আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।
শরীরে হার্ট অ্যাটাকের আগেই যে লক্ষণ গুলো দেখা যায়
বর্তমান বিশ্বের হৃদরোগ এবং স্ট্রোক অকাল মৃত্যুর বড়। কারণ শরীরে সাধারণত হৃদপিণ্ডে পর্যাপ্ত রক্ত চলাচল কমে যাওয়া কারণে হার্ট অ্যাটাক হয়। আমাদের শরীরে শিরা-উপশিরাগুলোতে কোনো ব্লক হলে সেখান দিয়ে রক্ত চলাচল করতে বাধা পড়ে যায় কারণে হার্ট অ্যাটাক।অতিরিক্ত পরিমাণে তেল চর্বি খাওয়া কারণে শিরা-উপশিরাগুলোতে ব্লক হয় তাই আমাদের উচিত অতিরিক্ত তেল চর্বি খাওয়া থেকে বিরত থাকা।
আবার আপনি যদি আগেই হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো ধরতে পারেন তাহলে অকাল মৃত্যু এড়ানো সম্ভব হতে পারে।আমাদের দেহ এক মাস আগে থেকেই দেহ কিছু সতর্কতা সংকেত দিতে শুরু করে।হার্ট অ্যাটাকের আগে শরীরে সিগনাল দেয়, তা নিচে তুলে ধরা হলো-
১. অস্বাভাবিক রকমের শারীরিক দুর্বলতা
আমাদের শরীরে রক্ত প্রবাহ কমে গেলে এবং অতিরিক্ত পরিমাণে তেল চর্বি খাওয়ার কারণে বাধাগ্রস্ত হলে এমনটা হয়।শরীরে মাংস পেশিগুলো আস্তে আস্তে দূর্বল হয়ে পড়ে।
আমাদের শরীরে রক্তের প্রবাহ কমে গেলে ঝিমুনি দেখা দেয়। ঝিমুনি দেখা দেওয়া কারণ হলো আমাদের মস্তিষ্কের মধ্যে রক্ত চলাচল করতে পারনা। এই জন্য ঝিমুনি আসে।
৩. ঠান্ডা ঘাম
শরীরে রক্ত প্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে দেহে ঘাম ঝরলে স্যাঁতসেতে ও ঠান্ডা ভাব অনুভূত হবে।এটিও একটি হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ।
৪. বুক ব্যথা
আমাদের শরীরের যেসব অঙ্গ গুলোতে ব্যাথা অনুভূত হবে সেগুলো হচ্ছে বুক, বাহু, পিঠ এবং কাঁধে ব্যাথা এগুলো ব্যাথা করলে দ্রুত ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।বুকের মধ্যে ব্যাথা ও সংকোচন হৃৎপিণ্ডের অসুস্থতার একটি বড় লক্ষণ।
৫. ঠান্ডা বা ফ্লু
যারা হার্ট অ্যাটাকের শিকার হয় তাদের অনেকেরই এক মাস আগে কোথাই ঠান্ডা-সর্দি বা ফ্লু-তে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। এগুলো হলে সতর্ক হবেন।
৬. শ্বাসকষ্ট
আমাদের ফুসফুসে পরিমাণ মতো অক্সিজেন সরবরাহ ও রক্ত সরবরাহ না হলে এ ধরনের সমস্যা দেখা যায়। কারো হার্টের সমস্যা থাকলে ফুসফুসে রক্ত চলাচল কমে যায়।আবার শ্বাস ছোট হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হয়।
হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ হতে পারে বমিভাব, বদহজম, বুক হৃৎপিণ্ডে জ্বালাপোড়া করা ইত্যাদি। আমাদের পরিবার গ্রামে কারো এই লক্ষণগুলো দেখা গেলেও হৃদরোগের ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আশা করি সবাই সবকিছু বুঝতে পেরেছেন। কোথাও সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাবেন অথবা ফেসবুকে জানাতে পারেন ফেসবুকে আমি