হ্যালো বন্ধুরা,,,
সবাই কেমন আছেন? আশা করি খুবই ভালো আছেন ।
আমি আজ আপনাদের জানাতে চলেছি যে,
কোন খাবার খেলে আমরা খুবই মারাত্মক রোগ বা সমস্যার সম্মুখীন হতে পারি । আজ আমরা আলোচনা করতে চলেছি সেইসব খাবার নিয়ে যেগুলো বিষ এর চেয়েও বেশি ভয়ানক ।
তো চলুন শুরু করি ।
বাঁচতে হলে খেতে হবে
কিন্তু অনিরাপদ বা দূষিত খাদ্য নয় । খাদ্য এবং বিষযুক্ত খাদ্য দুটি সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। আমাদের প্রতিদিনের মেন্যুতে যেসব খাবার থাকে তার অধিকাংশই কিন্তু রাসায়নিক পদার্থে ভর্তি।
মানে, আমরা যা কিছু খাই তার সঙ্গে বিষ ফ্রি! খাবারে ভেজাল আর বিষাক্ত উপাদানকে অবশ্যম্ভাবী জেনেই আমরা জীবনযাপন করছি। তো চলুন জেনে নিই সেই বিষাক্ত খাদ্যগুলোর নাম ।
মিষ্টি দই
বাঙালি দই খাবে না, তা আবার হয় নাকি ? আর সেটা যদি মিষ্টি দই হয় তো কথাই নেই। কিন্তু প্রতিদিন মিষ্টি দই খাওয়া মানে কিন্তু শরীরে বিষ
ঢোকানো। এতে
ক্যারামেলের মতো ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকে। যা শিশুদের হাইপারঅ্যাকটিভ
করে তোলে। পাশাপাশি
প্রাপ্তবয়স্কদের হৃদরোগের
ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
সালাদ ড্রেসিং
সালাদ ড্রেসিংকে টাটকা
এবং সুস্বাদু করতে বিভিন্ন
রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়।
নিয়মিত খেলে ডিহাইড্রেশনের শিকার
হতে হবে। স্নায়ুতন্ত্রেরও
ক্ষতি করে। বাজার চলতি
ড্রেসিং সালাদে আবার
কৃত্রিম রঙ মেশানো হয়। যার ফলে ক্যান্সার হওয়ার
সম্ভাবনাও থাকে।
টমেটো সস
প্যাকেটজাত টম্যাটো সসে
‘বিসফেনল এ’ থাকে। যার
ফলে শরীরের হরমোনাল
অস্বাভাবিক ওজন বৃদ্ধি,
হৃদরোগ, স্তন ক্যান্সারের
ঝুঁকি থাকে।
পিনাট বাটার
শুধু শিশুরা নয়, প্রাপ্তবয়স্করাও পিনাট বাটারের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হতে রাজি নয়।কিন্তু এতে আছে ক্ষতিকর অ্যাফ্লাটক্সিন। যার অত্যধিক ব্যবহারে লিভারের রোগ হতে পারে। এমনকি লিভার ক্যান্সারও হতে পারে ।
আচার
অতিরিক্ত আচার খাওয়া
শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কারণ,
প্যাকেটজাত আচারে থাকে সোডিয়াম বেনজয়েটের মতো ক্ষতিকর রাসয়নিক। যা
মাইটোকন্ড্রিয়ার ক্ষতি
করে। সঙ্গে অতিরিক্ত তেল
এবং লবণ থাকায় পাকস্থলী ফাংশান বিগড়ে যায়। প্রক্রিয়াজাত মাংস খেতে খুব মজা। কিন্তু কোনো উপকার নেই। উল্টে অতিরিক্ত খেলে দীর্ঘস্থায়ী রোগ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। মাংসের স্থায়িত্ব বাড়াতে যে ‘প্রিজারভেটিভ’ ব্যবহার করা হয় সেগুলোর মধ্যে অন্যতম
হল নাইট্রেইটস এবং
নাইট্রাইটস। এগুলো শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী
উপাদান তৈরি করে।
বিশেষ করে ‘কোলোরেক্টাল’ বা মলাশয়ের ক্যান্সার।
স্যুপ
স্বাস্থ্যকর স্যুপ, অর্থাৎ
অথেনটিক স্যুপ বলতে বোঝায় প্রাকৃতিক খাদ্য উপাদান ও মশলা দিয়ে তৈরি কম চর্বি, কম লবণ আর মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট–সমৃদ্ধ তরল খাবার। কিন্তু প্যাকেটের স্যুপ থেকে
সাবধান। এতে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট,
ক্যারামেল কালার এবং
ম্যালটোডেক্সট্রিন থাকে,
যা রক্তে গ্লুকোজ এবং
ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে
দেয়।
পপকর্ন
পপকর্ন স্ন্যাকস হিসেবে তখনই স্বাস্থ্যকর যখন তা ঘরে তৈরি তেল ও অতিরিক্ত লবণ ছাড়া
বানানো হয়। বাজারে যে
সমস্ত মাইক্রোওয়েভ পপকর্ন পাওয়া যায় তাতে প্রচুর সোডিয়াম ও কেমিক্যাল থাকে। যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এতে
পারফ্লুরোওকটানোয়িক
অ্যাসিডও থাকে। যাকে
বিষ বললেও কম বলা হয়।
প্রোটিন বার
জিম বা ওয়ার্ক আউটের পর অনেকেই প্রোটিন বার
খেয়ে থাকেন। এটি
ফাইবার এবং প্রোটিনের
সহজ উৎস। কিন্তু এর সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে ক্যারামেল রঙ এবং জিঙ্ক অক্সাইডও শরীরে যাচ্ছে । মনে রাখতে হবে, জিঙ্ক অক্সাইড সেই রাসায়নিক যা সানস্ক্রিনে থাকে। বোঝাই যাচ্ছে এটা শরীরের কী ক্ষতি করছে!
ক্যানড ফুড
অধিকাংশ ক্যানড ফুডে
অ্যাডেড সুগার কিংবা হাই
ফ্রুক্টোজ, রিফাইন্ড
কার্বোহাইড্রেট, ট্রান্স ফ্যাট, প্রসেসড ভেজিটেবল
অয়েল থাকে যা থেকে
পরবর্তীকালে ওবেসিটি,
হার্ট ডিজিস, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল৷ পাশাপাশি প্রতিটি ক্যানড খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রিসারভেটিভ থাকায় মারণরোগ ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে৷
তো , আজ
আমরা জেনে নিলাম খুবই ক্ষতিকর ৯টি খাবারের নাম । আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে । পরবর্তীতে এই খাবারগুলো খাওয়ার আগে দয়া করে একবার ভেবে দেখবেন যে আপনার তখনকার মজার খাওয়ার জন্য কী পরিণতি হতে পারে ।
তো বন্ধুরা ,
আর কথা বাড়াবো না ।
আজ এখানেই শেষ করছি ।
সবাই ভালো থাকবেন,
সুস্থ থাকবেন ,
এবং TRICKBD এর সাথেই থাকবেন ।
আর আজ আমি নতুন একটি প্রশ্নোত্তর ওয়েবসাইট তৈরী করেছি , যেকোনো প্রয়োজনে এখানে প্রশ্ন করতে পারবেন ।