Site icon Trickbd.com

কিভাবে রোজের কাজ রোজ শেষ করা সম্ভব… Motivational Article in Bangla

Unnamed

আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।

কিভাবে রোজের কাজ রোজ শেষ করা সম্ভব…

আপনার টু-ডু লিস্ট এ কি অনেক কাজ পেন্ডিং পড়ে আছে। আপনি সেই কাজগুলো করার কথা ভাবছেন কিন্তু কাজ করে উঠতে পারছেন না। আপনি কি প্রত্যেকবার কাজ করার সময় তালবাহানা করা শুরু করেন। যদি তাই হয় তাহলে টাইম ম্যানেজমেন্ট এর উপর David Allen এর লেখা Getting Things Done বইটা আপনার অনেক কাজে লাগবে। গেটিং থিংস ডান এই বইতে লেখক আপনার রোজকার টুডু লিস্টে থাকা পেন্ডিং কাজগুলো সময়ের মধ্যে কমপ্লিট করার খুব এফেকটিভ আর প্রাক্টিক্যাল উপায় বলেছেন। যা ফলো করার পর আপনিও খুব সহজে কাজ পিছিয়ে দেওয়ার অভ্যাস ছেড়ে দিয়ে সময় কাজ করা শুরু করবেন।

1. Planning

প্রথমে Horizontal Planning সম্পর্কে বলা যাক। টুডু লিস্টে যখন সমস্ত গোল্স আর একশনস এর উল্লেখ করা হয় তখন তা হরাইজন্টাল প্লানিং এর আওতায় আসে। এই ধরনের প্ল্যানিং দেখতে কোনো অসুবিধা হয় না। Vertical Planning গোল্স আর একশনস গুলো আরো ডিটেইলসে ব্যাখ্যা করা হয়। এমনটা না যে এই ধরনের প্ল্যানিং শুধু কম্পিউটারে করা যায় আপনি কাগজে লিখেও এরকম প্ল্যানিং তৈরি করতে পারেন। কারন আপনি যখন কোনো গোল নিজের হাতে লিখেন তখন আপনি সেই গোলকে আরো ভালো করে মনে রাখতে পারেন।

2. Setting Up Place And Time

সেটিংলি লেখক বলেছেন আপনি একবার ঠিকঠাক প্লানিং করে নেওয়ার পর আসে আপনার Place আর টাইম সেট করার পালা এর মানে হলো এই সিস্টেম শুরু করার জন্য আপনাকে নিজেকে কমপক্ষে দূটো দিন সময় দিতে হবে। ঠিকঠাক Place এর জন্য আপনার নিজের পার্সোনাল ডেস্ক থাকাটা খুব দরকার। সহজ কথায় বলে আপনাকে নিজের জন্য এমন একটা জায়গা তৈরি করতে হবে যেখানে কোনো কিছুই আপনাকে ডিস্টার্ব করবে না।

3. Collecting Your Stuff

কাজের সময় ঘনঘন অ্যাটেনশন ব্রেক হওয়ার এটা একটা বড় কারণ এজন্য লেখক বলেছেন যে কাজ শুরু করার আগে আপনি আপনার সমস্ত জিনিস এক জায়গায় কালেক্ট করুন আর আপনার ডেস্কে পড়ে থাকা অদরকারি জিনিস যেগুলো আপনি চান না তা পরিষ্কার করুন। কারণ আপনি যখন এইভাবে কাজ করবেন তখন আপনার ডেস্কে আপনার মনকে ডাইভার্ট করার মতো কিছুই থাকবে না। এটা করলে আপনি আপনার কাজ মন দিয়ে করতে পারবেন।

এই কাজটা করতে আপনার ২ থেকে ৬ ঘন্টা সময় লাগতে পারে । কিন্তু প্রডাক্টিভিটি সঙ্গে কাজ করতে হলে আপনাকে এই কাজটা অবশ্যই করতে হবে। এটাতো হলে ফিজিক্যালি জিনিস অরগানাইজ করার কথা কিন্তু এখন আপনাকে মেন্টালি নিজেকে প্রিপেয়ার করতে হবে অর্থাৎ ডেস্কে ছড়িয়ে থাকা অপ্রয়োজনীয়’ জিনিস যেমন আমাদের মনকে ডাইভার্ট করে তেমনি আমাদের মনের মধ্যে চলতে থাকা আনওয়ান্টেড থটস আমাদের এক মনে কাজ করতে বাধা দেয়।

