আসসালামু আলাইকুম! আশা করি সবাই আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে ভালো আছেন। আপনাদের দোয়াই ও আল্লাহর রহমতে আমিও ভালো আছি। আজকে আমি একটা নতুণ এবং হেল্পফুল আর্টিকেল নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির। । আশা করি সবার উপকারে আসবে সবাই ধৈর্য সহকারে আর্টিকেল টি পড়বেন। আর যদি কিছু না বুঝেন তাহলে কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিতে ভুলবেন না। অনেকে হয়ত টাইটেল দেখে বুঝে গেছেন আজ কি নিয়ে আলচনা করবো। LET’S START OUR NEW TRICK
একটি ভালো ডিম। একটি গ্লাস। পরিস্কার জল এবং কিছু পরিমাণ লবণ। কিভাবে এক্সপেরিমেন্টটি করবেন? প্রথমে গ্লাসটিতে কানায় কানায় জল পরিপূর্ণ করে দিন। এরপর সেই গ্লাসে ৫-৬ চামচ লবণ ফেলে দিয়ে, ভালো মত জলটিকে ততক্ষণ পর্যন্ত নাড়াতে থাকুন, যতক্ষণ না পর্যন্ত লবণ জলে দ্রবীভূত হয়ে যাচ্ছে। এরপর ধীরে ধীরে ডিমটিকে জলে দিয়ে দিন।
পর্যবেক্ষণঃ-
আপনি দেখবেন যে, যে ডিমটি কিছুক্ষণ আগেই, সাধারণbজলে ডুবে যাচ্ছিল, সেটিই এখন লবণ মিশ্রিত জলে ভাসছে। আসলে লবণ মিশ্রিত জলের ঘনত্ব সাধারণ জলের থেকে বেশি হয়। কোনো তরলের ঘনত্ব যতই বেশি হবে, কোনো বস্তুর ক্ষেত্রে সেই তরলে ভেসে থাকতে ততই সুবিধা হবে। বাড়িতেই, জল দিয়ে মিউজিক বানানঃ- কখনো কি, শুনেছেন যে, জল দিয়েও বাজনা বানানো যায়? হুম বানানো যায়। আর এটি হবে আপনার একান্ত নিজের বাজনা, যেটা আপনি নিজেই কাস্টমাইজ করবেন। এই এক্সপেরিমেন্ট টি করতে কি কি প্রয়োজন? কয়েকটি গ্লাস অথবা জলের বতল। জল এবং কাঠের ছোট লাঠি। কাঠের পেন্সিল হলেও চলবে। কিভাবে এই এক্সপেরিমেন্টটি করবেন? প্রথমেই গ্লাসগুলিকে সাড়ি- সাড়ি লাইনে রাখুন। এরপর প্রতিটি গ্লাসে আলাদা আলাদা পরিমাণ জল ঢালুন। আপনি এরকম ভাবেও জল ঢালতে পাড়েন- প্রথমটিতে অল্প পরিমাণ, তারপরের টিতে পূর্বেরটির তুলনায় একটু বেশি, এভাবে সর্বশেষ গ্লাসটিতে প্রায় ভর্তি জল ঢালুন। এরপর কাঠের পেন্সিলটি নিয়ে, বিভিন্ন গ্লাসে হালকা আঘাত করুন। পর্যবেক্ষণঃ- দেখবেন যে প্রতিটি গ্লাস থেকে পৃথক পৃথক শব্দ বেড়িয়ে আসছে। এভাবে দেখবেন কোনো গ্লাস থেকে বেশি জোরালো আবার কোনো গ্লাস থেকে কম জোরালো শব্দ বেড়িয়ে আসছে। এরপর গ্লাসগুলিকে শব্দের জোরালোতার উপর ভিত্তি ক্রমে সাজিয়ে আপনি নিজেই