আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।
যা ভাববেন তাই পাবেন
বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলটিতে আপনারা এমন টেকনিকের ব্যাপারে জানতে চলেছেন। যা আপনাদের জীবন সম্পূর্ণ পাল্টে ফেলতে পারে। এই টেকনিক ব্যবহার করে আপনারা জীবনের ধন,সম্মান, স্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধি ও সুখ খুব সহজেই অর্জন করতে পারেন। আর এই সমস্ত কিছুর জন্য আপনাকে প্রতিদিন শুধুমাত্র রাতে ঘুমনোর আগে 5 মিনিট সময় দিতে হবে। এটা হল সেই সময় যখন আপনি অনেক ক্লান্ত থাকেন মোবাইল ল্যাপটপ সাইডে রেখে যখন আপনি বিছানায় শুয়ে পড়েন।
এই সময় শুধু মাত্র 5 মিনিট আপনার সম্পূর্ণ জীবন পাল্টে দেওয়ার একটি ক্ষমতা রাখে। কারণ এটা সেই ম্যাজিক টাইম যেই সময় আপনি আপনার মাথার সমস্ত নেগেটিভ প্রোগ্রামিংকে পাল্টে নিজের জীবন একটি নতুন পজেটিভ পাওয়ারের সঞ্চার করে জীবনের দিশা এবং দশা দুটোই পাল্টাতে পারেন। সেটা কি টেকনিক এবং কিভাবে পাল্টাবেন তার জন্য আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত অবশ্যই মনযোগ সহকারে পড়ুন।
বন্ধুরা এই টেকনিক বোঝার আগেই এটা বুঝে নেওয়া খুব দরকার এই টেকনিক টিকে রাতে ঘুমানোর আগে করাটা কেন জরুরী আর এই সময়টিকে ম্যাজিক টাইম কেন বলা হয়েছে। বন্ধুরা প্রতিটি মানুষের কাছে এই ইউনিভার্সের যদি সব থেকে বড় শক্তি থেকে থাকে তাহলে সেটা হল তার ব্রেইন তার মাথা আর মাইন্ডের টোটাল পাওয়ার কে দুটি ভাগে ভাগ করা হয় প্রথম হল কনসাস মাইন্ড অর্থাৎ চেতন মন এবং দ্বিতীয় হলেও সাবকনসাস মাইন্ড অর্থাৎ অবচেতন মন।
চেতন মন যেখানে রয়েছে ক্রিয়েটিভিটি লজিক ইচ্ছা প্ল্যানিং অথবা এই সমস্ত কাজ আপনি জাগ্রত অবস্থায় করেন যেমন এখন আপনি এই ভিডিওটি দেখেছেন এই সমস্ত কিছু কনসাস মাইন্ড কন্ট্রোল করে। কিন্তু সেটা আপনার ব্রেনের পাওয়ারের কেবল ফাইভ পারসেন্ট এবং তার প্রসেসিং speed ফোরটিবিট পার সেকেন্ড আর অপরদিকে আপনার হ্যাবিটস চিন্তা-বিশ্বাস মেমোরিজ এবং ফিলিংস ও এরকম অনেক কিছু যা অটোপাইলটে মোডে কাজ করে।
যেমন চোখে পাতা নাড়ানো হার্টবিটস শ্বাস নেওয়া এই সমস্ত কিছু আমাদের সাবকনসাস মাইন্ড কন্ট্রোল করে এটা আমাদের ব্রেন পাওয়ার এর 95 শতাংশ এবং তার প্রসেসিং speed ফোরটি মিলিয়ন বিট পার সেকেন্ড অর্থাৎ কনসাস মাইন্ড থেকে লক্ষ লক্ষ গুণ বেশি শক্তি রয়েছে সাবকনসাস মাইন্ডের।
