আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।
চারটি সহজ উপায়ে অলসতা দূর করুন
দূর সারাদিন শুধু ঘুম ঘুম পায় কোন কাজে এনার্জি পাচ্ছি না কি যে করি।যদি আপনি ওই একই সমস্যায় ভুগছেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। কেননা আজ এই আর্টিকেলটিতে আমি আপনাকে বলব ঠিক কি কি ভুলের কারণে আপনি সারাদিন টায়ার্ড এবং লেজি বা অলসতা অনুভব করেন এবং কিভাবে আপনি চাইলে খুব সহজেই পুরোটা দিন এনার্জিতে ভরপুর থেকে কাটাতে পারেন।
সমস্যা নাম্বার ১. রাতে পেট ভর্তি করে উল্টোপাল্টা খাবার খাওয়া। বিজ্ঞান এবং আয়ুর্বেদ দু’দিক থেকেই বলা হয়েছে যে সূর্যাস্তের পর আমরা যদি কোন খাবার খায় তবে তা সঠিকভাবে হজম হয় না এবং শরীরে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি করে। এ পিছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে
১. সূর্যের আলোর অনুপস্থিতিতে বিভিন্ন জীবাণু এবং ব্যাকটেরিয়া মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে এবং আমাদের খাবারের মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে শরীরের বিভিন্ন ভাবে ক্ষতি করে।
২. সূর্যের আলোর অনুপস্থিতিতে আমাদের শরীরের মেটাবলিজম রেট স্লো হয়ে যায় ফলে খাবার ঠিকমতো হজম হতে পারে না এবং সেই খাবারগুলো শরীরের চর্বি হিসেবে বিভিন্ন অংশে সঞ্চিত হয়ে থেকে গিয়ে হূদরোগ, বাত, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি রোগের সৃষ্টি করে।
৩.ঘুমানোর সময় যদি হজম প্রণালী চলতে থাকে তাহলে সেটা গভীর ঘুমে বিঘ্ন ঘটায়। ফলে আপনি যদি দিনের পর দিন রাতের উল্টোপাল্টা ভারী খাবার খেয়ে ঘুমাতে যান তাহলে সেটা আপনার ঘুমের বারোটা বাজানোর সাথে সাথে আপনার শরীরে বিভিন্ন রোগের বাসা বাঁধে শরীর থেকে একেবারে দুর্বল করে দেয়। যেখানে আপনি সারাদিন অলসতা অনুভব করতে থাকেন।