যেমন আমরা যখন পড়াশোনা করতে বা কোন কাজ করতে বসি তখন সব ধরনের ইম্পর্টেন্ট কাজের কথা মনে পড়ে কাজ করার সময় আপনার মনে পরে আর ওকে একবার কল করলে ভালো হতো একবার ফোন করে দেখি। এই ধরনের চিন্তা সব সময় আমাদের মনকে ডিস্টার্ব করে তাই লেখক বলেছেন যে ফিজিক্যালি জিনিসগুলো অরগানাইজ করার পাশাপাশি আপনাকে আপনার মনে চিন্তা গুলো কে অরগানাইজ করতে হবে। কারণ এই কাজটা করলেই আপনি আপনার পরিশ্রমের ফল পাবেন।

4. Delegate Your Work

লেখক বলেছেন আপনার মাইন্ডা আর এনভারমেন্টকে অরগানাইজ করার পর আপনাকে প্রথমে দেখতে হবে এমন কোন কাজ আছে যেটা আপনি করতে চান না অথবা যে কাজটা আপনি অন্য কাউকে দিয়ে করিয়ে নিতে পারেন। যদি এমন কোনো কাজ থেকে থাকে তবে সে কাজটা অন্য কাউকে দিয়ে করিয়ে নিন। এরপরে আপনার কাছে করার জন্য শুধু দরকারি কাজ টাই থাকবে।

5. Check Out The Work That Can Be Done In 2 Minute

আপনাকে দ্বিতীয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে কাজটা করতে হবে তাহলো আপনার টু-ডু লিস্ট এ কোন কাজগুলো করতে মাত্র 2 মিনিট সময় লাগে তা সর্ট আউট করা। যেমন ইমেইল চেক করা, বসার ঘর পরিষ্কার করা আর দেখুন এমন কোন প্রজেক্ট আছে যেগুলো করতে আরো টাইমা আর এনার্জি লাগবে।

এটা সর্ট আউট করার পর আপনাকে আপনার ইম্পর্ট্যান্ট কাজ আর আনইম্পর্টেন্ট কাজগুলোকে আলাদা করতে হবে দু মিনিটে যে কাজগুলো করা যায় সেগুলোকে আনইম্পর্টেন্ট কাজের ক্যাটাগরিতে রাখা যেতে পারে এর ফলে যে সুবিধা হবে সেটা হল শুধুমাত্র ইমপর্ট্যান্ট কাজ গুলো আপনার সামনে থাকবে এরপর আপনি মনোযোগ দিয়ে আগে ইম্পর্টেন্ট কাজগুলো করে ফেলুন আর তারপর আনইম্পর্টেন্ট কাজ গুলো কমপ্লিট করুন।

6. Take Action Or You Can Say Doing

আপনি যখন কোনো কাজের একটা কমপ্লিট প্ল্যানিং করেন আর সেটাকে ভিত্তি করে কাজগুলো অরগানাইজ করে একটা সিস্টেম তৈরি করেন তখন আপনার কাজ অনেকটা সহজ হয়ে যায় কারণ আপনি আগে থেকেই জানেন কোন কাজটা কিভাবে আর কখন করতে হবে যাতে সে কাজটা নিয়ে আপনাকে বারবার ভাববেন না হয়। আমাদের সবার কাছে দিনে 24 ঘন্টা থাকে কিন্তু আজ আমাদের কাজ এতটাই বেড়ে গেছে। যে আমাদের কাছে 24 ঘণ্টাও কম বলে মনে হয়। অতএব সময় বাড়ানো সম্ভব না তবে আমাদের কাজের পদ্ধতিতে বদল এনে প্রডাক্টিভিটি অবশ্যই বাড়ানো যেতে পারে। আসুন এবার তাড়াতাড়ি আর্টিকেলটা সামারাইজ করে নেই।

প্রথমে আপনাকে আপনার টু-ডু লিস্ট প্ল্যানিং করতে হবে তারপর আপনাকে আপনার কাজ করার জন্য দরকারি জিনিস কালেক্ট করতে হবে এর পরে আপনাকে আপনার কাজগুলো অরগানাইজ করতে হবে তারপর যে কাজটা ইম্পর্টেন্ট না সেটাকে আলাদা করতে হবে সবশেষে সমস্ত প্ল্যানিং করার পরে আপনাকে অ্যাকশন নিতে হবে।

আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল প্রয়োজন হলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ফেসবুকে আমি