সহজ ভাষায় বুঝতে হলে সাবকনসাস মাইন্ড একটি মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা ঘরের মত যেখানে একসাথে একই সময়ে 10000 সিনেমা চলছে তাও আবার ননস্টপ উইদাউট এনি ব্রেক আর কনসাস মাইন্ড শুধুমাত্র এক সময়ে একটি কাজেই ফোকাশ করতে পারে সাবকনসাস মাইন্ড এতটাই শক্তিশালী যে তা মানুষের শরীরের ফিফটি ট্রিলিয়ন সেলস কে উইথআউট এনি ব্রেক 24 আওয়ার্স কন্ট্রোল করে।
আর এটার কিছু শক্তি তো এমন রয়েছে অদ্ভুত ও অসীম বিশ্বের অনেক গবেষণাগারে প্লাসিবো এফেক্টস’-এর প্রচুর এক্সপেরিমেন্টে এই কথাটি প্রমাণিত হয়েছে যেখানে লোকেদের ওষুধের নামে শুধু সুগার ক্যাপসুল দেওয়া হয়েছিল এবং ডাক্তার দিয়ে তাদের বিশ্বাস করানো হয়েছিল যে ওষুধ যে সুগার ক্যাপসুলটি তাদের দেওয়া হলো সেটা তাদের অনেক তাড়াতাড়ি ঠিক করে দেবে।
আর সেই সমস্ত লোক কোন ওষুধ ছাড়াই অজান্তে শুধু সুগার ক্যাপসুল কে ওষুধ মনে করে খেয়ে ঠিক হয়ে গেছিল। কারণেই সাবকনসাস মাইন্ড কে ডাক্তার দিয়ে বিশ্বাস করানো হয়েছিল এ ক্যাপসুল তাদের সুস্থ কোরবে অর্থাৎ সাবকনসাস মাইন্ড যদি বিশ্বাস হয়ে থাকে শরীরের সমস্ত সেলস এর কাছে একটি সিগন্যাল পাঠায় যার ফলে সেলস self-healing প্রসেস শুরু করে দেয় এবং ব্যক্তি ঠিক হয়ে যায়।
আর প্রতিটি মানুষের কাছে সৃষ্টির এই অদ্ভুত শক্তি রয়েছে কিন্তু সাবকনসাস মাইন্ড কোনটা সঠিক কোনটা মিথ্যে কি রিয়েল কি ফেক এর মধ্যে পার্থক্য কিছুই বুঝতে পারে না এটা শুধুমাত্র প্রতিটি জিনিসকে স্টোর অথবা রেজিস্টার করে যায় তার প্রোগ্রামিং কিন্তু তা হল অদ্ভুত শক্তিশালী কনসাস মাইন্ড থেকে লক্ষ লক্ষ গুণ পাওয়ারফুল এখন যদি কনসাস মাইন্ড কোন স্বপ্ন দেখে থাকে অথবা কোন প্ল্যানিং করে থাকে তো সেই প্ল্যানিং সাকসেস এর জন্য সাবকনসাস মাইন্ড পাশে থাকাটা খুব জরুরি।
কিন্তু সমস্যা হল সাবকনসাস মাইন্ডেন স্টোর ডেটা বেশিরভাগ নেগেটিভ কারণ ছোট থেকেই পরিবার সমাজ বন্ধু নেগেটিভদের নেগেটিভ চিন্তাধারা বিচার এই সাবকনসাস মাইন্ড ভরে দেওয়া হয় যেমন তুমি কিছুই করতে পারবে না, তোমার দ্বারা কিচ্ছু হবে না, তোমার ক্ষমতা নেই এত বড় স্বপ্ন দেখার ইত্যাদি ইত্যাদি। আর সাবকনসাস মাইন্ডে স্টোরে এই কথাগুলি জন্যই বেশিরভাগ সময় এটা কনসাস মাইন্ড এর সাথে থাকে না।
