আসসালামুআলাইকুম।আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন।প্রতিবারের মতো আবারো আপনাদের মাঝে আরেকটি আর্টিক্যাল নিয়ে হাজির হলাম।টাইটেল দেখে অনেকে হয়তো বুঝে গেছেন, আজকে কোন বিষয় আপনাদের মাঝে লিখতে যাচ্ছি। আজকের বিষয় হলো,তরমুজ এর উপকারিতা ও পুস্টিগুনগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত। তরমুজ এই ফল টি খেতে অনেক সুস্বাদু। সারাদিন রোযা রাখার পর ইফতার এর সময় এই ফলটি খেলে অনেক ভাল লাগবে। প্রানটা জেন জুরে যায়,ইফতার এর পর এই ফলটি খেলে।এই তরমুজ হলো একটি মৌসুমি ফল।গরমকালে এর চাহিদা থাকে অনেক অনেক। এই তরমুজে রয়েছে ৯২ শতকরা জল ও ২ শতকরা অন্যান্য উপাদান ও ৬ শতকরা চিনি। তরমুজে ভিটামিন জাতীয় অনেক উপাদান রয়েছে।ক্লান্তি দুর করতে প্রচুর ভুমিকা পালন করে এই ফল। সারাদিন রোযা রেখে এই রমযান মাসে আমাদের ইফতার এর তালিকায় এই ফল রাখা উচিৎ। এই ফলে ক্যালরির মাত্রা কম আছে,এবং বেশি খেলে ওজন বৃদ্ধির কোনো ভয় থাকে না। ৯২ শতকরা পানি রয়েছে এই তরমুজে, যা আমাদের শরীরের পানি ঘাটতি পুরন করে।এছাড়া ও তরমুজে রয়েছে পটাশিয়াম, আশ ভিটামিন-সি, ভিটামিন-এ। আমাদের শরীরের জন্য ব্যাপার উপকারী এই ফল।
এবার জেনে নেয়া যাক,তরমুজ এর পুস্টিগুন এর তালিকাঃ
১০০ গ্রাম তরমুজ এর পুস্টিগুনগুলো জেনে নিনঃ
পানি<৯৬ গ্রাম।
ভিটামিন-সি<৬ মিলিগ্রাম।
ভিটামিন-এ<৫৬৮ মিলিগ্রাম।
আমিষ<৩.২ মিলিগ্রাম।
ফসফরাস<১২ মিলিগ্রাম।
ক্যালসিয়াম<১০ মিলিগ্রাম।
আশ<০.২ গ্রাম।
আয়রন<৭.৯ গ্রাম।
শর্করা<৩.৫ গ্রাম।
খাদ্যশক্তি<১৬ কিলোক্যালরি।
এবার জেনে নেয়া যাক,তরমুজ খাওয়ার উপকারিতাগুলোঃ
১) হৃদপিন্ডকে সুস্থ রাখেঃ
তরমুজ খেলে আপনার হৃদপিন্ড সুস্থ থাকবে।তরমুজ খেলে হৃদপন্ড এর রক্ত চলাচল ঠিক থাকে।এছাড়া ও উচ্চরক্তচাপ কমায়।আমাদের তরমুজ খেতে হবে।
২) যৌনশক্তি বৃদ্ধিঃ
তরমুজ যৌনশক্তি বৃদ্ধিতে প্রচুর ভুমিকা পালন করে।তরমুজ পুরুষের শ্রুকানু ও মহিলাদের ডিম্বাণুকে অনেক গুন শক্তিশালী করে। তাই যাদের যৌন সমস্যা রয়েছে,তারা তরমুজ খাবেন বেশি হারে।
৩) দৃষ্টি শক্তি বাড়ায়ঃ
তরমুজ এ রয়েছে চোখের জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। বিটা ক্যারোটিন এই উপাদান তরমুজে রয়েছে,যা আমাদের চোখের দৃষ্টিশক্তি বহুগুন বাড়ায়। তরমুজে রয়েছে ভিটামিন-এ, যা আমাদের দৃস্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। রাতকানা রোগের ও ঝুকি কমায় এই তরমুজ।
৪) হাড় মজবুত করেঃ
হাড়কে মজবুত করতে ক্যালসিয়াম গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। এই ক্যালসিয়াম তরমুজে রয়েছে। ক্যালসিয়াম এর অভাবে হাড় দূর্বাল হয়ে পড়ে, তরমুজ খেলে হাড় মজবুত হয়। তাই তরমুজ খেতে হবে আমাদের।
৫) কিডনির কার্যক্ষমতা সচল রাখেঃ
কিডনির কার্যক্ষমতা সচল রাখতে নিয়মিত তরমুজ খাবেন। অনেকের কিডনিতে পাথর হয়ে থাকে,তরমুজ খেলে কিডনিতে পাথর হয় না।যাদের কিডনির সমস্যা আছে,তারা ও তরমুজ খাবেন বেশি করে।
৬) ত্বকের যত্নেঃ
তরমুজ খেলে ত্বক ভাল থাকে। সবাই তার ত্বক কে সুস্থ রাখতে চায়,এজন্য তরমুজ খেতে হবে।তরমুজে ভিটামিন-এ ও ভিটামিন-সি রয়েছে,যা ত্বকের জন্য অত্যান্ত উপকারী। ত্বকের জাবতীয় সমস্যা দূর করতে প্রচুর ভুমিকা পালন করে তরমুজ।
৭)স্টোক থেকে বাচাঁতেঃ
তরমুজ স্টোক থেকে বাচাঁতে প্রচুর ভুমিকা পালন করে। কারন তরমুজে রয়েছে ৯২% পানি।তাই আমাদের বেশি বেশি তরমুজ খেতে হবে।
৮) ক্যান্সার প্রতিরোধঃ
তুরমুজ আমাদের ক্যান্সার এর হাত থেকে রক্ষা করে। কারন, তরমুজে রয়েছে ক্যারোটিনয়েড, এই ক্যারোটিনয়েড আমাদের ক্যান্সার এর হাত থেকে রক্ষা করে। তাই আমাদের তরমুজ খাওয়া উচিৎ।
ক্লান্তি দূর করতে তরমুজ ব্যাপক ভুমিকা পালন করে,তাই ইফতার এর তালিকায় আমাদের তরমুজ রাখা উচিৎ।
টেকনিক্যাল বিষয়ে যাবতীয় ভিডিও ও সমাধান পেতে আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুনঃ
আজ এ পযন্ত,
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জ্ঞান আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেস্টা করি।
পরবর্তী আর্টিক্যাল এর জন্য অপেক্ষা করুন, আবারো ভাল কিছু নিয়ে হাজির হবো।
সে পযন্ত ভাল থাকুন,সুস্থ থাকুন।
যে কোনো প্রয়োজনে আমার সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ করতে চাইলেঃ- Sk Shipon
ধন্যবাদ