হ্যালো বন্ধুরা,,,
সবাই কেমন আছেন?
আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন ।
ভালো থাকি আর নাই থাকি একটা রোগ আমাদের সবার মাঝেই আছে ,, আর সেটা হলো ”চুলকানি” ।
আর আজকের এই পোষ্টে এটাই দেখাবো যে, কীভাবে ঘরোয়া উপায়ে এই চুলকানি রোগটি নিরাময় করতে পারবেন ।
তো বন্ধুরা,,,
আপনাদের সকলকে নমস্কার জানিয়ে আমি জুয়েল মন্ডল
চলে যাচ্ছি পোষ্টের মুল কথায় …আমাদের শরীর সবসময়ই
ক্ষতিকর বস্তুকে (পরজীবী, ছত্রাক, ভাইরাস এবং
ব্যাকটেরিয়া) প্রতিরোধের মাধ্যমে রোগ-প্রতিরোধের চেষ্টা করে।
এ প্রচেষ্টাকে রোগ-
প্রতিরোধ প্রক্রিয়া বা ইমিউন বলে। কখনও কখনও আমাদের শরীর সাধারণত ক্ষতিকর নয় এমন অনেক ধরনের
বস্তুকেও ক্ষতিকর ভেবে
প্রতিরোধের চেষ্টা করে।
সাধারণত ক্ষতিকর নয়, এমন সব বস্তুর প্রতি শরীরের এ অস্বাভাবিক
প্রতিক্রিয়াকে অ্যালার্জি
বলা হয়।
গবেষণা বলছে, আমরা দিনে কমবেশি ১০০ বার চুলকাই। অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী বহিরাগত বস্তুগুলোকে অ্যালার্জি উৎপাদক বা অ্যালার্জেন বলা হয়। অ্যালার্জিজনিত সর্দি বা অ্যালার্জিক রাইনাইটিস। এর উপসর্গ হচ্ছে অনবরত হাঁচি, নাক চুলকানো, নাক দিয়ে পানি পড়া বা নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া। কারও কারও চোখ দিয়েও পানি পড়ে এবং চোখ লাল হয়ে যায়। চুলকানির মতো অস্বস্তিকর অনুভূতি খুব কমই আছে। ত্বকের
বেশিরভাগ চুলকানিই নিরীহ প্রকৃতির।
ত্বকের শুষ্কতা ও কীটের কামড়ের মতো সাধারণ কারণে ত্বক চুলকাতে পারে। ত্বকের সমস্যা ও কিছু মারাত্মক রোগেও ত্বক চুলকাতে পারে।
ত্বকের চুলকানিতে কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা দারুণ কার্যকর হতে পারে।
ঘরোয়া উপায় অবলম্বনের পরও চুলকানি না কমলে ত্বক বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হবে।
এখানে ত্বকের চুলকানি প্রশমনে কিছু ঘরোয়া উপায় দেয়া হলো।
* চুলকানির সর্বোত্তম ঘরোয়া সমাধান সম্ভবত আপনার কিচেনেই রয়েছে।
ত্বকের হাইড্রেশনের জন্য
অলিভ অয়েল বা কোকোনাট অয়েল বেশ কার্যকর। ত্বকের শুষ্কতা ও চুলকানি প্রতিরোধে বা
প্রতিকারে ত্বকে অলিভ
অয়েল বা কোকোনাট অয়েল মাখতে পারেন ।
* চুলকানি দূর করতে আপনার
গোসলের পানিতে ওটমিল
মেশাতে পারেন। চুলকানি
থেকে স্বস্তি পেতে গোসলের পানিতে কলোইডাল ওটস মিশিয়ে
গোসল করে নিন।
কলোইডাল ওটমিলস মিশ্রিত পানিতে গোসল করলে প্রদাহ কমে ও
ত্বকের ওপর স্বস্তিদায়ক আবরণ পড়ে। যে পানিতে ওটমিল মেশাবেন তা কুসুম গরম হলে ভালো হয়।
* ত্বককে চুলকানি থেকে আরাম দিতে ডালডা ঘি বা
ভেজিটেবল শর্টেনিং
খাঁটি ডালডা ঘি কিনছেন
কিনা নিশ্চিত হোন।
* কিছুক্ষেত্রে চুলকানি বাহির থেকে নয়, শরীরের
ভেতর থেকে উদ্দীপ্ত হতে
পারে। উদাহরণস্বরূপঃ শরীর
পানিশূন্যতায় ভুগলে ত্বক
চুলকাতে পারে ।
এক্ষেত্রে,
পর্যাপ্ত পানি পান করলে সমস্যাটি দূর হতে পারে।
শরীরকে হাইড্রেটেড
রাখলে ত্বকও হাইড্রেটেড থাকবে।
* বেকিং সোডা মিশ্রিত পানি দিয়ে গোসল করলেও চুলকানি কমতে পারে। বেকিং সোডা ত্বকের সারফেসের এসিডকে নিষ্ক্রিয় করে প্রদাহ কমায় ও পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখে। এটি ত্বকের ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করতে ন্যাচারাল
