আসসালামুআলাইকুম।আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন।প্রতিবারের মতো আবারো আপনাদের মাঝে আরেকটি আর্টিক্যাল নিয়ে হাজির হলাম।টাইটেল দেখে অনেকে হয়তো বুঝে গেছেন, আজকে কোন বিষয় আপনাদের মাঝে লিখতে যাচ্ছি। আজকের বিষয় হলো,সেহরির সময় কিছু দিক লক্ষ্য রাখুন ও মেনে চলুন নিজেকে সুস্থ রাখুন। চলছে পবিত্র নাযাতের মাস,পবিত্র রমযান মাস। এই পবিত্র রমযান মাসে সেহরির সময় আমাদের কিছু দিক লক্ষ্য রাখতে হবে।সুস্থ ও সুন্দর স্বাস্থ্যর জন্য সেহরির সময় কিছু দিক লক্ষ্য ও মেনে চলতে হবে। আজকে যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব,সে বিষয় গুলো যদি আপনি মেনে চলতে পারেন, তবে শরীর অনেক ভাল থাকবে। সারাদিন না খেয়ে আমাদের রোযা রাখতে হয়। সে জন্য সেহরির সময় আমাদের কিছু নিয়ম মেনে সেহরি খেলে সারাদিন অনেক ভাল যাবে। কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক,সেহরির সময় কোন দিক গুলো মেনে চললে নিজেকে সুস্থ রাখা যাবেঃ
১) সেহরির সময় দই খাবেনঃ
সেহরির পর যদি আপনি দই খেতে পারেন তাহলে আপনার জন্য খুবই উপকারী।কারন দই পানিশূন্যতা দূর করে।এই দই এ আছে এসিডিটি। তাই যাদের পানির পিপাসা লাগে, তারা সেহরি খাওয়ার পর এই দই খেতে পারেন।
২) নিয়মিত ঘুমঃ
শরীরকে সুস্থ ও সুন্দর রাখতে ঘুমের বিকল্প নাই। ঘুম যদি আপনার পর্যাপ্ত না হয়,তবে শরীর এর অনেক ক্ষতি হয়। বেশি রাত না জেগে, তারাবি পড়ে ঘুমানো উচিৎ। রমযান মাসে ঘুম কিন্তু খুব কম সময় হয়। তাই আমাদের চেস্টা করতে হবে, যাতে একটু বেশি ঘুমানো যায়।
৩) খাবার তালিকায় থাকবে খেজুরঃ
রমযান মাসে কিন্তু এই খেজুর এর চাহিদা অনেক বেড়ে গিয়ে থাকে। সেহরি খাওয়ার পর আমাদের খেজুর খাওয়া উচিৎ। কারন এই খেজুরে রয়েছে, কপার,সেলেনিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম। খেজুর খেলে শরীরকে চাঙ্গা করে, তাই না হলে ও সেহরিতে ২-৬ টা খেজুর খাওয়া উচিৎ।
৪)স্বাস্থ্যকর ও হালকা খাবারঃ
সেহরির খাবার অবশ্যই স্বাস্থ্যকর ও হালকা হওয়া জরুরি। অনেকে ভেবে থাকেন,যে বেশি খেলে সারাদিন ক্ষুধা লাগবে না,এটা কিন্তু ভুল।ক্ষুধা যেন না লাগে এজন্য ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়া উচিৎ। এবং স্বাস্থ্যকর ও হালকা খাবার খাওয়া উচিৎ সেহরিতে।
৫) ২-৩ লিটার পানি পানঃ
শরীরকে সুস্থ ও সুন্দর রাখতে পানির বিকল্প নেই। তাই সেহরির সময় পর্যাপ্ত পরিমান পানি পান করতে হবে। অন্তত না হলে ও ২-৩ লিটার পানি পান করা উচিৎ।
৬) স্যালাইন খেতে হবেঃ
সেহরির পর স্যালাইন এর পানি খেতে পারেন।যেহেতু সারাদিন পানাহার থেকে মুক্ত থাকতে হবে,তাই স্যালাইন পানিশূন্যতা দূর করে।স্যালাইন খেতে পারেন,সেহরির পর।
৭) তেলে ভাজা খাবারঃ
সেহরির সময় কোনো ভাবেই,তেলে ভাজা খাবার খাওয়া যাবে না। তেলে ভাজা খাবার খেলে গ্যাস্টিক এর মতো রোগ সৃস্টি হতে পারে। তাই সেহরির সময় তেলে ভাজা খাবার পরিহার করা উচিৎ।
৮) শশা খাবেনঃ
সেহরির সময় শশা খেতে পারেন।কারন শশা খেলে পানির পিপাসা খুব একটা লাগে না।তাই সেহরির খাবার তালিকায় শশা রাখতে পারেন।
টেকনিক্যাল বিষয়ে যাবতীয় ভিডিও ও সমাধান পেতে আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুনঃ
আজ এ পযন্ত,
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জ্ঞান আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেস্টা করি।
পরবর্তী আর্টিক্যাল এর জন্য অপেক্ষা করুন, আবারো ভাল কিছু নিয়ে হাজির হবো।
সে পযন্ত ভাল থাকুন,সুস্থ থাকুন।
যে কোনো প্রয়োজনে আমার সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ করতে চাইলেঃ- Sk Shipon
ধন্যবাদ