আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।
কেন বেশিরভাগ মানুষ জীবনে বড় কিছু করতে পারে না
বড় কিছু তো আমিও করতে চাই কিন্তু চারিদিকে এত নেগেটিভিটি যে কিছুতেই ফোকাস থাকতে পারিনা। জীবনে বড় কিছু আমরা সবাই করতে চাই কিন্তু বাস্তব সত্যিটা হল আমাদের মধ্যে 99 শতাংশ মানুষই জীবনে বড় কিছু করতে পারে না। তো আজ এই আর্টিকেলে আমি আপনাকে বলবো যে ঠিক কী কী ভুল বা সমস্যার কারণে আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই জীবনে বড় কিছু করতে পারে না এবং জীবনে বড় কিছু করতে হলে আসলে কি করা উচিত। তো চলুন এই সমস্যার সমাধানটাও জেনে নেওয়া যাক।
সমস্যা নাম্বার ১. ভুল জিনিসের পিছনে ছুটে বেড়ানো 99 পার্সেন্ট মানুষ যখন জীবনে কোনো লক্ষ্য স্থির করে সেটা কিছুটা এরকম হয় ।প্রচুর টাকা, প্রচুর নাম, প্রচুর ক্ষমতা অর্জন করা। এক্ষেত্রে প্রথম সমস্যা হলো এই প্রচুর মানে কত সেটা নির্ধারণ করে রাখে না। ফলে ছুটে চলা নিরন্তন চলতে থাকে। মানে কেউ কোটিপতি হয়ে যাওয়ার পরও পাগলের মত টাকার পিছনে ছুটেই থাকে। কারণ তার কাছে তখনই প্রচুর টাকা মানে কোটি টাকা থেকে বদলে গিয়ে হাজার কোটি টাকাতে পরিবর্তন হয়ে যায়।
দ্বিতীয়ত এই যে প্রচুর টাকা প্রচুর নাম বা প্রচুর ক্ষমতা অর্জন করার লক্ষ্য এগুলো হল কোন কাজের ফলাফল অর্থাৎ এগুলো কখনোই আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। কাজটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে কিন্তু ফলাফলটা কখনোই সরাসরি নিয়ন্ত্রণে থাকে না। মানে কেউ হয়তো গান কি প্রচুর নাম অর্জন করতে চায়। এবার তার গান শুনে লোকে তাকে বাহবা দেবে নাকি ঢিনচ্যাক গালাগালি দেবে সেটার উপর সরাসরি নিয়ন্ত্রণ নেই।হে সে যদি খুব ভালো গান করাটা শিখতে পারি তাহলে সে আশা করতে পারে যে সে প্রচুর নাম অর্জন করবে। কিন্তু এমনটা যে হবে তার কিন্তু কোনো নিশ্চয়তা থাকে না।
সমস্যা নাম্বার ২. বিশ্বাস না করা যে আমার দ্বারা বড় কিছু করা সম্ভব। ৯৯ শতাংশ মানুষ মন থেকে এটা বিশ্বাসই করতে পারে না যে তাদের দাঁড়াও জীবনে বড় কিছু করতে পারা সম্ভব।হে মুখে সবাই বলে কিন্তু কাজের কথা আসলে তখন দুই হাত তুলে সারেন্ডার করে দেয়। ওরে বাবা এত কিছু করতে পারা আমার দ্বারা হবে না।
সমস্যা নাম্বার ৩. একটুতেই হাল ছেড়ে দেওয়া ৯৯ শতাংশ মানুষ কোন একটা কাজ শুরু করার পর তাতে সামান্য কিছু সমস্যা ফেস করার পরেই হাল ছেড়ে দেয়। কোন একটা নতুন ব্যবসা শুরু করলো এক মাসে হয়তো একটা প্রোডাক্ট সেল করতে পারল না সাথে সাথে হাল ছেড়ে দিলো। কিংবা কোন চাকরিতে ঢুকে দুদিন হয়তো কিছু সমস্যা হলে সাথে সাথে চাকরিটা ছেড়ে দিলে। অথবা হয়তো নতুন কিছু একটা শিখতে শুরু করল ফটোগ্রাফি, ডিজিটাল মার্কেটিং বা ভিডিও মেকিং তো মাত্র এক মাসে হয়তো ভালো ফলাফল কিছু পেল না সাথে সাথে ছেড়ে দিলে। তো জীবনে বড় কিছু করতে হলে 99% পার্সেন্ট মানুষ যে ভুলগুলো করে সেগুলো করলে চলবে না মাত্র 1% মানুষ যে ঠিক কাজগুলো করেন সেগুলো করতে হবে।
এবার প্রশ্নটা হল সেই একই কাজ গুলো কি কি তো চলুন এবার সমাধান গুলো জেনে নিন।
সমাধান নাম্বার ১. কাজটাকে ভালোবাসতে শিখা 1% মানুষ এরকম থাকেন যারা নিজেদের কাজটাকে যে কোন কিছুর থেকে বেশি ভালোবাসেন। সেই কাজটা করে তারা যে টাকা, নাম বা ক্ষমতা অর্জন করেন সেগুলো থেকে অনেক অনেক বেশী তারা সেই কাজটাকে ভালোবাসেন। কাল থেকে যদি স্যারের মিউজিক কোটি কোটি টাকায় বিক্রি হওয়া বন্ধ হয়ে যায় আপনার কি মনে হয় A R Rahman মিউজিক কম্পোজ করা বন্ধ করে দেবেন। এপিজে আবদুল কালাম স্যারকে যদি বলা হতো আপনাকে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাহলে কি উনি মানুষের উপকার করা বন্ধ করে দিতেন।