এন্টিসেপ্টিক হিসেবে
কাজ করে।
* শীতকালে ত্বকের চুলকানি
বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি। তাই এসময় শরীরে যথেষ্ট ভিটামিন ডি
যোগাতে পদক্ষেপ নিতে
হবে।
শীতকালে ত্বকের চুলকানি কমাতে কিছুসময়
রোদে থাকুন, ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খান ও
প্রয়োজনে ভিটামিন ডি
সাপ্লিমেন্ট সেবন করুন। এ
বিষয়ে ভুল এড়াতে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াই ভালো।
* ত্বকে চুলকানির প্রবণতা থাকলে আপনার ডায়েটে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ
খাবার অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করতে হবে। নিয়মিত বাদাম, তৈলাক্ত মাছ ও ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিডের অন্যান্য উৎস
খেলে চুলকানি কমে যেতে
পারে। ওমেগা ৩ ফ্যাটি
এসিড শরীরের ভেতর থেকে ত্বকের উপকার করে।
* আপনি হয়তো জানেন যে পোড়া ত্বকের ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে অ্যালোভেরার জেল বেশ কার্যকর। আপনি জেনে খুশি হবেন যে এটি ত্বকের চুলকানিতেও দারুণ কাজ
করে।
অ্যালোভেরা প্রদাহ প্রশমক বলে উত্যক্ত ত্বকের চুলকানি কমাতে কার্যকরী।
* অ্যালার্জি ভ্যাকসিন বা ইমুনোথেরাপিঃ
অ্যালার্জি দ্রব্যাদি এড়িয়ে চলা ও ওষুধের পাশাপাশি ভ্যাকসিনও অ্যালার্জিজনিত রোগীদের সুস্থ থাকার অন্যতম চিকিৎসা পদ্ধতি। এ
পদ্ধতি ব্যবহারে কর্টিকোস্টেরয়েডের বহুল
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে রেহাই পাওয়া যায়। বিশ্বের অধিকাংশ দেশে, বিশেষ করে উন্নত দেশগুলোয়
এ পদ্ধতিতে চিকিৎসা
দেওয়া হয়ে থাকে।
বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য
সংস্থাও এ ভ্যাকসিন পদ্ধতির চিকিৎসাকে
অ্যালার্জিজনিত রোগের
টি-ট্রি অয়েলঃ
টি-ট্রি অয়েল ত্বকের চুলকানি দূর করতে বেশ
সহায়ক। এতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ও
অ্যান্টি-আইফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা অনেক
ত্বকের অ্যালার্জি থেকে
মুক্তি দেয়। টি-ট্রি অয়েল
আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে
রাখতে হবে। তাহলে
চুলকানি দূর হবে।
অ্যালোভেরা জেলঃ
অ্যালার্জির কারণে যদি চুলকানি ও শুষ্কতার সমস্যা হয়, তবে অ্যালোভেরা একটি
সেরা উপাদান। চুলকানি
থেকে মুক্তি পেতে প্রথমে
কিছুটা তাজা অ্যালোভেরার নির্যাস
নিয়ে ত্বকে লাগান।
তাজা অ্যালোভেরা না থাকলে চুলকানির জায়গায় অ্যালোভেরা জেল মেখে ৩০-৪০ মিনিট রেখে পরিষ্কার করে নিন।
কিছুদিনের মধ্যেই
চুলকানির সমস্যা থেকে
মুক্তি পাবেন।
আশা করি পোষ্টটি আপনাদের উপকারে আসবে । মানুষের উপকার করার জন্যই আমার সব লেখালেখি , আজকের আমার এই পোষ্ট থেকে যদি কেউ উপকৃত না হন তাহলে আমার সকল লেখাই বৃথা ।
আর যদি আমার এই পোষ্টে কোন ভুল থেকে থাকে , তাহলে দয়া করে কমেন্টে সেটা জানিয়ে দেবেন, আমি সেটা ঠিক করে দেবো ।
আজ এখানেই শেষ করতে চাই …,
সবাই
ভালো থাকবেন,
সুস্থ থাকবেন,
এবং
TRICKBD এর সাথেই থাকবেন ।
এই আশাতে সকলকে আবারো নমস্কার জানিয়ে আমি জুয়েল মন্ডল আমার আজকের পোষ্ট এখানেই শেষ করছি ।