আসসালামুআলাইকুম, ও হিন্দু ভাইদের আদাব। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন।প্রতিবারের মতো আবারো আপনাদের মাঝে আরেকটি আর্টিক্যাল নিয়ে হাজির হলাম।টাইটেল দেখে অনেকে হয়তো বুঝে গেছেন, আজকে কোন বিষয় আপনাদের মাঝে লিখতে যাচ্ছি। আজকের বিষয় হলো জিরার পানি খাওয়ার উপকারিতা ও গুন। সাধারণত জিরা রান্নার সময় ব্যাবহৃত হয়। কিন্তু আমরা এই জিরার উপকার সম্পর্কে জানি না। আজকে আপনারা জানতে পারবেন এই জিরা শুধু রান্নার কাজেই নয়,আরো অনেক অনেক উপকার রয়েছে এই জিরাতে।আমরা অনেকে ই এই জিরার উপকারগুলো জানি না।তবে আজকে আপনারা জেনে নিবেন এই জিরার কত গুন রয়েছে। জিরা ও পানিতে রয়েছে প্রচুর পরিমান ভিটামিন ও আয়রন।কার্বোহাইডেট,মিনারেল,এবং বিভিন্ন ধরনের ফ্যাটি এসিড রয়েছে এই জিরা ও পানিতে। যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যান্ত উপকারী। ম্যাজিক এর মতো উপাদান রয়েছে জিরা ও জিরার পানিতে। এছাড়া ও এমন কিছু উপাদান রয়েছে জিরা ও পানিতে যা আমাদের অনেক রোগ প্রতিরোধ করে। কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক,জিরা ও পানিতে যে গুনাগুন ও উপকারিতা রয়েছেঃ
১) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটেঃ
জিরায় আছে আয়রন, যা খেলে রক্তে লোহিত কনিকার সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়।এছাড়া ও জিরা খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক গুন শক্তিশালী হয়ে যায়।ছোট-বড় কোন রোগ কাছে ঘেষতে পারে না।
২) ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রনে আসেঃ
প্রতিদিন এক গ্লাস করে জিরার পানি খাওয়ার অভ্যাস করলে আপনার ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রন এ আসবে। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস করে পানি খেলে ইলোকট্রোলাইট ব্যালান্স যেমন ঠিক হয়ে যায়,তেমনি পটাশিয়াম এর ঘাটতি দূর করে। এবং ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রনে আসতে শুরু করে।
৩) ডায়াবেটিস এর মতো রোগ দূর হয়ঃ
একাধিক গবেষনায় দেখা গেছে,প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস করে জিরার পানি খেলে রক্তে সর্করার মাত্রা কমতে শুরু করে। এবং ডায়াবেটিস এর মতো রোগ দূরে পালায়।
৪) এনার্জির ঘাটতি দূর হয়ঃ
জিরার পানিতে আছে বিভিন্ন ধরনের উপাদান, যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যান্ত দরকার। এই উপাদান গুলো শরীর এর ভিতর প্রবেশ করে শরীরের এনার্জি বাড়িয়ে তোলে এবং ক্লান্তি দূর করে।
৫) শরীরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়ঃ
জিরার পানি নিয়মিত পান করলে, শরীরের বিভিন্ন ঘাটতি দূর হয়। এবং দেহের তাপ ও নিয়ন্ত্রনে থাকে। যার ফলে নিয়মিত জিরার পানি খেলে শরীরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৬) ওজন নিয়ন্ত্রনে থাকেঃ
জিরার পানিতে আছে অনেক ফাইবার। যা আমাদের শরীরের মেটাবলিজম রেট বাড়িয়ে দেয়।যার ফলে খাবার অনেক সুন্দরভাবে হজম হয়। এবং যার ফলে ওজন বাড়ার আশাঙ্কা একদম কমে যায়।বিশেষ করে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে পেট ভরা থাকে, তাই বার বার খেতে ইচ্ছে করে না। যার কারনে ওজন ও নিয়ন্ত্রিত থাকে।
৭) হজম ক্ষমতার উন্নতিঃ
আমরা অনেক কিছু অজান্তে খেয়ে ফেলি, অনেক খাবার আছে বদহজম, আমাদের অনেক খাবার হজম হতে সমস্যা হয়।তাহলে জিরার পানি খাওয়া শুরু করেন। দেখবেন আপনার খাবার সহজে হজম হবে।পেটের সমস্যা হবে না।
৮)রেসপিরেটরি সিস্টেমের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়ঃ
জিরায় রয়েছে অনেক উপাদান, যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যান্ত উপকারী। জিরার পানি শরীরে প্রবেশ করে, বুকের মিউকাসের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। এবং সাথে ফুসফুস এর কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।ফলে রেসপিরেটরি আক্রান্ত এর আশাঙ্কা কমে যায়।
৯) লিভারের উন্নতি ঘটেঃ
জিরার পানি খেলে লিভারের ভিতর থাকা টক্সিন বা ক্ষতিকর পদার্থগুলো বেড়িয়ে যায়।যার কারনে লিভারে কোনো সমস্যা থাকলে ঠিক হয়ে যায়। এবং লিভার এর স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
১০) ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেঃ
এই জিরার পানি খাবারের তালিকায় রাখলে ত্বকের ভিতর থাকা পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম,সেলেনিয়াম, এর মাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এবং যার ফলে ত্বকের ভিতর থাকা টক্সিন গুলো বেরিয়ে যায়।এবং ত্বক এর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
<<যে খাবে তৈরি করবেনঃ
একটি পাত্রে পরিমান মতো পানি ও জিরা নিয়ে কম পক্ষে ৭ মিনিট ফুটিয়ে নিতে হবে।এবং পানিটা ছেকে নিয়ে কিছু মধু মিশিয়ে খেয়ে ফেলতে হবে।
টেকনিক্যাল বিষয়ে যাবতীয় ভিডিও ও সমাধান পেতে আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুনঃ
আজ এ পযন্ত,
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জ্ঞান আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেস্টা করি।
সে পযন্ত ভাল থাকুন,সুস্থ থাকুন।
যে কোনো প্রয়োজনে আমার সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ করতে চাইলেঃ- Sk Shipon
ধন্যবাদ