Site icon Trickbd.com

আপনার শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি।আপনার এই কিডনিতে পাথর হয়েছে কিনা জেনে নিন।

Unnamed

আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।

কিডনিতে পাথর হয়েছে কিনা জেনে নিন

আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ কিডনি। একজন মানুষের যদি কিডনি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে তার সারা শরীর অসুস্থ হয়ে যায়। আমাদের দেশে কিডনি আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা প্রায়ই শুনে থাকি কিডনিতে পাথর হওয়ার কথা। কিডনি সমস্যা গুলোর মধ্যে অন্যতম হল স্টোন বা পাথর হওয়ার সমস্যা।পাথরের প্রাথমিক লক্ষণগুলো নির্ভর করে পাথর কিডনির কোথায় এবং কী ভাবে রয়েছে।কিডনিতে পাথর ছোট হলেও সেটি শরীরে থাকতে পারে কোন ব্যাথা ছাড়াই। এতে অনেকদিন পর্যন্ত সমস্যা সামনেই আসেনা।

কিডনিতে পাথর জমার কারণ:

কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। বিশেষ কিছু বিষয় কিডনিতে পাথর তৈরির কারণ বলে বিবেচিত হয়।

• কিডনিতে বারবার সমস্যা হওয়া কিন্তু তারপরেও চিকিত্‍সার ব্যবস্থা না করা।

• পানি কম পান করার কারণে আমাদের মাঝে অনেকেরই পানি কম পান করে এটিও একটি সমস্যা পানি প্রচুর পরিমাণে পান করতে হবে।

• শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রাতিরিক্ত আধিক্য।

• অত্যাধিক পরিমাণে দুধ, পনির বা দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকার কারণে কিডনিতে পাথর হয়।

উপসর্গ:-

• রক্তবর্ণের প্রসাব।

• বমি বমি ভাব। অনেক সময় বমিও হতে পারে।কিডনির অবস্থানে (কোমরের পিছন দিকে) ব্যথা। এই ব্যথা তীব্র তবে সাধারণত খুব বেশি ক্ষণ স্থায়ী হয় না। ব্যথা কিডনির অবস্থান থেকে তলপেটেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

চিকিত্‍সা:-

আপনার কিডনিতে যদি ব্যথা এবং রক্তবর্ণের প্রসাব হলে চিকিৎসকরা সাধারণত দুটো সম্ভাবনার কথা চিন্তা করেন। একটি হল কিডনির ইনফেকশন, অন্যটি কিডনিতে পাথর। তাই কিডনির এক্সরে, আলট্রা সনোগ্রাম এবং প্রসাবের নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সঠিক পরিমাণে পানি আর সময় মতো ওষুধ খেলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে অস্ত্রপচারই একমাত্র উপায়।

সতর্কতা:-

• আপনি যদি কিডনিতে পাথরের ঝুঁকি এড়াতে হলে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে।

• কখনও প্রসাব আটকে বা চেপে রাখবেন না। প্রসাবের বেগ আসলে চেষ্টা করবেন সঙ্গে সঙ্গে প্রসাব করার।

• প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খান।

• দুধ, পনির বা দুগ্ধজাত খাবার অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়া যাবনা।

• বারবার ইউরিন ইনফেকশন দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসক পরামর্শ নিন।

আশা করি সবাই সবকিছু বুঝতে পেরেছেন। কোথাও সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাবেন অথবা ফেসবুকে জানাতে পারেন ফেসবুকে আমি

Exit mobile version