Site icon Trickbd.com

এক নজরে দেখে নিন,কচু শাকের উপকারীতা ও গুনাগুন।

Unnamed

আসসালামুআলাইকুম, ও হিন্দু ভাইদের আদাব। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন।প্রতিবারের মতো আবারো আপনাদের মাঝে আরেকটি আর্টিক্যাল নিয়ে হাজির হলাম।টাইটেল দেখে অনেকে হয়তো বুঝে গেছেন, আজকে কোন বিষয় আপনাদের মাঝে লিখতে যাচ্ছি। আজকের বিষয় হলো,কচু শাকের উপকারীতা ও গুনাগুন। গ্রাম অঞ্চলের প্রায় লোক-জনের কাছে এই কচু শাক খুব জনপ্রিয়। সাধারণত গাম অঞ্চলে উঠান,পতিত জমি ও, আইলে কচু জন্মে থাকে। অবহেলায় কচু বেড়ে ওঠে, আমরা অনেকে জানি না এই কচুতে ইনেক ভিটামিন ও পুস্টিগুন রয়েছে।কচু পাতা ভর্তা,তরকারী সহ বিভিন্ন ভাবে কচু খাওয়া হয়।কচুর মুখী,পানিকচু,ওলকচু ইত্যাদি এগুলা সাধারণত খাওয়া হয়।কচুতে প্রচুর পরিমান পুস্টি রয়েছে।এছাড়াও কচুতে ফ্যাট, কার্বোহাইডেট,প্রোটিন ও বিভিন্ন খনিজ উপাদান ও ভিটামিন রয়েছে। দুই ধরনের কচু আমরা খেয়ে থাকি,এগুলো হলো সবুজ কচু ও কালো কচু।
প্রতি ১০০ গ্রাম কচু শাকে বিদ্যামান পুস্টি উপাদান নিচে দেয়া হলোঃ

খাদ্যশক্তি—- ৫৬ কিলোক্যালরি।
ক্যালসিয়াম—-২২৭ মিলিগ্রাম।
চর্বি—-১.৫ গ্রাম।
ভিটামিন -সি—– ১২ মিলিগ্রাম।
ভিটামিন বি-২——০.২৬ মিলিগ্রাম।
ভিটামিন বি-১—–০.২২ মিলিগ্রাম।
লৌহ——১০ মিলিগ্রাম।
প্রোটিন —–৩.৯ গ্রাম।
শর্করা——৬.৮ গ্রাম।

কচু শাক এর উপকারিতা গুলো জেনে নিনঃ

***কচুর লতিতে চিনির পরিমান কম থাকায় ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীরা খেতে পারেন।

***যাদের এসিডিটি বা গ্যাস্টিক রয়েছে তাদের জন্য কচু অনেক উপকারী। তারা কচু খেতে পারেন।

***কচুতে সাধারণত আয়োডিন এর পরিমান অনেক বেশি থাকে।

***চুলের ভঙ্গুরতা বন্ধতে কচুর ভুমিকা অনেক বেশি।

*** কচুতে আয়রন ও ক্যালসিয়াম এর পরিমান থাকে অনেক বেশি। তাই কচু খেতে পারেন।

*** আশ জাতীয় হওয়াতে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কচু অনেক ভুমিকা রাখে।

***কচুতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন-এ, যা রাতকানা রোগে ভুমিকা পালন করে।

এবার জেনে নেয়া যাক, কচুর গুনাগুন গুলোঃ

১) জ্বর কমাতেঃ

কারো জ্বর হলে দুধ ও কচু রান্না করে খেলে ভালো প্রতিকার পাওয়া যায়। তাই যাদের জ্বর হয় তারা এটা খেয়ে দেখতে পারেন,উপকারে আসবে।

২) গর্ভবতী নারীঃ

কচুশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমান ভিটামিন ও পুস্টিগুন। যা গর্ভবতী দের জন্য অনেক উপকারী। কচুশাক সহজে দারিদ্র্য গর্ভবতী মেয়েদের ভিটামিন ও খনিজ পুস্টিউপাদান পুরন করে থাকে।

৩) উচ্চ রক্তচাপ কমায়ঃ

কচুশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমান স্যাপোনিনস,কার্বোহাইডেট, যা উচ্চ রক্তচাপ কমায়।নিয়মিত এই কচু খেলে হৃদরোগ এর ঝুকি কমায়।

৪) দাত ও হাড়ের গঠনঃ

কচুতে রয়েছে প্রচুর পরিমান ম্যাগনেসিয়াম,ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস। যা আমাদের দাত ও হাড়ে গঠনে প্রচুর ভুমিকা পালন করে। তাই কচুশাক খাওয়া উচিৎ আমাদের।

৫) ক্যান্সার প্রতিরোধঃ

কচুরশাকে অনেক খনিজ উপাদান রয়েছে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে প্রচুর ভুমিকা পালন করে।

৬) মুখ ও ত্বকের রোগঃ

ভিটামিন-এ এর পাশাপাশি কচুর শাকে রয়েছে ভিটামিন-বি যা ত্বক ও মুখের জন্য অনেক বেশি কার্যকারী।

৭) কোষ্ঠকাঠিন্যঃ

কচুরশাকে রয়েছে আশ, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে প্রচুর ভুমিকা পালন করে।যাদের এই কোষ্ঠকাঠিন্য তারা কচুর শাক খেতে পারেন।

৮) রাতকানা রোগঃ

কচুতে রয়েছে ভিটামিন-এ, যা রাতকানা রোগ প্রতিরোধে প্রচুর ভুমিকা পালন করে।এবং কচুর শাক খেলে দৃস্টিশক্তি বাড়াতে প্রচুর সাহায্য করে।

৯) হিমোগ্লোবিনঃ

কচুর শাকে রয়েছে আয়রন, যা হিমোগ্লোবিন এর মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই আমাদের কচুরশাক খেতে হবে।

টেকনিক্যাল বিষয়ে যাবতীয় ভিডিও ও সমাধান পেতে আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুনঃ

Youtube Channel

আজ এ পযন্ত,
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জ্ঞান আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেস্টা করি।
পরবর্তী আর্টিক্যাল এর জন্য অপেক্ষা করুন, আবারো ভাল কিছু নিয়ে হাজির হবো।
সে পযন্ত ভাল থাকুন,সুস্থ থাকুন।

যে কোনো প্রয়োজনে আমার সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ করতে চাইলেঃ- Sk Shipon

ধন্যবাদ