা খেজুর খেলে কিন্তু পূরণ হয়ে যায়। অনেক পরিমান সর্করা আছে খেজুর এ।
৯] রক্তশূন্যাতা রোধ করেঃ
প্রচুর মিনারেল এর সাথে আইরন থাকার কারনে, খেজুর খেলে রক্তশূন্যাতা রোধ করতে সাহায্য করে। যাদের রক্তের হিমোগ্লোবিন এর সমস্যা তারা খেজুর খেয়ে দেখতে পারেন।
১০] সংক্রামকঃ
বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে খেজুর।খেজুরে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা সংক্রামক রোগ থেকে মুক্তি দেয়।
১১]কোষ্ঠকাঠিন্যঃ
খেজুরের রয়েছে সব পুষ্টিগুণ।যা খেলে পরিপাকতন্ত্রে হজমে সাহায্য করে। এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
১২] হৃৎপিন্ড প্রতিরোধ করেঃ
খেজুরে রয়েছে পটাশিয়াম। যা আমাদের হৃৎপিন্ড ভাল রাখে ও রোগ প্রতিরোধ করে।সকালে খালি পেটে খেজুর খেলে অনেক উপকার। আপনি নিজেই দেখুন প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেজুর খেয়ে।
১৩] স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্ষমতার বাড়ায়ঃ
খেজুরে বিভিন্ন ভিটামিন বিদ্যমান থাকায় এটি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ছাত্র-ছাত্রী যারা খেজুর খায় তাদের পড়াশোনার চাহিদা অনেক ভালো থাকে। মস্তিস্ককে ভালো রাখে। তাই খালি পেটে খেজুর খাওয়া উচিত।
আশা করি খালি পেটে সকালে খেজুর খাইলে কত গুন আপনারা জানতে পারলেন।
টেকনিক্যাল বিষয়ে যাবতীয় ভিডিও ও সমাধান পেতে আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুনঃ
আজ এ পযন্ত,
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জ্ঞান আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেস্টা করি।
পরবর্তী ট্রিক এর জন্য অপেক্ষা করুন, আবারো ভাল কিছু নিয়ে হাজির হবো।
সে পযন্ত ভাল থাকুন,সুস্থ থাকুন।
যে কোনো প্রয়োজনে আমার সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ করতে চাইলেঃ- Sk Shipon
ধন্যবাদ