বিজ্ঞানের একটি অঙ্গ হলো মনোবিজ্ঞান! আর এই মনোবিজ্ঞানীরা মানুষের মন ও মানসিকতা নিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা করে চলেছে।
তো trickbd এর আজকের এই পর্বে এমন পাঁচটি সাইকোলজি ফ্যাক্ট সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবো।
১। Role of music
গান ভালবাসে না এমন মানুষের সংখ্যা নেই বললেই চলে, তবে আপনি কি জানেন আপনি কোন গান শুনছেন তার উপর আপনার মানসিক অবস্থান নির্ভর করে?
আপনি হয়তো বা লক্ষ করবেন আমরা যখন কোন দুঃখের গান শুনি, তখন আমাদের অতীতের দুঃখর স্মৃতিগুলো মনে পড়ে যাই। আবার যখন আমরা কোন ডান্সের গান শুনি তখন আমাদের নাচানাচি করতে মন চাই।
একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি আরো পরিষ্কার হবে- এখন আমি যদি আপনাকে বলি যে তরমুজ এই ফলটি সম্পর্কে আপনি ভাববেন না, যদি আপনি পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই ইতিমধ্যেই এই তরমুজের ছবি আপনার মাথার মধ্যে চলে এসেছে?
আর এর কারণ হলো আপনার মস্তিষ্কে এই ফলটি সম্পর্কে স্মৃতি রয়েছে! আর যখনই আপনি এই ফলটি সম্পর্কে শুনলেন তখনই আপনার মাথায় এই ফলটির ছবি চলে আসলো।
২। FAKE SMART
আপনার কথা শেষ হওয়ার আগেই সেই প্রসঙ্গ টেনে নিয়ে যখন কেউ আইনৈতিক কথা বলতে থাকে! আর এমন ভাব দেখাই যেন সে সব জানে আর নিজেকে অনেক বুদ্ধিমান ভাবে, তখন আপনি চুপ হয়ে যান।
আপনি যদি এমন মানুষের মধ্যে পড়েন তবে আজকেই নিজেকে পাল্টে ফেলুন! কারণ সাইকোলজিস্টদের মতে যারা সত্যি কারের বুদ্ধিমান মানুষ হয়, তারা কখনো নিজের জ্ঞান নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে পারে না।
তারা প্রতিটি সেকেন্ড প্রতিটি মুহূর্তে নিজেদের আপডেট করতে ব্যস্ত থাকে! অন্যের কথা ভালো মতো শুনে বুঝে তারপর মন্তব্য করে।
ডোলাইলামা বলেছিলেন- when you talk you are only repeating what you already know. But if you listen you may learn something
অর্থাৎ আপনি যখন কথা বলেন তখন আপনি শুধু আপনার জানা বিষয়গুলি বলতে থাকেন! কিন্তু আপনি যদি শুনেন তাহলে আপনি অনেক নতুন কিছু শিখতে পারবেন।
৩। POWER OF SILENCE
অনেক সময় তো আপনার সাথেও এরকম হয় যে আপনি নতুন কারো সাথে দেখা করতে গেছেন এবং তার সাথে কথা কি বলবেন বুঝতে পারছেন না!?
এরকম পরিস্থিতিতে আপনি সামনের ব্যক্তিকে কোন একটি প্রশ্ন করুন! আর তার উত্তর দেয়া শেষ হয়ে গেলেও তার দিকে তাকিয়ে থাকুন।
দেখবেন নিস্তব্ধ অবস্থা কাটাতে ওই ব্যক্তি কিছু না কিছু বলবেই! আর এই পাওয়ার অফ সাইলেন্সের আরো অনেক ভূমিকা আছে। যা আপনাকে অন্য কোন আর্টিকেলে একদিন বলবো।
৪। PLAYING TALK
যদি আপনি কারো সামনে ভালো ইমপ্রেসন তৈরি করতে চান! তাহলে এমন কোন জিনিস নিয়ে কথা বলুন বা এমন কোন বিষয়ে কথা বলুন যেটি তার খুবই ভালো লাগে।
ধরুন তার স্পেস সাইন্স সম্পর্কে খুবই ভালো লাগে শুনতে- তাহলে তার কাছে সেই বিষয় সম্পর্কে কিছু জানতে চান।
হতে পারে এই বিষয়ে আপনি অলরেডি অনেক কিছু জানেন তবুও এমন ভাব দেখাবেন যেন আপনি এ বিষয়ে তার থেকে অনেক কম জানেন! তাহলে দেখবেন সে আপনার সঙ্গে অনেক ফ্রি ভাবে কথা বলতে শুরু করবে। এবং আস্তে আস্তে আপনাকে পছন্দ করতে শুরু করবে।
৫। PEOPLE BY THEIR NAME
মনোবিজ্ঞানীদের মতে প্রত্যেকটি মানুষেরই তাদের নিজের নাম শুনতে অনেক ভালো লাগে! আপনি হয়তো ইতিমধ্যে লক্ষ্য করেছেন যখন আপনার নাম কেউ মনে রাখে এবং আপনাকে সেই নাম ধরে বারবার ডাকে তখন আপনি অনেকটাই খুশি হয়ে যান।
আবার যখন কেউ আপনার নাম ভুলে যাই! তখন আপনার খুবই খারাপ লাগে, এবং আপনি নিজে নিজের মধ্যে অপমান বোধ করেন? এই জন্যই আজ থেকে কারো সাথে কথা বলার সময় তার নাম ব্যবহার করতে শুরু করুন।
আরো পড়ুন!
LG Velvet 5G Review in Bangla – ৭,৯৯০ টাকায় ইতিহাসের সেরা স্মার্টফোন?
এই জ্যাকেটগুলো শীতকালে আপনাকে স্টাইলিশ ও হ্যান্ডসাম বানাবে
তো কেমন লাগলো পোস্টটি কমেন্ট সেকশনে জানাতে ভুলবেন না , আমার পরবর্তী পোস্ট খুব তাড়াতাড়ি আসবে ইনশাল্লাহ ততক্ষণ পর্যন্ত ট্রিকবিডির সঙ্গেই থাকুন ধন্যবাদ।