Site icon Trickbd.com

মরে গেলেও এই ৫ ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক করবেন না। কারণ এরা আপনার শত্রু

Unnamed

আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।

মরে গেলেও এই ৫ ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক করবেন না


2000 সালের পর থেকে যখনই আমাদের দেশগুলোর মানুষ একটু ধনী হওয়া শুরু করল ।তখন থেকেই এই দাম্ভিকতা হিংসা একজনের পেছনে আরেকজনের লেগে থাকা একজনের লাইফ আরেকজনকে কন্ট্রোল করার মতো জঘন্য কাজ গুলো আমাদের দেশগুলোতে শুরু হয়েছিল। আর এখন তো একটা ক্লাস ওয়ানের বাচ্চাও এই ভয়ঙ্কর টর্চার গুলোর বাইরে নয়। এখন দেখবেন একটি ছোট বাচ্চাকে কোথাও যদি আপনি মন খারাপ করে বসে থাকতে দেখেন এবং তাকে যদি জিজ্ঞাসা করে তোমার কি হয়েছে তাহলে সে দেখবেন বলবে আমি ডিপ্রেশনে রয়েছি।

তাহলে এখন আপনিই বুঝুন এই খারাপ চর্চা গুলোর সামাজিক চাপটা কতটা কঠিন পর্যায়ে চলে গিয়েছে। আর এই মেন্টাল চাপ গুলো হাজারো মানুষকে ভিতরে ভিতরে টর্চার করতে করতে মেরে ফেলেছে। আর তাই এই টর্চার গুলো কারা করে কিভাবেই বা করে এর জন্য আপনাকে কিভাবেই বা দিনকে দিন ধ্বংস হয়ে যেতে পারেন তার বাস্তব এক্সাম্পল সহ বিষয়গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব। পাশাপাশি বিষয়গুলোকে আমি আপনাদের প্রমাণ করে দেখাবো। আপনারা শুধুমাত্র একটু মনোযোগ দিয়ে বিষয়গুলো আমার সাথে পড়তে থাকুন।

১. সবার প্রথম সেই ব্যক্তির কথা আপনাদের শেয়ার করতে চাই যে সব সময় আপনার লাইফকে কন্ট্রোল করে রাখতে চায়। মানে আপনার নিজের কোন চয়েস থাকতেই পারবে না। ধরুন আপনার এই ধরনের মেন্টালিটি কোন ফ্রেন্ড রয়েছে। এখন আপনি তাকে নিয়ে মার্কেটে গেলেন তখন দেখবেন সে তার পছন্দমতো ড্রেস আপনাকে কিনতে অনেকটা ফোর্স করবে। তার ভয়ে আপনি যে একটু নিজে শান্তিমতো কেনাকাটা করবেন সেটি আপনি কখনোই করতে পারবেন না।

এই ধরনের মানুষগুলো একদমই মানসিক রোগী এরা নিজেরা বুঝেছে তাই রাইট তাই ঠিক আপনি যদি তার কথা কখনো না শুনেন তাহলে সে প্রয়োজনে আপনার লাইফকে হেল করে পর্যন্ত দেবে। আপনাদের পরিচিত সকল মানুষদের কাছে আপনার নামে বদনাম করবে মিথ্যা কথা ছড়াবে জেদ করতে থাকবে মোটকথা সে আপনার শত্রুতে পরিণত হয়ে যাবে। এখন এই ধরনের মানুষের সাথে আপনি যদি মিশতে থাকেন বা বিপদে পড়েই হোক না কেন অনেক অনেক দিন তাদের সাথে মিশতে থাকেন তাহলে সবার প্রথম আপনার যে ক্ষতিটি হবে আপনি আরেকজনের কন্ট্রোলে থাকতে থাকতে নিজের উপর নিজের কন্ট্রোল টাই হারিয়ে ফেলবেন।

অনেকটা প্রতিবন্ধীর মত হয়ে যাবেন কথাটি শুনতে একটু খারাপ মনে হচ্ছে কিন্তু বিশ্বাস করুন এটি বাস্তব। আপনি সবসময় ভয়ে থাকবেন পাশাপাশি নিজের যে পোপার ব্রেইনের প্রসাদ যেটি আট দশটা মানুষের মতো আপনার এটি কখনো গ্রো করবেই না। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো এই বিষয়গুলোকে আপনি যদি দুচার দিন মনে করেন তাহলে এর ক্ষতি আপনি বুঝতে পারবেন না।

কিন্তু এই ক্ষতি গুলো যদি ছয় মাস বা এক বছর ধরে চলতে থাকে তখন আপনি একটা সময়ে গিয়ে বুঝতে পারবেন আপনার অবস্থা কোথায় গিয়েছে আর আপনি কতটা পিছিয়ে পড়েছেন। আর পাশাপাশি আপনার ব্রেইন টর্চার হতে হতে ব্রেনের ভিতরে এখন আর কিছুই কাজ করে না। সো বুজতেই পারছেন বিষয়টি কতটা ভয়ঙ্কর তাই এই ধরনের মানুষ যদি আপনার আশেপাশে থেকে থাকে তাহলে প্লিজ এখনই তাদের কাছ থেকে একটু সাবধানে চলা চেষ্টা করুন।

