আসসালামুআলাইকুম, ও হিন্দু ভাইদের আদাব। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন।প্রতিবারের মতো আবারো আপনাদের মাঝে আরেকটি আর্টিক্যাল নিয়ে হাজির হলাম।টাইটেল দেখে অনেকে হয়তো বুঝে গেছেন, আজকে কোন বিষয় আপনাদের মাঝে লিখতে যাচ্ছি। আজকের বিষয় হলো কিভাবে এই গরমে ঘামাচি থেকে রক্ষা পাবেন। এই গরমে আমাদের মধ্য অনেকের ঘামাচি দেখা যায়। এই ঘামাচির কারনে অনেক চুলকানি হয়। তবে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করে চললে এই ঘামাচির হাত থেকে মুক্তি থাকা যাবে। আজ এমন কিছু উপায় আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। গরমে অনেক ঘাম হয়৷ স্বাভাবিক ঘাম হওয়া অনেক ভাল। কারন ঘাম শরীর এর অপ্রয়োজনীয় দুষিত পদার্থ বের করে দেয়। অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার কারনে অনেকের এই ঘামাচি হয়ে থাকে। ঘামাচি অনেক চুলকায়, চুলকানির ফলে অনেক অসস্তি লাগে। কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক, কিভাবে এই ঘামাচির হাত থেকে রক্ষা পাবেন, এমন কিছু টিপসঃ
১) প্রচুর পরিমান ফল ও শাক সবজি খাবেন।
২) প্রচুর পরিমান পানি পান করুন। আমাদের শরীরের ৭০ ভাগ ই রয়েছে পানি। পানি আমাদের শরীরের জন্য অত্যান্ত উপকারী। সেই সাথে পানি পান করলে শরীর এর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্র দিয়ে ঘাম বেরিয়ে যায়,এবং ঘামাচি হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকে।
৩) ট্যালকম পাউডার ব্যাবহার না করাই অনেক ভাল। কারন এই ট্যালকম পাউডার ব্যাবহার করলে শরীরের লোমকুপ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এবং আরো বেশি ঘামাচি হতে পারে৷ তাই এই বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করে চলতে হবে।
৪) টাইট জামা পড়া থেকে বিরত থাকুন।ও বেশি গাঢ রঙের পোষাক পড়া থেকে বিরত থাকুন। এ ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করে চলতে হবে আমাদের। বিশেষ করে গরম কালে এই ধরনের সাবধানতা বেশি অবলম্বন করে চলতে হবে।তবে ঘামাচি থেকে মুক্তি থাকা যাবে।
৫) গোসল করার সময় পানিতে নিমপাতা,ও লেবুর রস ব্যাবহার করতে পারেন।এতে ত্বক ফ্রেশ থাকবে, জীবাণু থাকবে না । এবং ঘামাচি ও হবে না।
৬)গরমকালে সম্ভব হলে দিনে দুই বার গোসল করতে পারেন।এবং গোসল করার সময় ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যাবহার করবেন। একটা সতর্কতা হলো ঘামাচি থাকলে বেশি ঘষবেন না।
৭) গরমকালে ঘাম হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাই ঘাম হলে পরিষ্কার গামছা বা তোয়ালে দিয়ে মুছে ফেলবেন।সাবধান! বেশি ঘষাঘষি করবেন না।
৮) রোদের ভিতর কাজ করলে সাবধানতা অবলম্বন করে কাজ করতে হবে। একটু পর পর রোদ যেখানে নেই সেখানে গিয়ে,আবার এসে কাজ করতে হবে। দীর্ঘক্ষন রোদের ভিতর থাকা উচিৎ না।
৯) পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। জীবণুর কারনে ঘামাচি হয়ে থাকে। তাই ঘামাচি থেকে মুক্তি পেতে পরিষ্কার থাকতে হবে।
১০) ঘামাচি হলে বেশি চুলকাবেন না।যত সম্ভব কম চুলকানো চেস্টা করুন। এবং যদি বেশি সমস্যা হয় তবে, ডাক্তার এর সাথে পরামর্শ করতে পারেন।
টেকনিক্যাল বিষয়ে যাবতীয় ভিডিও ও সমাধান পেতে আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুনঃ
আজ এ পযন্ত,
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জ্ঞান আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেস্টা করি।
পরবর্তী আর্টিক্যাল এর জন্য অপেক্ষা করুন, আবারো ভাল কিছু নিয়ে হাজির হবো।
সে পযন্ত ভাল থাকুন,সুস্থ থাকুন।
যে কোনো প্রয়োজনে আমার সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ করতে চাইলেঃ- Sk Shipon
ধন্যবাদ