আসসালামুআলাইকুম। ও হিন্দু ভাইদের জানাই আদাব। আশা করি সবাই ভাল আছেন। প্রতিবারের মতো আবারো আপনাদের মাঝে আরেকটি আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম।টাইটেল দেখে হয়তো সবাই বুঝে গেছেন,আজকে কোন আর্টিকেল নিয়ে পোস্ট করতে যাচ্ছি। আজকে এমন কিছু খাবার এর নাম বলবো যেগুলো গরম করে খাওয়া খুবই বিপজ্জনক।
অনেক সময় আমরা খাবার রান্না করে রেখে দিই।এবং পরে তা গরম করে খাই। আসলে কিছু খাবার আছে গরম করে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব ক্ষতিকর খুবই ক্ষতিকর ।অনেক সময় আমরা সময় বাচাতে, অনেক খাবার রান্না করে ফ্রিজে রেখে দিই।এবং পর্যায়ক্রমে রান্না করে খাই।
তবে এমন কিছু খাবার আছে যে গুলো গরম করে খাওয়া অনেক ক্ষতিকর। আমরা না জেনে অনেক ভুল করে থাকি।আসলে আমাদের সবাইকে সতর্ক হতে হবে। না হলে বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
উক্ত খাবার গুলো রান্না করার পর পুনরায় গরম করলে পুস্টিগুন হারায় এবং আমাদের শরীরের জন্য অত্যান্ত ক্ষতিকর।
কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক, যে খাবার গুলো পুনরায় গরম করে খাওয়া বিপজ্জনকঃ
১] বিটঃ
বিট হলো পালং শাক এর মতো উচ্চ মাত্রায় নাট্রেড সবজি।তবে এ বিট পুনরায় রান্না করে খেলে অনেক বড় সমস্যা হতে পারে। বিট পুনরায় গরম করে খেলে পেটের অনেক বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই বিট পুনরায় গরম করে না খাওয়া ই উত্তম।
২] সেলারি( ধনে গাছের ডাটা);
সেলারি ডাটা ও উচ্চমাত্রার নাইট্রেড। এই সেলারি ডাটা পুনরায় গরম করলে নাইট্রেড পুরোপুরি নাইট্রাইটে রুপান্তরিত হয়।
মানবদেহে বেশি মাত্রায় নাইট্রেইট ঢুকলে তা মেথিমোগ্লোবিনোমিয়ার ঝুকি বেড়ে যায়। এবং এটি রক্তের হিমোগ্লোবিন ও আয়রন এর সঙ্গে ইন্টারঅ্যাক্ট করে।এবং রক্ত কনিকায় অনেক বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে।এবং জটিলতা হতে পারে শেষপরিনতি মৃত্যু ও ঘটতে পারে এক পর্যায়ে।
৩] চাঃ
আমরা সবাই জানি, চা গরম করে ঠান্ডা হলে আবার গরম করে খাওয়া উচিৎ না।
চা গরম করে খেলে যা হয়, চা তে আছে ট্যানিক এসিড। যা ঠান্ডা হলে আবার গরম করে খেকে লিভারের অনেক বড় সমস্যা হতে পারে।
৪] মাশরুমঃ
মাশরুম অনেক পুস্টিগুন। মাশরুম হলো প্রোটিন সমৃদ্ধ। তবে একটা দিক খেয়াল রাখতে হবে। মাশরুম যেদিন রান্না করা হয়, সে দিন ই খেয়ে ফেলা উচিৎ। কারন, উচ্চমানের প্রোটিন খাবার মাশরুন রান্না করে পুনরায় গরম করলে প্রোটিন নস্ট হতে পারে। যা খেলে অনেক বড় সমস্যা হতে পারে। এবং হৃদরোগ ও হতে পারে।
৫] শালগমঃ
শালগম সাধারণত স্যুপ বানানোর কাজে বেশি ব্যাবহার করা হয়ে থাকে। তবে এটি উচ্চমাত্রায় রান্নার পর আবার গরম করে খেলে অনেক ক্ষতি হতে পারে। কারন এটি নাইট্রেট সমৃদ্ধ। পুনরায় গরম করে খেলে এটি বিশাক্ত ও হতে পারে।
৬]পোড়া বা খাবার তেলঃ
অনেক সময় খাবার রান্না করার পর অবশিষ্ট তেল রেখে দেয়া হয়। যা পুনরায় এ তেল দিয়ে আবার খাবার রান্না করা হয়। যেমন কোনো ভাজি করে সেই তেল রেখে দেয়া হয়। আমরা কি জানি এটি কতটা ক্ষতিকর। এমনি ক্যান্সার ও হতে পারে, এই তেল খেলে। তাই সাবধান।
৭] পালং শাকঃ
পালং শাকে আছে উচ্চ মাত্রায় নাইট্রেট ও আয়রন। পালং শাক ও পুনরায় গরম করে খাওয়া স্বাস্থ্যর জন্য অনেক বিপজ্জনক।কারন উচ্চমাত্রায় নাইট্রেট সমৃদ্ধ পালংশাক রান্না করে পুনরায় গরম করে খেলে তা নাইট্রাইট এ রুপান্তর হয়। যা ক্যান্সার হবার ঝুকি বাড়ায়।
৮] মুরগিঃ
মাশরুমের মতো মুরগির মাংসে ও প্রচুর প্রোটিন আছে।তবে এই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রান্না করে আবার পুনরায় গরম করে খেলে স্বাস্থের জন্য খুব ই মারাত্মক ক্ষতিকর।
তবে যদি খুব প্রয়োজন হয়, নিম্ন তাপমাত্রায় গরম করে খেতে হবে মুরগির মাংস।
৯] ডিমঃ
ডিমে উচ্চমাত্রায় প্রোটিন আছে। আমাদের সবার নাস্তার জন্য ডিম পছন্দ।ডিম এমন একটা খাবার যা রান্নার পর উচ্চমাত্রায় আবার গরম করে খেলে বিশাক্ত হয়ে যায়,যা রান্না করা ডিম পুনরায় খেলে, পেটের সমস্যা সৃস্টি হতে পারে।
১০] আলুর তরকারিঃ
পুস্টিগুন ভরপুর রয়েছে এই আলুর ভিতর। তবে এই তরকারিটা যদি বার বার গরম করে খাওয়া হয়,তাহলে পুস্টিগুন হারিয়ে যায়।এবং অনেক বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে।
এসব খাদ্য অবস্যই আমাদের গরম করে খাওয়া উচিৎ না। একবারে কম করে রান্না করে খাওয়া উচিৎ।
টেকনিক্যাল বিষয়ে যাবতীয় ভিডিও ও সমাধান পেতে আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুনঃ
আজ এ পযন্ত,
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জ্ঞান আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেস্টা করি।
পরবর্তী ট্রিক এর জন্য অপেক্ষা করুন, আবারো ভাল কিছু নিয়ে হাজির হবো।
সে পযন্ত ভাল থাকুন,সুস্থ থাকুন।
যে কোনো প্রয়োজনে আমার সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ করতে চাইলেঃ- Sk Shipon
ধন্যবাদ