কারণ কনসাস মাইন্ড আমরা যা ভাবছি সেটা সাবকনসাস মাইন্ড এর মতে অসম্ভব আমাদের সামর্থের বাইরে এই প্ল্যানিং আর যদি আমাদের সাবকনসাস মাইন্ড কনসাস মাইন্ডের সাথে না থাকে তো আপনার সফলতার চান্স এর 5% রয়ে যায় আসুন এটাকে এক্সাম্পল দিয়ে ভালো করে বুঝে নি ধরে নিন আপনার প্লানিং ছিল একটি গাড়ি ড্রাইভিং সিটে কনসাস মাইন্ড বসে রয়েছে।
তো এটার ড্রাইভার গাড়িটিকে কেবল ফাইব স্পিডে চালাতে পারবে কারন গাড়ির আসল যে পিছনের সিটে বসে রয়েছে তার ইচ্ছে ছাড়া এই গাড়ি বেশি স্পিডের চলতেই পারবে না আর এই গাড়ির মালিক হলো সেই যে এই শরীরের ফিফটি ট্রিলিয়নস সেলসকে কন্ট্রোল করে সাবকনসাস মাইন্ড যার ইচ্ছে ছাড়া কোন কনসাস মাইন্ড গাড়িকে তার ইচ্ছার দিসার তো নিয়ে যেতে পারবে তবে কেবল ফাইভের স্পিডে আর এত স্লো স্পিডে গাড়ি কতটাই বা দূরে যাবে তার কল্পনা আপনারাই করতে পারবেন।
আপনারা যদি আপনাদের স্বপ্ন আপনাদের প্ল্যানিং স্কেচ পিক দিতে চান সফল করতে চান তো সাবকনসাস মাইন্ড এর 95 শতাংশ পাওয়ার এর সাথে থাকাটা খুব জরুরি কারণ অজান্তেই আমরা জীবনের 95 থেকে 99 পার্সেন্ট আমাদের সাবকনসাস মাইন্ডের ফিট প্রোগ্রামিংয়ের হিসেবে চলে কারণ এর শক্তি কনসাস মাইন্ড থেকে লক্ষ গুণ বেশি আর তাই সাবকনসাস মাইন্ড থাকা সত্ত্বেও আপনার সিদ্ধান্তের অনেক বড় প্রভাব পড়ে।
তাই স্বপ্ন দেখা এবং প্ল্যানিং করা ছাড়া সফলতা অর্জনের সাবকনসাস মাইন্ড এর প্রোগ্রামিং কেউ পাল্টানো টা অনেক জরুরি কিন্তু কিভাবে বন্ধুরা রাতে ঘুমানোর ঠিক আগে আমাদের কনসাস মাইন্ড ও সাবকনসাস মাইন্ডের কানেকশন শেষ হয়ে যায় আর এটাই সেই অটো হিপনোসিসের অবস্থা যেখানে কোনো কথা সরাসরি সাবকনসাস মাইন্ড এর কাছে পাঠানো সম্ভব।
অর্ধেক জেগে থাকা অর্ধেক ঘুমিয়ে থাকা এটা সেই অবস্থা যখন ঘুমানোর আগের কিছু মিনিট যা কিছুই আপনি সাবকনসাস মাইন্ড পাঠান না কেন তা এটার ভিতরে লক হয়ে যায় আর সাবকনসাস মাইন্ড সেই কথা সেই বিচার চিন্তা নিয়ে সারা রাত কাটিয়ে দেয় আর প্রতিদিন এটা করাই সাবকনসাস মাইন্ড এর ভিতরে থাকা পুরনো নেগেটিভ ছবি নতুন পজিটিভ ছবিতে পরিবর্তন হতে থাকে আর সাবকনসাস মাইন্ড কনসাস মাইন্ড প্ল্যানিংয়ে পাশে থাকতে শুরু করে এবং 50 মাইন্ড পাওয়ার 5% থেকে হান্ডেট পার্সেন্ট হয়ে যায়।
