Site icon Trickbd.com

উচ্চ বেতনে সম্পূর্ণ ফ্রীতে সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাবার সুবর্ণ সুযোগ । খুব শিঘ্রই কোরিয়ান লটারির সার্কুলার হবে । কিভাবে যাবেন, কি কি যোগ্যতা লাগবে, সুযোগ সুবিধা বিস্তারিত পোস্টে

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, আশা করি সকলে অনেক ভালো আছেন । আজ আমি আপনাদের সাথে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি পোষ্ট শেয়ার করবো । তা অনেকের উপকারে আসবে বলে আমি মনে করি ।

বর্তমানে আমাদের দেশের বেশিরভাগ বেকার যুবকই দেশের বাহিরে যাবার বেশ ইচ্ছে পোষণ করে থাকে । সৌদি, দুবাই, মালয়েশিয়া, ইতালি বা এরকমই কিছু দেশ গুলোই পছন্দের শির্ষ্যে । কিন্তু অনেকেই হয়তো এ বিষয়টা জানেই না যে, সম্পূর্ণ ফ্রীতে এবং সরকারীভাবে উচ্চ বেতনে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়া যায় । ২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার শ্রম আইন চুক্তি অনুযায়ী ৩টি খাতে বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মি নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে । আসুন জেনে নিই বিস্তারিতঃ

 

কিভাবে যেতে হবেঃ

২০১৩ সাল থেকে চলমান প্রকিয়া অনুযায়ী আপনাকে কোরিয়ান লটারির মাধ্যমে উত্তির্ণ হতে হবে । তারপর উত্তির্ণ প্রার্থীদের ভাষা শিখতে হবে (ভাষা শেখার জন্য ৩মাস সময় দেওয়া হয়) এবং ভাষা শিক্ষা শেষে ভাষার উপর পরিক্ষা দিয়ে উত্তির্ণ হতে হবে । যদি আপনি উত্তির্ণ হন, তারপর আপনাকে ৩টি খাতের মধ্যে আপনার পছন্দমতো বিষয়ের উপর ট্রেনিং প্রদান করা হবে । সর্বশেষ আপনাকে ট্রেনিংয়ের উপর চুড়ান্ত পরিক্ষা প্রদান করে পাশ করা সাপেক্ষে কোরিয়া গমনের জন্য সিলেক্ট করা হবে । অতঃপর ৪মাস থেকে ৮মাসের মধ্যে সরকারীভাবে আপনি দক্ষিণ কোরিয়াতে প্রবেশ করতে পারবেন ।

 

ফ্রী এবং সরকারীভাবে কোরিয়া যেতে যা যা যোগ্যতা আপনার দরকার হবেঃ

 

কোরিয়া যাবার সুবিধাঃ

 

কি কি কাজে যেতে পারবেনঃ

 

সার্কুলার প্রক্রিয়া বা এবছর কখন হবেঃ

প্রতি বছরই আমাদের দেশে কোরিয়ায় লোকবল নিয়োগের লক্ষে লটারির হয়ে থাকে (যদিও করোনার প্রভাবে ২০২০ ও ২০২১ দুই বছর বন্ধ ছিলো) ।

এবছরে ইতিমধ্যে প্রবাসী কল্যান সংস্থা Bangladesh Overseas Employment and Services Limited(BOESL) তাদের একটি ফেসবুক পেজে এ বিষয়ে একটি নোটিস দিয়েছেন যে খুব শিঘ্রই ভাষা পরিক্ষার নিবন্ধন শুরু হবে (অর্থাৎ লটারির সার্কুলার হবে) । আমাদের একটি সোর্স থেকে সংগৃহিত যে চলমান আগষ্টের শেষ সপ্তাহ অথবা সেপ্টেম্বরের যেকোন সময়ে এই সার্কুলার টি হবে ।

 

আবেদন প্রক্রিয়াঃ

সার্কুলার টি মূলত ২দিন ব্যাপি হয়ে থাকে ।

এসময় নির্দিষ্ট একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন গ্রহন করা হয় ।

আবেদনের জন্য ব্যক্তির পাসপোর্ট এর স্ক্যান কপি ও পূর্ণাঙ্গ নাম, জন্মদিন ব্যবহার করে, বিকাশের মাধ্যমে নির্ধারিত ফি পরিশোধ করে আবেদন করতে হয় । (আবেদন ফ্রি ২০১৯এ ছিলো ৫০০টাকা)

আবেদনের পরে নির্দিষ্ট একটি তারিখে দক্ষিণ কোরিয়ায় এই লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয় । তারপর ড্র হতে সিলেক্টটেড ব্যক্তিদের পর্যায়ক্রমে লিষ্ট করে বাংলাদেশে রেজাল্ট পাবলিশ করা হয় । (এই সিষ্টেমটি শুরু থেকে শেষ পযন্ত কোরিয়া থেকে পরিচালিত করে)

 

তারপর রেজাল্ট এ যাদের নাম আসবে । তাদের এবার ভাষা শিক্ষার পালা । এ ভাষা শিক্ষার জন্য ব্যক্তি ৩মাস সময় পাবে ।

 

তো চলুন এবার জানা যাক এই ভাষা কোথায় শেখা যায় বা এই ভাষা শিখতে কতদিন লাগতে পারে বা কেমন এই ভাষাঃ
সহজ কথায় বলতে গেলে কোরিয়ান ভাষা অনেকটাই সহজ । অনেকটা বাংলা ভাষার মতোই । ব্যাসিক ভাষা টুকু শিখলেই হয় । ব্যাসিক ভাষা শিখতে সময় লাগে আনুমানিক ৩ মাস । ৩মাসই যথেষ্ট এই ভাষা আয়ত্ব করতে ।  আর এই ভাষা শিখতে হলে টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার অনুমোদিত যেকোন ভাষা ট্রেনিং সেন্টার এ ভর্তি হতে হবে । ভর্তি ফি আনুমানিক ১০ হাজার থেকে ২০ হাজারের মধ্যে ।

এরমধ্যে অন্যতম ট্রেনিং সেন্টার হচ্ছে, “মিরপুর কোরিয়ান ল্যাংগুয়েজ ট্রেনিং সেন্টার (MKLC)” এটা মিরপুর ১নম্বর (মুক্তবাংলা শপিং সেন্টারে অবস্থিত) । এখানে সবথেকে বড় সুবিধা হলো থাকা ও খাওয়ার সুবিধা সহ এই ট্রেনিং সেন্টার ভাষা শিক্ষা নিতে পারবেন । তাছাড়াও কোরিয়া গমনকৃত ৫০% কর্মিই এই ভাষা সেন্টার থেকে ভাষা শিখেছেন । তাদের ফেসবুক পেজঃ https://www.facebook.com/mklcdhaka  । তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা এ বিষয়ে আর বিস্তারিত বুঝিয়ে বলতে পারবে অথবা প্রশ্ন বা মতামত থাকলে তারা আপনাকে সহযোগিতা করতে পারবে ।

 

আশা করি সমস্ত খুটিনাটি তুলে ধরতে পেরেছি । এরপরেও যদি ভুল হয় তবে ক্ষমা করবেন ।

ধন্যবাদ ।