পৃথিবীতে যে 1% টপ মানুষ রয়েছেন তাদের যেকোন কাউকে উদাহরণ হিসেবে দেখে নিন তাদের কাছে টাকা,নাম বা ক্ষমতা এগুলো সব কিছু থেকে বেশি প্রিয় তাদের কাজটা। আপনি যদি এই টপ ওয়ান পার্সেন্ট লোক এদের সারিতে উঠে আসতে চান তাহলে আপনাকে কোন জিনিসকে ভালোবাসা বন্ধ করে নিজের কাজটাকে ভালবাসতে শিখতে হবে। আর সেটা করতে পারার জন্য আপনাকে এমন একটা কাজ খুঁজে বার করতে হবে যেটা করতে বসলে আপনি নিজেকে নিজে হারিয়ে ফেলেন অর্থাৎ কাজটা এতটাই উপভোগ করেন যে আপনার সময় জ্ঞান হারিয়ে যায়। 99% মানুষ নিজের সারা জীবন এই কাজটা খুঁজে বার করার কষ্টটুকু করতে চায় না। এবার আপনার চয়েজ আপনি কোন দলে নিজের নাম লেখাতে চান।
সমাধান নাম্বার ২. যুক্তিসহ বিশ্বাস করতে শেখা 99% মানুষ মন থেকে এটা বিশ্বাস করতে পারে না যে তাদের দাড়াও জীবনে বড় কিছু করা সম্ভব। এর একটা বড় কারণ হল সেলস ডাউট অর্থাৎ আত্মবিশ্বাসের অভাব। আমি কোথায় ছোট্ট একটা গ্রামের ঠিকমত লেখাপড়া না জানা একটা ছেলে বা মেয়ে। আমার দ্বারা কোটি কোটি টাকার ব্যবসা দাঁড় করানো কোনদিন সম্ভব নাকি। এরকম ধরনের সেল্প ডাউট যদি আপনার মনের মধ্যেও আসে তাহলে সেটা দূর করার একটাই উপায় ইন্টারনেটে খুঁজে দেখুন আপনার মত অসংখ্য উদাহরণ পেয়ে যাবেন তারা আপনার মতই বা আপনার থেকেও হয়তো খারাপ ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে উঠে এসে আজ কোটি কোটি টাকার ব্যবসা দাঁড় করিয়ে রেখেছে।
তাহলে তারা যদি পেরে থাকে আপনি কেন পারবেন না। হে যদি অতীতে কেউ সেই কাজটা করতে না পেরে থাকে তখন যদি আপনার নিজের উপর সেল্প ডাউট জন্ম নেয় তাও তখন তাও সেটা মানা যায়। কিন্তু যখন অতীতে হাজার হাজার মানুষ এটা অলরেডি করে দেখিয়ে দিয়েছে যেটা আপনি করার কথা ভাবছেন তাহলে তখন সেখানে নিজের উপর সেল্প ডাউট আসার তো কোন জায়গা থাকে না। আপনাকে শুধু একটু কষ্ট করে তাদের দেখানো পথটাকে অনুসরণ করতে হবে।
সমাধান নাম্বার ৩. ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না রতন টাটাকে যখন জিজ্ঞেস করা হয় আপনি প্রতিভার সঠিক সিদ্ধান্ত নেন কিভাবে….? তিনি বলেন আমি সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়াতে বিশ্বাস করিনা। আমি সিদ্ধান্ত নিই তারপর সেটাকে সঠিক করে তুলি। তো যে ১% মানুষটা রয়েছেন তারা কোন কাজ শুরু করার আগে হাজারবার ভেবে তারপর শুরু করেন। কিন্তু একবার শুরু করে দিলে তারপরে সেটা নিয়ে ভাবেন না। যে তাদের হাল ছেড়ে দেওয়া উচিত কিনা। কারণ যদি হাল ছেড়েই দেব তাহলে আমি কাজটা করতে শুরুই বা কেন করবো। শুরু করার আগে তাড়াহুড়ো করার তো কোন দরকার নেই।
সেই কাজটা Best Possible Outcome মানে সব থেকে ভালো যেটা হতে পারে আর Oust Possible Outcome মানে সব থেকে খারাপ যেটা হতে পারে এই দুটোই আমি বিচার করে তারপরে সেই কাজটাতে নামবো। যদি মনে হয় যে সব থেকে খারাপ যেটা হতে পারি সেটাতে আমার বিশাল বড় একটা ক্ষতি হয়ে যাবে। তাহলে আমি সেই কাজটা করতে শুরু করবো না। কিন্তু যদি দেখেছে সব থেকে খারাপ যেটা হতে পারে সেটাতে আমার বিশাল বড় কোন ক্ষতি হয়ে যাবেনা উপরন্তু সব থেকে ভালো যেটা হতে পারে সেটা যদি হয়ে যায় তাহলে অনেক বড় একটা উপকার হবে। তাহলেই আমি সেই কাজটাই নামবো আর একবার নেমে গেলে তারপর হয় করবো নয় মরবো।
Trickbd তে অনেকেই পোস্ট কতে চান কিন্তু করতে পারছেন না। আপনারা Ictbn.Com ওয়েবসাইটে পোস্ট করতে পারেন।এখানে একাউন্ট করলেই author।এখানে প্রতি পোস্টের জন্য ৫-৫০ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়।পোস্টের মানের উপর ভিত্তি করে। ICTBN.Com
আশা করি সবাই সবকিছু বুঝতে পেরেছেন। কোথাও সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাবেন অথবা ফেসবুকে জানাতে পারেন ফেসবুকে আমি