এটার প্রতিদিনের অভ্যাসে আপনার জীবন আপনার আশেপাশের পরিস্থিতি ও সম্ভাবনা সমস্ত কিছু পাল্টাতে থাকে বন্ধুরা আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ লোক এদের অভ্যাস রয়েছে ঘুমোনোর আগে সারাদিন কি কি হলো সেই কথা ভাবতে শুরু করে দেই আমরা কি কি পেলাম কি কি হারালাম কেউ কিছু খারাপ বললেও বা কিছু খারাপ হলো এরকম নেগেটিভ কথা চিন্তা করে আমরা ঘুমিয়ে পড়ি আর এই সমস্ত কিছু আমাদের অজান্তেই সাবকনসাস মাইন্ড এর লক হয়ে যায়।
আর সকালে ঘুম থেকে উঠলে সাবকনসাস মাইন্ড নেগেটিভ চিন্তা পাওয়াকে আমাদের কনসাস মাইন্ড ট্রানস্ফার করে বলবেন না এটা আপনার ম্যাজিক টাইম যখন সাবকনসাস মাইন্ড প্রোগ্রামিং পাল্টে আপনি আপনার সম্পূর্ণ জীবন পাল্টাতে পারেন এই টেকনিক এর সফলতা সম্পূর্ণরূপে এই কথাটির উপর নির্ভর করে যে আপনি এটার কতটা চর্চা করবেন কারণ ছোটবেলা থেকে চলে আসার নেগেটিভ চিন্তা ধারাকে নেগেটিভ ছবিগুলোকে পাল্টাতে হলে কিছুটা সময় তো লাগবেই।
কিন্তু এটা অনেক শক্তিশালী টেকনিক নিজের মতই নিজের আপডেটেড ভার্সন কে খুঁজে বার করার নিজের ভিতরে লুকিয়ে থাকা শক্তিকে চেনার অভ্যন্তরীণ আত্মবিশ্বাস ও সাহস পাওয়ার ও নিজের প্লানিং এর সফলতা সম্ভাবনাকে কয়েকগুণ বাড়ানোরর এই ম্যাজিক টাইমে সাবকনসাস মাইন্ড প্রোগ্রামিংকে পাল্টানোর জন্য আপনি দুটো পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন।
প্রথমে আপনি আপনার জীবনের চাই পেতে চান না কেন সেই সমস্ত পজেটিভ কথাকে ইচ্ছাকে রেকর্ড করে নিন এবং প্রতিদিন সেই কথাগুলো কে ঘুমোনোর আগে শুনুন আপনি যদি চান তো কোনো ভালো এফার মেশনের অডিও শুনে আপনি আপনার সাবকনসাস মাইন্ড এ পজিটিভ চিন্তা ধারাকে স্টোর করতে পারেন।
আর দ্বিতীয় পদ্ধতি হলো আপনি সম্পূর্ণ বিশ্বাসের সাথে নিজের সম্পর্কে ঘুমানোর আগে সেরকমই ভাবুন যে রকম আপনি হতে চান আর সেটা ফিল করে আপনার ব্রেনে তার একটি পিকচার বানিয়ে নিজের সফলতাকে ফিল করতে থাকুন যেমন আপনি এই কাজটিতে সফলতা পেয়েছেন সেটা কি ফিল করতে থাকুন সমস্ত পজিটিভ ইচ্ছাকে ফিল করতে থাকুন যেন সেটা আপনি পেয়ে গেছেন আর আপনি সেটাকে এনজয় করছেন।
আপনি যদি প্রতিদিন এই টেকনিক চর্চা করবেন ধীরে ধীরে সাবকনসাস মাইন্ড আপনার কথায় বিশ্বাস করতে শুরু করবে এবং এখান থেকেই শুরু হবে আপনার মত একটা বিরাট পরিবর্তন কারণ এখন আপনার কনসাস মাইন্ড প্লানিং এর সাথে রয়েছে সাবকনসাস মাইন্ড অদ্ভুত অসীম শক্তি এই টেকনিক চর্চা করা আজ থেকে শুরু করে নিন
আশা করি সবাই সবকিছু বুঝতে পেরেছেন। কোথাও সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাবেন অথবা ফেসবুকে জানাতে পারেন ফেসবুকে আমি