Site icon Trickbd.com

৬ টি স্বাস্থ্য টিপস । যা হয়তো আপনিও জানেন না।

Unnamed

আসসালামুআলাইকুম আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজ আরেকটি নতুন আর্টিকেল নিয়ে আবারও চলে আসলাম। আজ আমি কি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো তা হয়তো আপনারা বুঝে গেছেন। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ৬ টি স্বাস্থ্য টিপস। আর কথা না বাড়িয়ে চলুন মুল বিষয়ে চলে যাওয়া যাক।

১. পুড়ে গেলে যা করবেন।

পুড়ে গেলে কি করবেন?বরফ লাগাবেন! না। আপনার চামড়ার যে জায়গাটা পুড়ে গেছে সেখানটা চলন্ত পানির নিচে অর্থৎ কল ছেড়ে কলের পানির নিচে ২০ মিনিট রাখবেন। ২০ মিনিট আপনাদের কাছে অনেক লম্বা সময় মনে হতে পারে। কিন্তু এই ২০ টা মিনিট আপনাকে দিতেই হবে।

২. ফোসকা
ফোসকা দেখলে অনেকেরই বেলুনের মতো ফাটাতে ইচ্ছা করে। কিন্তু এটা কখনই করবেন না। আমাদের চামড়া বা ত্বক নানান ধরনের জীবাণু থেকে আমাদের সুরক্ষা দেয়। আপনি যখন সেটা বেলুনের মতো ফাটিয়ে ফেলেন তখন তো আর সেই সুরক্ষাটা দিতে পারে না। আর পানির মতো যে জিনিসটা দেখা যায় সেটা হলো প্লাজমা। এটা দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে। মোট কথা ফোসকাকে নিজের মতো থাকতে দিন। দুই এক দিনে ওটা নিজের মতো সেরে যাবে।

৩. ঘাম

আপমার কেম ঘাম হচ্ছে? আপনি যখন দৌড়াচ্ছেন, আপনি যখন অনেক খাটুনি করছেন, আপনার চারপাশে অনেক রোদ পড়েছে তখন আপনার শরীরের তপমাত্রা বেড়ে যায়। আর শরীর চেষ্টা করে সেটা কমাতে। আমাদের চামড়াু অনেক ছোট ছোট ছিদ্র আছে। শরীর সেখান থেকে পানি ছেড়ে দেয় শরীর টা ঠান্ডা করার জন্য। এই পানি বাষ্প হয়ে আমাদের শরীরটা ঠান্ডা করে। কিন্তু এই ঠান্ডা করতে গিয়ে শরীর অনেক পানি খরচ করে ফেলে। এই পানির ঘাটতি পূরণের জন্য শরীরকে পানি দিতে হয়। তানাহলে মাথা ব্যাথা, ক্লান্তি এমন কি অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারেন।

৪. চামড়ার উপরে স্পট

অনেকেই চামড়ার উপরে স্পট দেখলে সেটাকে চাপ দিতে ইচ্ছা করে। কিন্তু এটা কখনই করবেন না। কারণ চামড়াই দাগ হয়ে যাওয়া বা ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আমাদের চামড়ার উপরে থাকে কোটি কোটি ব্যাকটেরিয়া। আপনি চাপ দিয়ে সেই স্পট টা ওপেন করে দিচ্ছেন। তখন আমাদের চামড়ার উপরের ব্যাকটেরিয়া পিচ্ছিল করতে করতে চামড়ার নিচে জায়গা করে নিবে। আর সেখান থেকেই হতে পারে বিপত্তি।

৫. তিল বা আছিল

বেশিরভাগ তিলই দুশ্চিন্তার কারণ নয়। তবে কিছু কিছু তিল ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। এটা যতো আগে ধরা যায় ততই ভালো। তিলে এই ধরণের পরিবর্তন আসলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন:
* যদি তিলের আকৃতি পরিবর্তন হয় বা আকাবাকা হয়।
* অসমতল হয়।
* যদি তিলের রংয়ের পরিবর্তন আসে।
* যদি তিলটা দেখতে অন্যান্ন তিলের থেকে অনেক আলাদা হয়।
* যদি তিল থেকে রক্ত ক্ষরণ হয় বা চুলকানি হয়।
এগুলো হওয়া মানেই যে খারাপ কিছু হয়েছে তা নয়। তবে ডাক্তার দেখিয়ে নিশ্চিত হওয়া ভালো।
৬. করোনা টিকার ৫ টি কমন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
* ক্লান্তি
* মাথা ব্যাথা
* জ্বর
* কাঁপুনি

* ইনজেকশনের জায়গা ব্যাথা বা ফুলে যাওয়া।

এগুলো স্বাভাবিক, কমন এবং ক্ষনস্থায়ী। প্রশমনের জন্য প্যরাসিটামল খেলেই যথেষ্ট।

তো প্রিয় পাঠকবৃন্দ আজ এ পর্যন্তই । আর্টিকেলটি ভালো লাগলে একটি লাইক তো দেওয়াই যায়। আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে জানান আমার জানা থাকলে উত্তর দিব ইনশাআল্লাহ। সবাই ভালো থাকবেন। খোদা হাফেজ।