২.সেই ব্যক্তির সাথে খুবই সাবধানী মিশতে হবে যে অলওয়েজ নিজেকে কম্পিটিটর ভাবে। এই ধরনের ব্যক্তিরা দেখবেন যদি সে দেখে আপনি আপনার লাইফে ভালো কিছু করে ফেলেছেন তাহলে সে দেখবেন উঠে পড়ে লাগবে সেই ধরনের কোন একটি কাজ করার জন্য পাশাপাশি নিজের জেলাস হয়ে আপনাকে বিভিন্নভাবে ডিমোটিভেট করে যাবে দিনের পর দিন পাশাপাশি আপনাকে মেন্টাল প্রেসার দেওয়ার চেষ্টা করে যাবেন।

তাদের সাথে আপনি কথা বললেও তারা প্রচন্ড পরিমাণ বিরক্ত করে দিবে আপনাকে। একটি এক্সাম্পল দেই, ধরুন আপনারা কয়েকজন ফ্রেন্ড একসাথে বসে কোথাও আড্ডা দিচ্ছেন তখন আপনি বললেন আরে আমি গত সপ্তাহে কক্সবাজার হিমছড়িতে ঘুরতে গিয়েছিলাম জায়গাটা খুবই সুন্দর। তখন দেখবেন সেই ব্যক্তি হঠাৎ করেই বলে বসবে আরে কিসের হিমছড়ি তুই আমাদের গ্রামে আসিস দেখিয়ে দেবো সৌন্দর্য কাকে বলে।

এই সব হিমছড়ি টিমছড়ি কোন জায়গা হলো নাকি। এই হলো এই ধরনের লোকদের অভ্যাস এরা দুনিয়ার সব কিছুতেই নিজেকে কম্পিটিটার মনে করে ফেলে অকারণেই পেরেশানি তৈরি করে ফেলে সবার মাঝে। এখন যদি আপনি এদের সাথে লং টাইম নিয়ে থাকেন

তাহলে আপনি নিজে সবসময় বিরক্ত থাকবেন বা নিজেও সেই ধরনের মন-মানসিকতার হয়ে যেতে পারেন বা তার সাথে কোন বিষয় নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হলে সেই বিষয়গুলো দেখবেন আপনার মাথায় লং টাইম জেদ আকারে ঘুরতে থাকবে। এখন আপনিই বলুন এইভাবে চলতে থাকলে আপনার লাইফ কোথায় যাবে আপনার ব্রেইন কোথায় যাবে আর এই ব্রেনকে নিয়ে আপনি আপনার লাইফটা ক্যারিয়ারকে কিভাবে আগে নিয়ে যাবেন। সো বুঝতেই পারছেন বিষয়টি খুবই কঠিন একটু খেয়াল রাখতে হবে।

৩. এরপর সেই ব্যক্তির সাথে খুবই সাবধানী মিশতে হবে যে অলওয়েজ কোন না কোন বিষয় নিয়ে কমপ্লেইন করতেই থাকে মানে Complainers । এই ধরনের ব্যাক্তির কাছে দুনিয়ার সব কিছু নেগেটিভ এরা এদের চোখে ভালো কোনো কিছু কখনো দেখেইনা। যেমন সরকার ভালো না, তাই চাকরি পাচ্ছি না, দেশ ভালো না, তাই রাস্তা ভালো না, মানুষ ভালো না মোটকথা এদের চোখে প্রবলেম প্রবলেম আর প্রবলেম। কিন্তু কখনো কোনদিনও এদের মাঝে কখনো সমাধান দেখতে পাবেন না। এখন দেখুন প্রবলেম গুলো যে রয়েছে সেটি কিন্তু আমরা সবাই জানি কিন্তু এই প্রবলেম থাকার পরও কি আমাদের সমাজে অনেকেই সাকসেস হয়ে যাচ্ছে না।

আপনার আশেপাশে কি অনেকেই এমন নেই। এখন এই কমপ্লেইনারদের সাথে মিশলে আপনার যেটি হবে আপনি তার মত করে একটা সময় ভাবতে শুরু করবেন। কারণ কথাগুলো কোনো না কোনো ক্ষেত্রে তো ঠিকই আছে তাই আপনার বিশ্বাস করতে সুবিধা হয়ে যাবে। এবং এই নেগেটিভ বিশ্বাসগুলো দিনকে দিন অনেক বেশি ষ্ট্রং হয়ে যাবে আপনার ব্রেনে আর এরপর আপনি সাকসেসের পথ না খুঁজে নেগেটিভিটি নিয়েই সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকবেন। সারা বছর এভাবেই আপনার চলতে থাকবে। এখন আপনিই বলুন এই যদি হয় অবস্থা তাহলে আমাদের লাইফ কোথায় যাবে আর আমরা কোথায় যাব। তো চলুন পরবর্তী মানুষটিকে জানা যাক।