সমস্যা নাম্বার ২. বিছানায় স্মার্টফোন নিয়ে রাতে শুতে যাওয়া। একেতো পেট ভর্তি করে খাবার খেয়ে শুতে যাওয়ায় হজম প্রক্রিয়া চলছে যেটা ঘুম আশায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছে সাথে আবার স্মার্ট ফোন হাতে নিয়ে দেখতে বসে গেলেন। ফলে স্মার্টফোনের ব্লু লাইট মেলাটোনিন হরমোন ক্ষরণ কমিয়ে দিয়ে ঘুম আসতে পারাটাকে আরো মুশকিল বানিয়ে তোলে সাথে স্মার্টফোন থেকে একের পর এক ইনফর্মেশন ব্রেনের ঢুকতে থাকায় গভীর ঘুম ঘুমানোর জন্য ব্রেইনের রিলেক্স হওয়া দরকার সেটাও হতে পারেনা। সব মিলিয়ে ঘুমের পুরোপুরি বারোটা বেজে যায় আর ঘুম যদি ঠিকঠাক না হয় আপনি যা খুশি করে নিন। কখনো অলসতা ভাব কাটিয়ে উঠতে পারবেন না।
সমস্যা নাম্বার ৩. অ্যালার্মের শব্দের সকালে ঘুম থেকে ওঠা। প্রথমে হালকা ঘুম তারপর কিছুক্ষণ আবার গভীর ঘুম আবার হালকা ঘুম আবার কিছুক্ষণ গভীর ঘুম এভাবে সারারাত ধরে আমাদের স্লিপ সাইকেল চলতে থাকে আর যখনই স্লিপ সাইকেলে হালকা ঘুমের পেজ চলছে। তখনই আমাদের ঘুম থেকে উঠা উচিত এবং আমরা যদি কোন এলার্ম ছাড়া স্বাভাবিকভাবে উঠে তাহলে হালকা ঘুমের পেজ চলাকালীনই উঠি। যখন গভীর ঘুমের পেজ চলছে সেই সময় যদি হঠাৎ করে এলাম এর শব্দে আমরা উঠে পড়ি তাহলে সেটা স্লিপ সাইকেলটাকে সম্পূর্ণ হতে বাধা দেয়।
ফলে অসম্পূর্ণ ঘুমের কারণে ঘুম থেকে ওঠার পর আমরা অলসতা এবং ঘুম ঘুম ভাব অনুভব করতে থাকি। তাছাড়া আগেরদিন সারাদিনে আপনি কতটা শারীরিক এবং মানসিক পরিশ্রম করেছেন তার ওপর নির্ভর করে প্রতিদিনই আপনার পর্যাপ্ত ঘুমের পরিমাণ পরিবর্তন হতে থাকে। কিন্তু এলার্মের শব্দে যদি আপনাকে রোজি একটা নির্দিষ্ট সময় ঘুম থেকে উঠে যেতে হয় তাহলে অসম্পূর্ণ ঘুমের কারণে অলসতা শরীরে চেপে বসে।
সমস্যা নাম্বার ৪.সারাদিন একের পর এক মৃত খাবার খাওয়া। আপনার শরীরে এনার্জি তৈরি হয় আপনি যে খাবারটা খান সেটা থেকেই। তো আপনি যদি প্রাণবন্ত থাকতে চান তাহলে স্বাভাবিক আপনাকে প্রাণবন্ত খাবার খেতে হবে। মৃতও খাবার খেলে সেখান থেকে নিশ্চয়ই প্রাণসঞ্চার হবেনা। এবার প্রশ্ন হলো মৃত খাবার কোনগুলো আর প্রাণবন্ত খাবার কোনগুলো। মৃত খাবার মানে যে কোন প্রসেস ফুড মাছ মাংস ইত্যাদি আর জীবন্ত খাবার মানে হল ফল শাকসবজি লক্ষ্য করে দেখবেন মাংস খাওয়ার পর আপনার শরীরে কেমন অলসতা ভাব বেড়ে যায় আর কোন টাটকা ফল খাওয়ার পর কেমন অলসতা ভাব কমে যায়। তাহলে সারাদিন চনমনে থাকতে পারার জন্য কি করা উচিত এই সমস্যার সমাধান কি…?