নিজের পছন্দ মত টিউন বানিয়ে নিতে পাড়েন। যে গ্লাসটিতে সবথেকে কম জল আছে সেই গ্লাসটি থেকে জোরালো শব্দ আসবে এবং যেnগ্লাসটিতে বেশি জল আছে সেটি থেকে হালকা শব্দ আসবে। আসলে শব্দকে জলের বাঁধার মধ্য দিয়ে যেতে হয়, তাই বাঁধা যত বেশি হয়, গ্লাসের কম্পনও তত কম হয় এবং শব্দ হালকা হয়। বাড়িতেই ভলক্যানো বানানোর এক্সপেরিমেন্টঃ- খাবার সোডা দিয়ে বাড়িতেই এই রাসায়নিক এক্সপেরিমেন্ট টি করতে পাড়বেন। এই এক্সপেরিমেন্টের জন্য কি কি প্রয়োজন- খাবার সোডা, খেয়াল রাখবেন যে, এটি যেন বেকিং পাউডার না হয়।বেকিং পাউডার হলে এক্সপেরিমেন্ট টি কাজ করবে না। ভিনিগার। একটি পাত্র। সঙ্গে কিছু কাগজ বা কাপড় রাখতে পাড়েন। কিভাবে এই এক্সপেরিমেন্টটি করবেন? প্রথমে কিছু পরিমাণ খাবার সোডা পাত্রটিতে ফেলে দিন। এরপর কিছু পরিমাণ ভিনিগার সেই পাত্রে ফেলে দিন। এরপরেই দেখবেন যাদু। পর্যবেক্ষণঃ- যখনই বেকিং সোডা এবং ভিনিগার পরস্পরের সংস্পর্শে আসবে তখনই, হঠাৎ করেই আগ্নেয়গিরির মত, ফেনার উদ্গিরন হবে। আসলে ভিনিগার হল একপ্রকারের অ্যাসিড। এই অ্যাসিড যখন সোডার সঙ্গে মিশে যায় তখন কার্বনিক অ্যাসিড উৎপন্ন করে। আর এই কার্বনিক অ্যাসিড হল একপ্রকারের অস্থিতিশীল পদার্থ। এটি দ্রুত কার্বনডাইঅক্সাইড এবং জলে বিভাজিত হয়। আর এটিই ফেনার আকারে উদ্গিরনের মত বেড়িয়ে আসে। কিভাবে অদৃশ্য কালি তৈরি করবেনঃ- কেমন হয় যদি অদৃশ্য কালি তৈরি করা যায়। অর্থাৎ আপনি কাগজে লিখলেও সেই কালিটি সহজে দেখা যাবে না, কিন্তু একটি বিশেষ উপায়ে আপনি কি লিখেছেন সেটি দেখা যাবে। অন্যকে আপনি কাগজটি দেখালে তারা দেখবে কাগজটি ফাঁকা, কিন্তু আপনি কি লিখেছেন সেটি আপনি অনায়াসেই পড়তে পাড়বেন। বিজ্ঞানের মজার পরীক্ষা বিজ্ঞানের মজার। এক্সপেরিমেন্ট প্রয়োজনীয় উপকরণঃ- একটি বাটি, অর্ধেক লেবু, জল, চামচ, তুলো, একটি বাল্ব বা আলো এবং লেখার জন্য একটি সাদা কাগজ। পদ্ধতিঃ- প্রথমেই, আপনাকে লেবু থেকে সমস্ত রস বাটিতে বেড় করে নিতে হবে। এরপর সেখানে অল্প পরিমাণে জল মিশিয়ে দিন। এরপর তুলো নিয়ে সেই তরল মিশ্রণটিতে ভিজিয়ে নিন। পরবর্তীতে কাগজে আপনি যা কিছু লিখতে চান লিখে ফেলুন। এবার কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। দেখবেন যে আপনার লেখাটি দেখা যাচ্ছে না। ব্যস আপনার সিক্রেট ম্যাসেজ তৈরি।