৪.এরপর সেই ব্যক্তির সাথে খুব সাবধানে মিশতে হবে যে অলওয়েজ মানুষকে জাজ করতে থাকে মানে এদেরকে বলা যায় নেগেটিভ জাজমেন্টাল। এই ধরনের মানুষদের সারাক্ষণ বলতেই থাকবে ও ভাল না ও এইরকম ও ওই রকম স্পেশালি তাদেরকেই তারা বেশি সমালোচনা করতে থাকবে। যাদের সাথে তারা বেশিক্ষণ মিশে বা যাদের ওপেনিয়ন বা চিন্তা-ভাবনা তাদের থেকে আলাদা হয়।

এই ধরনের মানুষ এমনটি কেন করে জানেন কারণ এরা ছোটবেলা থেকেই একটি খারাপ মন মানসিকতা নিয়ে বড় হয়। আর এটিই হতে পারে তার পরিবারের কারণে নয়তো সে নিজে বিভিন্ন ধরনের পাকনামি নয়তো বড়দের সাথে বেয়াদবি করতে করতে এই বিষয়গুলোকে শিখেছে। এখন সে যখন একটু বড় হয় তখন কিন্তু সে সবার সাথে ঝগড়া করতে পারে না তখন সে সবার নামে খারাপ সমালোচনা করতে থাকে। আর এটিই তার মনের প্রশান্তি।

আপনি এই ধরনের লোকদের কখনো দেখবেন না সমালোচনা ছাড়া তাদের মুখে একটি ওয়ার্ড রয়েছে। এখন এই ধরনের ব্যক্তিদের সাথে যদি আপনি লংটাইম মিশতে থাকেন তাহলে আপনার ব্রেন ও সাবকনসাসলী তাদের মতোই নেগেটিভ জাজমেন্টাল হয়ে যাবে।

আর নেগেটিভ ব্রেন নিয়ে আপনি আর যাই করতে পারেন লাইফে কখনো কোনো ক্রিয়েটিভ কাজ মানে লাইফ সাকসেসর জন্য কোন ক্রিয়েটিভ চিন্তা কিন্তু আর করতে পারবেন না। সো বিষয়টি খুবই ক্লিয়ার এই নেগেটিভ জাজমেন্টাল বিষয়টি একটা মানুষের জন্য কতটা ক্ষতিকর তাই এই ধরনের মানুষ যারা রয়েছে তাদের সাথে অবশ্যই খুব সাবধানে মেলামেশা করতে হবে। আর এই বিষয়গুলোকে মাথায় রেখেই মেলামেশা করতে হবে।

৫.এরপর যেই ব্যক্তির সাথে খুব সাবধানে মেলামেশা করতে হবে সেগুলো Commanders । এরা হলো সেই ব্যক্তি যারা অকারণে মানুষকে প্রচুর পরিমাণ প্রেসারে রাখে। এদের ব্রেনটা কেমন একবার দেখুন অন্যকে কষ্ট দিয়ে বা অন্যে কষ্টে থাকলে এরা খুবই মজা পায় অন্যকে কষ্ট দিতে পারলে এরা সেই টাইমটাকে নিজের অ্যাচিভমেন্ট বলে মনে করে। সেই টাইমটাকে তারা খুব ইনজয় করে। এদের মাথায় সবসময় এটিই চলতে থাকে কোন কোন পয়েন্টে কি কি করলে কোন ব্যক্তি কোন ভাবে কষ্ট পাবে।

কিছু এক্সাম্পল দেই অনেক সময় লাভ রিলেশন এর ক্ষেত্রে দেখবেন ছেলেটি বা মেয়েটি অকারণে আরেকজনকে প্রেসারে রেখেছে এবং সেটি দেখে মজা পাচ্ছে। অফিসের ক্ষেত্রে দেখবেন একটু সিনিয়ররা জুনিয়ারদের প্রচুর পরিমাণ মেন্টাল প্রেসার এ রাখে এবং সেটি আবার অকারণে এবং এই বিষয়গুলো দেখে সেই সিনিয়ররা আবার কিন্তু প্রচন্ড মজা পায়।

এরপর স্কুল-কলেজ বা লোকাল এয়িরার ক্ষেত্রে যেটি হয়। হয়তো কারো বাবার প্রচুর পরিমাণ টাকা নেই বা কম টাকা রয়েছে তার হাতে দামি মোবাইল নেই বা দামি ড্রেস নেই তার গায়ে তাই তাকে নিয়ে প্রচন্ড মজা নেওয়া হচ্ছে মানে তাকে অনেক পরিমানন pressure দেওয়া হচ্ছে। এবং এগুলো করে তারা প্রচন্ড পরিমাণ পৈচাশিক আনন্দ পাচ্ছে।

আশা করি সবাই সবকিছু বুঝতে পেরেছেন। কোথাও সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাবেন অথবা ফেসবুকে জানাতে পারেন ফেসবুকে আমি