সমাধান নাম্বার ১. সূর্যাস্তের পর উপোস থাকুন অথবা শুধুমাত্র গরুর দুধ পান করুন। বলিউডের সবথেকে ফিট এবং হেলদি Actor এর নাম নিতে হলে যার নাম সবার আগে আসে সেই অক্ষয় কুমারকে যখন ফিট এবং হেলদি থাকার সবথেকে এফেক্টিভ উপায় এর ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হয় তখন তিনি বলেন “যে অন্য কিছু না করলেও শুধুমাত্র সূর্যাস্তের পর কোন রকম খাবার খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখুন এটুকু করতে পারলেই আপনি খুব তাড়াতাড়ি অনেক বড় পার্থক্য লক্ষ্য করতে পারবেন” আর আপনি যদি একেবারে কিছু অন্তত না খেয়ে থাকবেন না পারেন।
তাহলে আপনি সূর্যাস্তের পর শুধুমাত্র মধু দিয়ে এক গ্লাস গরুর দুধ পান করতে পারেন এর পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে।
১. গরুর দুধ ভীষণভাবে নিউট্রিশন রিচ হওয়ায় এক গ্লাস গরুর দুধকে একটা গোটা মিলে সমান বলে ধরা হয়।
২. গরুর দুধ হজম করার জন্য আমাদের হজম প্রণালীর উপর খুব একটা চাপ পড়ে না ফলে রাতেও সহজে হজম হয়ে যায়।
৩. গরুর দুধের মেলাটোনিন হরমোন এবং ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামাইনো এসিড থাকে যেগুলো ঘুমভালো করতেও সাহায্য করে।
সমাধান নাম্বার ২. একটা কিপ্যাড ফোন ব্যবহার করুন এটা সত্যি যে আমরা প্রায় সবাই এখন নোমোফোবিয়া শিকার অর্থাৎ আমাদের হাতের কাছে যদি ফোন না থাকে তাহলে আমাদের মধ্যে কেমন একটা অদ্ভুত এক এনজাইটি কাজ করতে শুরু করে। কিন্তু স্মার্টফোন বিছানায় নিয়ে শুলে সেটা আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাবে আর ফোন ছাড়া শুয়তে গেলেও আপনার মন হয়ত এই অজুহাত দেবে রাতে যদি বাইচান্স কোন এমারজেন্সি দরকার পড়ে তাহলে তখন কি হবে।এই সমস্যার সমাধান হিসেবে আপনি আমার মত নোকিয়া 225 ফোরজি কীপ্যাড কোনটি ব্যবহার করতে পারেন।
সমাধান নাম্বার ৩. রাতে তাড়াতাড়ি শুতে যান। আমি আবারও বলছি ঘুম যদি অসম্পূর্ণ থেকে যায় তাহলে আপনি যাই করে নিন না কেন অলসতা কখনোই কাটিয়ে উঠতে পারবেন না। তাই প্রাণবন্ত ভাবে জীবন যাপন করতে চাইলে ঘুমকে সবকিছু থেকে বেশি প্রাধান্য দিন। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমরা ঘুমকে সবথেকে বেশি অবহেলা করি। এরকম চলতে থাকলে কিন্তু হবে না। সকালে অ্যালার্মের শব্দে ঘুম থেকে ওঠার পরিবর্তে বরং রাতে একটা নির্দিষ্ট টাইম অ্যালার্ম সেট করে রাখুন ঘুমাতে যাওয়ার কথা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য।
সমাধান নাম্বার ৪. সারা দিনে তিন রকমের অন্তত টাটকা ফল অথবা চাল কুমড়ো খান। সারাদিনে আপনি কিছু খান কি না খান। প্রতিদিন নিয়ম করে নিজের পছন্দের যেকোন তিন রকমের টাটকা ফল অবশ্যই খান। আপনি প্রাণবন্ত থাকতে চাইলে সেই প্রাণবন্ততার জুগানটা তো শরীরকে দিতে হবে। আয়ুর্বেদ অনুযায়ী সবজির মধ্যে যেমন চাল কুমড়ো হলো সব থেকে Highly Pranic Food কারণ এই সবজিটি এতটাই প্রাণবন্ত যে এটাকে জীবন্ত প্রাণীর সাথে তুলনা করা হয়। তাই কোন সবজি না খেলেও চাল কুমড়োটা অন্তত অবশ্যই সকলের খাওয়া উচিত।
Trickbd তে অনেকেই পোস্ট কতে চান কিন্তু করতে পারছেন না। আপনারা Ictbn.Com ওয়েবসাইটে পোস্ট করতে পারেন।এখানে একাউন্ট করলেই author।এখানে প্রতি পোস্টের জন্য ৫-৫০ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়।পোস্টের মানের উপর ভিত্তি করে। ICTBN.Com
আশা করি সবাই সবকিছু বুঝতে পেরেছেন। কোথাও সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাবেন অথবা ফেসবুকে জানাতে পারেন ফেসবুকে আমি